"বার"— শব্দের 'র' কোন ধরনের ধ্বনি?
A
ঘর্ষণজাত ধ্বনি
B
তাড়নজাত ধ্বনি
C
কম্পনজাত ধ্বনি
D
পার্শ্বিক ধ্বনি
উত্তরের বিবরণ
“বার” শব্দের ‘র’ → কম্পনজাত ধ্বনি
-
কম্পনজাত ধ্বনি:
-
উচ্চারণে জিভ কম্পিত হয় বা দন্তমূল বারবার আঘাত করে।
-
বাংলা ব্যঞ্জন: /র/
-
উদাহরণ: বার, ধার
-
-
তাড়নজাত ধ্বনি:
-
উচ্চারণে জিভের সামনের অংশ উপরের শক্ত তালুতে একটিমাত্র টোকা দেয়।
-
বাংলা প্রতিবেষ্টিত ব্যঞ্জন: ড়, ঢ
-
উদাহরণ: ধড়ফড়, বাড়, গাঢ়, নিগূঢ়
-
-
ঘর্ষণজাত ধ্বনি:
-
উচ্চারণে দুটি বাগযন্ত্র খুব কাছাকাছি আসে, বাতাসের চলাচলে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয়।
-
উচ্চারণস্থান অনুযায়ী:
-
দন্তমূলীয়: /স/ (বস্তু)
-
কাস্তে/তালব্য: /শ/ (দাশ, রাশ, হ্রাস)
-
কণ্ঠনালীয়: /হ/ (হাট, হনহন)
-
-
-
পার্শ্বিক ধ্বনি:
-
বাতাস জিভের এক বা দুই পাশ দিয়ে বের হয়।
-
বাংলা ধ্বনি: ল
-
উদাহরণ: তাল, শাল
-
0
Updated: 1 month ago
কোন সাহিত্যিক 'গণমানুষের কবি' হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন?
Created: 1 month ago
A
আবুল ফজল
B
রফিক আজাদ
C
দিলওয়ার
D
আহসান হাবীব
কবি দিলওয়ার – গণমানুষের কবি
-
কবি দিলওয়ারকে ‘গণমানুষের কবি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ 1977 সালের ৭ মার্চ, যখন সিলেটে তাকে এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
-
সংবর্ধনায় পড়া মানপত্রে উল্লেখ ছিল, ‘গণমানুষের কবি’ দিলওয়ারকে সিলেটের মানুষ অভিনন্দন জানাচ্ছে স্বদেশ, স্বজাতি ও বিশ্বমানবের মঙ্গল কামনাকে অঙ্গীকার করে তাঁর ‘আবাল্য কাব্যসাধনার’ জন্য।
-
সেই দিন থেকে ‘গণমানুষের কবি’ অভিধাটি তার নামের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়।
দিলওয়ারের তথ্য:
-
জন্ম: ১৯৩৭ সালে সিলেটে
-
প্রকৃত নাম: দিলওয়ার খান
কবিতা গ্রন্থ:
-
জিজ্ঞাসা
-
ঐকতান
-
উদ্ভিন্ন উল্লাস
-
রক্তে আমার অনাদি অস্থ
0
Updated: 1 month ago
'রত্নবতী' কোন ধরনের গ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
প্রহসন
D
গল্পগ্রন্থ
রত্নবতী (মীর মশাররফ হোসেন)
-
লেখক: মীর মশাররফ হোসেন
-
প্রকাশ: ১৮৬৯
-
বিশেষত্ব:
-
মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রথম গ্রন্থ যা ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান
-
রূপকথা জাতীয় শিক্ষামূলক দীর্ঘ গল্প
-
-
মূল বিষয়:
-
রাজপুত্র সুকুমার ও মন্ত্রীপুত্র সুমন্তের মধ্যে ‘ধন বড় না বিদ্যা বড়’ বিতর্ক ও তার সমাধান
-
মীর মশাররফ হোসেন
-
জন্ম: ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক
-
সাংবাদিকতা:
-
সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা
-
পত্রিকা আজিজননেহার ও হিতকরী সম্পাদনা
-
-
সাহিত্যিক অবদান:
-
বঙ্কিমযুগের প্রধান গদ্যশিল্পী
-
উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ
-
0
Updated: 2 months ago
গৌড়ী প্রাকৃত বলতে বোঝায়-
Created: 1 month ago
A
গৌড় অঞ্চলের মুখের ভাষা
B
গৌড় সাহিত্যের স্বাভাবিক রীতি
C
গৌড় ভাষার লিখিত নমুনা
D
গৌড় ভাষার বিকৃত উচ্চারণ
গৌড়ী প্রাকৃত বলতে বোঝানো হয় গৌড় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। বাংলা ভাষার উৎপত্তি নিয়ে গবেষকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে গৌড় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা থেকে, যাকে বলা হয় গৌড়ীয় প্রাকৃত। তিনি মনে করেন, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে অর্থাৎ প্রায় ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে গৌড়ীয় অপভ্রংশ হয়ে বঙ্গকামরূপী ভাষার মাধ্যমে বাংলা ভাষার জন্ম হয়। তাঁর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি সরাসরি সংস্কৃত থেকে হয়নি।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার উৎস মগধ অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা, অর্থাৎ মাগধী প্রাকৃত। তিনি বলেন, খ্রিষ্টীয় দশম শতকে, অর্থাৎ প্রায় ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মাগধী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়।
-
তুলনা করলে দেখা যায়, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন বাংলা ভাষার জন্ম সপ্তম শতকে (প্রায় ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে), আর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মনে করেন দশম শতকে (প্রায় ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে) এর উৎপত্তি হয়েছে।
বাংলা ভাষার বিকাশকে প্রধানত তিন যুগে ভাগ করা হয়:
১। প্রাচীন যুগ: ৬৫০ (মতান্তরে ৭৫০) থেকে ১২০০ সাল পর্যন্ত
২। মধ্যযুগ: ১২০০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত
৩। আধুনিক যুগ: ১৮০০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত
এর মধ্যে ১২০১ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত সময়কে সন্ধিযুগ বা অন্ধকার যুগ হিসেবে ধরা হয়।
বাংলা ভাষা বিবর্তনের রূপরেখা- 
0
Updated: 1 month ago