এল নিনো বাংলাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক আবহাওয়ায় কীভাবে প্রভাব ফেলে?
A
শীতকালীন তাপমাত্রা বৃদ্ধি
B
বর্ষার বৃষ্টিপাতের ধরনে অনিয়ম সৃষ্টি করে
C
গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা কমায়
D
ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পায়
উত্তরের বিবরণ
এল নিনো বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আবহাওয়ায় বিশেষ প্রভাব ফেলে, যা বর্ষার বৃষ্টিপাতের ধরনে অনিয়ম সৃষ্টি করে। তবে এর প্রভাব সব ধরনের আবহাওয়া উপাদানের উপর সমানভাবে দেখা যায় না। এল নিনোর প্রভাবকে বিস্তারিতভাবে বোঝা যায় নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো থেকে:
-
বর্ষার বৃষ্টিপাতের ধরনে অনিয়ম দেখা যায়, যা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
-
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা কমার সাথে এল নিনোর কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
-
এল নিনো সাধারণত বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ায় না, বরং কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি বা তীব্রতা হ্রাস করতে পারে।
-
শীতকালীন তাপমাত্রার উপর এল নিনোর প্রভাব সরাসরি বা উল্লেখযোগ্য নয়।
-
এর প্রভাব মূলত বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাত এবং সামগ্রিক জলবায়ু প্যাটার্নে বেশি দেখা যায়।
-
শীতকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো স্পষ্ট প্রমাণ এল নিনোর সাথে সরাসরি যুক্ত নয়।
এল নিনো সম্পর্কে:
-
এল নিনো হলো প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার একটি জলবায়ু ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী এবং আঞ্চলিক আবহাওয়ার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
-
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আবহাওয়ার ক্ষেত্রে এল নিনোর প্রভাব হলো:
-
উষ্ণ সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় গঠনের জন্য অনুকূল পরিবেশ কমিয়ে দেয়।
-
এটি সম্পূর্ণরূপে ঘূর্ণিঝড়কে বন্ধ করে না; বরং ঘূর্ণিঝড়ের ধরণ বা সময় পরিবর্তন করতে পারে।
-
সুতরাং, এল নিনো বর্ষার বৃষ্টিপাতের ধরনে অনিয়ম সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন' কবে প্রণীত হয়?
Created: 1 month ago
A
২০০৫
B
২০০৮
C
২০১২
D
২০১৫
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ সালে প্রণীত হয় এবং এটি দেশের দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রমকে আরও সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও শক্তিশালী করার জন্য গঠিত।
আইনটি সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর একটি কাঠামো তৈরি করার উদ্দেশ্যে প্রণীত।
• দুর্যোগ মোকাবেলার কাঠামো: আইনটি দুর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত কার্যক্রমকে সুসংগঠিত ও কার্যকর করার জন্য বিধান নির্ধারণ করে।
• প্রণয়ন তারিখ: ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এই আইন প্রণীত হয়।
• দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর: ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এই অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে।
• সংসদে পাস: বাংলাদেশের সংসদে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২’ পাসের মাধ্যমে অধিদপ্তর গঠিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
হিমালয় পর্বতমালার উদ্ভব কোন দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ইউরেশিয়ান ও আফ্রিকান
B
ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান
C
আমেরিকান ও ইউরেশিয়ান
D
প্যাসিফিক ও ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান
হিমালয় পর্বতমালার উদ্ভব মূলত ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান (Indo-Australian) ও ইউরেশিয়ান (Eurasian) টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষর কারণে হয়েছে। এই সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরের ভূ-অঞ্চল চাপের কারণে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা গঠিত হয়।
• ইউরেশিয়ান প্লেট হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটিনেন্টাল প্লেট, যা ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।
• ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেট (বা ইন্ডিয়ান প্লেট) ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া অন্তর্ভুক্ত করে। এটি উত্তর দিকে চলমান হয়ে ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষ করে, যা হিমালয় গঠনের প্রধান কারণ।
• আমেরিকান প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেট: এখানে সম্ভবত নর্থ আমেরিকান বা সাউথ আমেরিকান প্লেট বোঝানো হয়েছে। নর্থ আমেরিকান প্লেট উত্তর আমেরিকা এবং আটলান্টিকের অংশ কভার করে, সাউথ আমেরিকান প্লেট দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত। হিমালয়ের গঠনের সঙ্গে এদের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
• প্যাসিফিক প্লেট ও ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেট: প্যাসিফিক প্লেট প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে অবস্থিত। এটি 'রিং অফ ফায়ার' সৃষ্টি করে, যেখানে সাবডাকশনের ফলে আন্দিজ বা জাপানের মতো পর্বত গঠিত হয়। ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সাথে এর সীমান্তে জাভা ট্রেঞ্চ (Java Trench) রয়েছে, যা ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির জন্য দায়ী, তবে কোনো পর্বতমালা গঠন হয়নি।
• আফ্রিকান প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ করে মরক্কো থেকে ইউরোপীয় পর্বত গঠন করে, কিন্তু হিমালয়ের জন্য নয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান।
0
Updated: 1 month ago
'Gitanjali' of Rabindranath Tagore was translated by-
Created: 2 months ago
A
W. B. Yeats
B
Robert Frost
C
John Keats
D
Rudyard Kipling
• Gitanjali or Song of Offerings:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদ হচ্ছে Song of Offerings.
- Tagore then translated it into prose poems in English as 'Gitanjali : Song Offerings' and it was published in 1912 with an preamble written by W.B. Yeats.
অর্থাৎ, এর অনুবাদের কাজটি লেখক নিজেই করেন।
- তবে এর Introduction বা ভূমিকা লেখেন, W.B. Yeats.
• অতএব গীতাঞ্জলির সাথে W. B Yeats এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
- তাই, W. B Yeats গীতাঞ্জলির অনুবাদ না করলেও,যেহেতু এর preface লিখেছেন এবং এর সাথে সম্পর্কিত, তাই উত্তর ক) রাখা হয়েছে।
• W.B. Yeats
- He was born in Ireland in 1865.
- Irish Poet, Dramatist, and Prose writer.
- বিংশ শতকে অনুষ্ঠিত হওয়া সাহিত্যে জগতে আইরিশ পুনর্জাগরণের অন্যতম পথিকৃত এই লেখক।
- প্রথম আইরিশ লেখক হিসেবে তিনি নোবেল পুরষ্কার পান ১৯২৩ সালে।
- তিনি তার রচিত সাহিত্যকর্মে symbolism এবং mysticism ব্যবহার করেছিলেন।
• শ্রেষ্ঠ কবিতাসমূহ:
- The Wild Swans at Coole,
- Responsibilities: Poems and a Play,
- The Tower,
- A Vision,
- No Second Troy,
- The Lake Isle of Innisfree,
- Sailing to Byzantium, etc.
Source: Live MCQ Lecture এবং ইংরাজী সাহিত্যের ইতিহাস// লেখক: সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন।
0
Updated: 2 months ago