নিচের কোনটি নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি?
A
ই
B
আ
C
উ
D
অ্যা
উত্তরের বিবরণ
• নিম্নবিবৃত
স্বরধ্বনি
— আ।
• স্বরধ্বনির
উচ্চারণ:
উচ্চারণের সময়ে জিভের উচ্চতা অনুযায়ী, জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী এবং ঠোঁটের উন্মুক্তি
অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে ভাগ করা হয়।
উচ্চারণের সময়ে জিভ কতটা
নিচে নামে সেই অনুযায়ী
স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত।
যথা -
১. উচ্চ স্বরধ্বনি - ই, উ।
২. উচ্চ -মধ্য স্বরধ্বনি - এ,
ও।
৩. নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি - অ্যা,
অ।
৪. নিম্ন স্বরধ্বনি - আ।
• স্বরধ্বনি
উচ্চারণের সময়ে ঠোঁট কতটুকু
খোলা বা বন্ধ থাকে
অর্থাৎ কী পরিমাণ উন্মুক্ত
হয়, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি
চার ভাগে বিভক্ত।
- সংবৃত: [ই], [উ]।
- অর্ধ-সংবৃত: [ এ ], [ও]।
- বিবৃত:
[আ]।
- অর্ধ-বিবৃত: [অ্যা], [অ]।
• সংবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ঠোঁট কম খোলে; বিবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ঠোঁট বেশি খোলে।

0
Updated: 7 hours ago
'গোবৈদ্য' এর প্রবাদ বাক্য কোনাটি?
Created: 22 hours ago
A
মূর্খ
B
চালাক
C
হাতুড়ে
D
অলস
সঠিক
উত্তর: গ) হাতুড়ে।
------------------
‘গোবৈদ্য’ শব্দটির ব্যাখ্যা:
‘গোবৈদ্য’ শব্দটি বাংলা প্রবাদে সাধারণত — হাতুড়ে বা অদক্ষ ব্যক্তিকে
বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে
যিনি কোনো কাজে পারদর্শী
নন, কিন্তু তবুও সেই কাজ
করার চেষ্টা করেন। এটি প্রায়শই এমন
ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়
যিনি অল্প জ্ঞান নিয়ে
বড় কাজে হাত দেন,
যেমন একজন অদক্ষ ডাক্তার
বা চিকিৎসক। ‘গোবৈদ্য’ শব্দটি এসেছে ‘গো’ (গরু) এবং
‘বৈদ্য’ (ডাক্তার) থেকে, যা গরুর চিকিৎসক
বোঝায়, কিন্তু প্রবাদে এটি অদক্ষতার প্রতীক
হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য
অপশন:
(ক) মূর্খ: ‘গোবৈদ্য’ সরাসরি মূর্খতা বোঝায় না, বরং অদক্ষতা
বা হাতুড়ে কাজের প্রতি ইঙ্গিত করে।
(খ) চালাক: ‘গোবৈদ্য’ চালাকি বা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে
সম্পর্কিত নয়, বরং এটি
অদক্ষতার প্রতীক।
(ঘ) অলস: ‘গোবৈদ্য’ অলসতা বোঝায় না, বরং কাজের
অদক্ষতা বা অযোগ্যতার দিকে
ইঙ্গিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
চর্যাপদের ভাষাকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
পালি ভাষা
B
সান্ধ্য ভাষা
C
প্রাকৃত ভাষা
D
সাধুভাষা
চর্যাপদ
-
ভাষা: ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’ (আলো-আঁধারি ভাষা)
-
স্পষ্ট ও অস্পষ্ট মিলিত
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মন্তব্য করেছেন:
"আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।"
-
-
ছন্দ: প্রাচীন ছন্দের রচনা; আধুনিক বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য
-
বিশেষত্ব: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন

0
Updated: 1 month ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?
Created: 1 week ago
A
পথের পাঁচালী
B
দৃষ্টিপ্রদীপ
C
ইছামতী
D
আরণ্যক
দৃষ্টিপ্রদীপ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যেখানে আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট একত্রে মিশে গেছে। এটি প্রথমে প্রবাসী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি মূলত জিতু নামের এক যুবকের জীবনকেন্দ্রিক, যিনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি নিজের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র জিতু দার্জিলিংয়ে তার ভাই নিতাই ও বোন সীতাকে নিয়ে বসবাস করে।
-
জিতুর অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক যাত্রা ও জীবনযাত্রার নানা দিক উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
-
সমাজের কুসংস্কার ও প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি তার প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জিতুর চরিত্রের মাধ্যমে লেখক মানবজীবনের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি অন্বেষণ করেছেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৯৪, চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম।
-
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী।
-
শেষ উপন্যাস: ইছামতী (১৯৫০ সালে প্রকাশিত)।
-
ইছামতী উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৪৯ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিতা
-
আরণ্যক
-
ইছামতী
-
দৃষ্টিপ্রদীপ
ছোটগল্পগ্রন্থ
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
কিছু উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য
-
পথের পাঁচালী: গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকাতরতা, পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখ।
-
ইছামতী: প্রেম ও বিরহ, নদীকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা, প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক।
-
আরণ্যক: বনজীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, প্রকৃতিপ্রেম ও অরণ্যচারী জীবন, দুর্গম অঞ্চলের জীবনযাত্রা।

0
Updated: 1 week ago