আলাউদ্দিন আল আজাদের কবিতা 'স্মৃতিস্তম্ভ' কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
A
জীবনজামিন
B
মানচিত্র
C
ধানকন্যা
D
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
উত্তরের বিবরণ
আলাউদ্দীন আল আজাদ — ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতা
-
গ্রন্থ: ‘মানচিত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
-
কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপ:
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে
হীরের মুকুট নীল পরোয়ানা খোলা তলোয়ার
খুরের ঝটকা ধুলায় চূর্ণ যে পদ-প্রান্তে
যারা বুনি ধান
গুণ টানি, আর তুলি হাতিয়ার হাঁপর চালাই
সরল নায়ক আমরা জনতা সেই অনন্য।
আলাউদ্দীন আল আজাদ (৬ মে ১৯৩২ – ২০০৯)
-
জন্মস্থান: নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রাম।
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্পগ্রন্থ ‘জেগে আছি’ (১৯৫০)।
-
চলচ্চিত্রায়িত উপন্যাস: ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ → ‘বসুন্ধরা’, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ।
সাহিত্যকর্মসমূহ:
-
উপন্যাস:
-
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
-
শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন
-
কর্ণফুলী
-
ক্ষুধা ও আশা
-
খসড়া কাগজ
-
স্বপ্নশিলা
-
বিশৃঙ্খলা
-
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
মানচিত্র
-
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
জেগে আছি
-
মৃগনাভি
-
ধানকন্যা
-
যখন সৈকত
-
অন্ধকার সিঁড়ি
-
জীবনজামিন
-
আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
-
0
Updated: 1 month ago
১) মঙ্গলকাব্যের কবি নয় কে?
Created: 2 months ago
A
ঘনরাম চক্রবর্তী
B
জয়দেব
C
দ্বিজমাধম
D
মানিক দত্ত
মঙ্গলকাব্য
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনিকাব্য হিসেবে মঙ্গলকাব্যকে ধরা হয়। এটি দেবমাহাত্ম্য ও সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ধারা। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতক থেকে আঠারো শতকের শেষ পর্যন্ত এই ধরনের কাব্য রচিত হয়েছে।
প্রায় সব মঙ্গলকাব্যের কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে কাব্য রচনা করেছেন। মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান শাখা হলো—
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
এ কাব্যের প্রধান দেবতা ও দেবীরা হচ্ছেন মনসা, চণ্ডী এবং ধর্মঠাকুর। এর মধ্যে মনসা ও চণ্ডী—এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি। মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীরা মূলত অনার্য সংস্কৃতির দেবতা।
একটি পূর্ণাঙ্গ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে—
-
বন্দনা
-
আত্মপরিচয়
-
দেবখণ্ড
-
মর্ত্যখণ্ড
-
শ্রুতিফল
মোট ৬২ জন মঙ্গলকাব্য কবির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
কানাহারি দত্ত
-
মানিক দত্ত
-
ভারতচন্দ্র
-
দ্বিজমাধব
-
ঘনরাম চক্রবর্তী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারায় দ্বিজমাধবকে ‘স্বভাবকবি’ বলা হয়।
অন্যদিকে, জয়দেব মঙ্গলকাব্যের কবি নন; তিনি ছিলেন বৈষ্ণব পদাবলীর কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'প্রভাবতী সম্ভাষণ' গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
বিহারীলাল চক্রবর্তী
C
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
D
রাজা রামমোহন রায়
‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’
-
রচয়িতা: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
ধরণ: শোকগাঁথা; বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক রচনা।
-
রচনার উদ্দেশ্য: বন্ধুর বালিকা কন্যা প্রভাবতী এর অকাল মৃত্যুর শোকে রচনা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
পরিচিতি: সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, জনহিতৈষী।
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা: ব্রজবিলাস ও রত্নপরীক্ষা।
0
Updated: 2 months ago
'Hand out' -এর বাংলা পরিভাষা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
তথ্যপত্র
B
জ্ঞাপনপত্র
C
প্রচারপত্র
D
হস্তপত্র
বাখ্যা:
-
‘Hand out’ শব্দের বাংলা পরিভাষা হলো জ্ঞাপন পত্র, যা সাধারণত কোনো তথ্য বা ঘোষণা প্রচারের জন্য বিতরণ করা হয়।
অন্যান্য পারিভাষিক শব্দ ও তাদের অর্থ:
-
Hand-bill → প্রচারপত্র
-
Hand-book → তথ্যপুস্তিকা
-
Handicraft → হস্তশিল্প
-
Mortgage → বন্ধক
-
Deposit → আমানত
-
Lease → ইজারা
-
Security → জামানত
সুতরাং, এই শব্দগুলো বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলা পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং প্রশাসন, অর্থনীতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 2 months ago