প্রতি ৩০° দ্রাঘিমার স্থানান্তরে সময়ের ব্যবধান কত মিনিট হয়?
A
১৫ মিনিট
B
৩০ মিনিট
C
৬০ মিনিট
D
১২০ মিনিট
উত্তরের বিবরণ
প্রতি ৩০° দ্রাঘিমার স্থানান্তরে সময়ের ব্যবধান এবং গ্রিনিচ মান সময় ও স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিচের মতো ব্যাখ্যা করা যায়।
-
প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ৪ মিনিট।
-
প্রতি ৩০° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৩০ × ৪ = ১২০ মিনিট বা ২ ঘন্টা।
-
গ্রিনিচ মান সময় (Greenwich Mean Time বা GMT) থেকে বাংলাদেশ সময় ৬ ঘণ্টা এগিয়ে আছে।
-
পৃথিবী প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য তৈরি করে।
-
বাংলাদেশ মূল মধ্যরেখা বা গ্রিনিচ মানমন্দির থেকে ৯০° পূর্বে অবস্থিত। তাই বাংলাদেশের এবং গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য = ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট = ৬ ঘন্টা।
-
গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত স্থানগুলোর সময় গ্রিনিচ থেকে এগিয়ে থাকে, আর পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় গ্রিনিচ থেকে পিছিয়ে থাকে।
স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য:
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘূর্ণায়মান, এজন্য পূর্ব দিকের দেশগুলোতে দিনের শুরু আগে, আর পশ্চিম দিকের দেশগুলোতে দিন পরে আসে।
-
প্রতি ১° দ্রাঘিমার দূরত্বে ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য হয়।
-
দূরত্বের মিনিটকে সময়ের মিনিটের সাথে ভুলভাবে মিশানো যায়, কিন্তু বাস্তবে ১° কে ৬০ মিনিটে ভাগ করা হয়।
-
এই ৬০ মিনিটের প্রতিটিতে সময়ের পার্থক্য ৪ সেকেন্ড, অর্থাৎ ৬০ × ৪ = ২৪০ সেকেন্ড = ৪ মিনিট।

0
Updated: 8 hours ago
ভূতাত্ত্বিক গঠন অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে পুরাতন শিলা গঠন পাওয়া যায়?
Created: 8 hours ago
A
সিলেট
B
দিনাজপুর
C
পার্বত্য চট্টগ্রাম
D
মধ্যভাগের উচ্চভূমি
বাংলাদেশের ভূ-গঠনের দিক থেকে দিনাজপুর অঞ্চলটি সর্বাধিক প্রাচীন শিলার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ভূ-গাঠনিক অবকাঠামো মূলত তিনটি ইউনিটে বিভক্ত, যার মধ্যে দিনাজপুর অঞ্চলের শিলা প্রাক-ক্যামব্রীয় যুগের।
-
বাংলাদেশ দুটি প্রধান ভূ-গাঠনিক ইউনিট দ্বারা গঠিত:
• উত্তর-পশ্চিমের সুস্থিত প্রাক-ক্যামব্রীয় প্ল্যাটফর্ম
• দক্ষিণ-পূর্বের মহীখাতীয় অববাহিকা -
দেশের প্রায় মধ্যভাগে একটি সংকীর্ণ হিঞ্জ অঞ্চল (Hinge zone) দুই ইউনিটকে পৃথক করেছে, যা উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
প্রাক-ক্যামব্রীয় প্ল্যাটফর্মের অঞ্চলসমূহ: রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর।
-
এই ইউনিটের শিলাগুলি মূলত প্রাক-ক্যামব্রীয় আগ্নেয় ও রূপান্তরজ ভিত্তিশিলার উপর সীমিত থেকে মাঝারি পুরুত্ববিশিষ্ট পাললিক শিলার আস্তর দ্বারা গঠিত।
-
আপেক্ষিকভাবে এই অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে স্থিতিশীল, এবং ভঙ্গিল বিচলনের (fold movement) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
-
কিছু চ্যুতিবেষ্টিত অববাহিকা প্রাক-ক্যামব্রীয় ভিত্তিশিলার আওতাভুক্ত, যার মধ্যে পার্মিয় যুগের কয়লাবাহী শিলার ইউনিটও রয়েছে (২৮৬-২৪৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে)।
-
বাংলাদেশে এটি সর্বাধিক প্রাচীন পাললিক শিলা।
-
প্রাক-ক্যামব্রীয় প্ল্যাটফর্মকে দুটি অংশে ভাগ করা যায়:
• উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর অবতল (Rangpur saddle) – অগভীর ভিত্তিশিলা (১৩০–১০০০ মিটার)
• দক্ষিণাঞ্চলীয় বগুড়া সোপান – মাঝারি গভীরতা (১–৬ কিমি), যেখানে পাললিক স্তরসমূহ হিঞ্জ অঞ্চল পর্যন্ত ধীরে ধীরে দক্ষিণ-পূর্বে নতিশীল এবং এরপর ১৫–২০ ডিগ্রিতে ঢাল বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে পাললিক ইউনিটগুলো গভীর মহীখাতীয় অববাহিকায় নেমে গেছে। -
দক্ষিণ-পূর্বের মহীখাতীয় অববাহিকা বৈশিষ্ট্য:
• ব্যাপক পুরুত্বের ক্লাসটিক পাললিক শিলা (সর্বাধিক প্রায় ২০ কিমি)
• অধিকাংশ শিলা বেলেপাথর এবং টারশিয়ারী যুগের কর্দম শিলা দ্বারা গঠিত
• বিস্তৃত অঞ্চল: ঢাকা, ফরিদপুর, নোয়াখালী, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং বঙ্গোপসাগরের অংশ।

0
Updated: 8 hours ago
বাংলাদেশের 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন' কবে প্রণীত হয়?
Created: 8 hours ago
A
২০০৫
B
২০০৮
C
২০১২
D
২০১৫
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ সালে প্রণীত হয় এবং এটি দেশের দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রমকে আরও সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও শক্তিশালী করার জন্য গঠিত।
আইনটি সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর একটি কাঠামো তৈরি করার উদ্দেশ্যে প্রণীত।
• দুর্যোগ মোকাবেলার কাঠামো: আইনটি দুর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত কার্যক্রমকে সুসংগঠিত ও কার্যকর করার জন্য বিধান নির্ধারণ করে।
• প্রণয়ন তারিখ: ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এই আইন প্রণীত হয়।
• দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর: ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এই অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে।
• সংসদে পাস: বাংলাদেশের সংসদে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২’ পাসের মাধ্যমে অধিদপ্তর গঠিত হয়।

0
Updated: 8 hours ago
হিমালয় পর্বতমালার উদ্ভব কোন দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হয়েছে?
Created: 8 hours ago
A
ইউরেশিয়ান ও আফ্রিকান
B
ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান
C
আমেরিকান ও ইউরেশিয়ান
D
প্যাসিফিক ও ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান
হিমালয় পর্বতমালার উদ্ভব মূলত ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান (Indo-Australian) ও ইউরেশিয়ান (Eurasian) টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষর কারণে হয়েছে। এই সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরের ভূ-অঞ্চল চাপের কারণে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা গঠিত হয়।
• ইউরেশিয়ান প্লেট হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটিনেন্টাল প্লেট, যা ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।
• ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেট (বা ইন্ডিয়ান প্লেট) ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া অন্তর্ভুক্ত করে। এটি উত্তর দিকে চলমান হয়ে ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষ করে, যা হিমালয় গঠনের প্রধান কারণ।
• আমেরিকান প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেট: এখানে সম্ভবত নর্থ আমেরিকান বা সাউথ আমেরিকান প্লেট বোঝানো হয়েছে। নর্থ আমেরিকান প্লেট উত্তর আমেরিকা এবং আটলান্টিকের অংশ কভার করে, সাউথ আমেরিকান প্লেট দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত। হিমালয়ের গঠনের সঙ্গে এদের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
• প্যাসিফিক প্লেট ও ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেট: প্যাসিফিক প্লেট প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে অবস্থিত। এটি 'রিং অফ ফায়ার' সৃষ্টি করে, যেখানে সাবডাকশনের ফলে আন্দিজ বা জাপানের মতো পর্বত গঠিত হয়। ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সাথে এর সীমান্তে জাভা ট্রেঞ্চ (Java Trench) রয়েছে, যা ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির জন্য দায়ী, তবে কোনো পর্বতমালা গঠন হয়নি।
• আফ্রিকান প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ করে মরক্কো থেকে ইউরোপীয় পর্বত গঠন করে, কিন্তু হিমালয়ের জন্য নয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান।

0
Updated: 8 hours ago