শাহ মুহম্মদ সগীর কোন সুলতানের রাজত্বকালে ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন?
A
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
B
ইলিয়াস শাহ
C
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন নুসরত শাহ
উত্তরের বিবরণ
• শাহ
মুহম্মদ সগীর:
শাহ মুহম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের
মধ্যযুগের প্রথম মুসলিম কবি এবং ইউসুফ-জোলেখা কাব্যের রচয়িতা। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের (১৩৮৯-১৪১০ খ্রিস্টাব্দ) রাজত্বকালে এই কাব্য রচনা করেন।
ইউসুফ-জোলেখা কাব্য:
• ইউসুফ-জোলেখা’ শাহ মুহম্মদ সগীর
রচিত কাহিনি কাব্যগ্রন্থ যা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
ধারার প্রথম কাব্য।
• এই কাব্যে রাজবন্দনায় তিনি নিজেকে সুলতান
গিয়াসউদ্দিনের আজ্ঞার অধীন বলে উল্লেখ
করেছেন, যা তাঁর সভাকবি
হিসেবে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
• কবি 'ইউসুফ-জোলেখা' কাব্যের রাজবন্দনা অংশে লিখেছেন-
"মনুষ্যের মৈদ্ধে জেহ্ন ধর্ম অবতার।
মহা নরপতি গ্যেজন পিরথিম্বীর সার।।"
• শাহ মুহম্মদ সগীরের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকর্ম — ইউসুফ-জুলেখা। তিনি পারস্যের জামী রচিত 'ইউসুফ জুলেখা' কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেন যা এই ধারার আদি গ্রন্থ।
• বাইবেল ও কোরানে ইউসুফ-জোলেখার কাহিনি বর্ণিত আছে। সগীর বাইবেল পড়েন নি; তিনি কোরান ও ফেরদৌসির কাছে থেকেই কাহিনিসূত্র গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রণয়কাহিনি লেখেন।
• পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জুলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। যেমন- ইউসুফ জুলেখা নিয়ে কাব্য রচনা করেন আব্দুল হাকিম এবং শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। তকে এই কাব্য শাহ মুহাম্মদ সগীরই প্রথম লেখেন।
--------------------------------

0
Updated: 7 hours ago
কোনটি চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 week ago
A
সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়
B
চটুল, সরল ও সাবলীল
C
গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর
D
সর্বজনবোধ্য মুখের ও লেখার ভাষা
সাধু ভাষারীতি সাধারণত গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর। এটি লিখিত রূপে প্রচলিত হলেও কথ্য ব্যবহারের জন্য অপ্রাকৃতিক।
চলিত ভাষারীতি হলো সাধারণ মানুষের মুখে ও লেখায় সর্বজনবোধ্য ভাষা, যা সহজে বোঝা যায় এবং জীবন্ত।
-
চলিত ভাষা সবসময় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে না।
-
এতে পদবিন্যাস রীতি অনেক সময় পরিবর্তিত হয়।
-
চলিত ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার কম।
-
এটি বক্তৃতা, ভাষণ ও নাটকের সংলাপের জন্য উপযোগী।
-
চলিত ভাষায় সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার রূপ হলো চটুল, সরল ও সাবলীল।
-
চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল হওয়ায় জীবন্ত।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
বাল্মীকি
B
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
C
মহাশ্মশান
D
মেঘনাদবধ কাব্য
মেঘনাদবধ কাব্য মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য। এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর মহাকাব্য। সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ এর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনি অবলম্বন করে ১৮৬১ সালের জুন মাসে তিনি এটি রচনা করেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের স্বাধীনতামন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মধুসূদন দত্ত রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক রূপে উপস্থাপন করেন। নয় সর্গে রচিত এই মহাকাব্যে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা প্রমুখ। সর্গসমূহ: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া। অন্য তথ্য: কায়কোবাদের মহাকাব্য: মহাশ্মশান। সংস্কৃত ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছেন বাল্মীকি।উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
Created: 4 weeks ago
A
The Lost Cousin
B
The Spoiled Child
C
The Royal Nephew
D
The Child Spoiled
'আলালের ঘরের দুলাল' উপন্যাস
-
লেখক: প্যারীচাঁদ মিত্র (ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর)
-
প্রকাশকাল: ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
-
বাংলা উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা
-
কথ্য ভাষা: ‘আলালী ভাষা’
-
প্রধান চরিত্র: মোকাজান মিঞা বা ঠকচাচা
-
চরিত্রের বৈশিষ্ট্য: ধূর্ততা, বুদ্ধিমত্তা ও প্রাণবন্ততা
-
-
-
অনুবাদ: ইংরেজীতে ‘The Spoiled Child’ নামে অনূদিত
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
জন্ম: ২২ জুলাই ১৮১৪, কলকাতা
-
পেশা: লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী
-
লিখিত পত্রিকা: দি ইংলিশম্যান, ইন্ডিয়ান ফিল্ড, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া, বেঙ্গল স্পেক্টেটর
-
ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর
উৎস:
১) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 4 weeks ago