বাংলাদেশের দীর্ঘতম স্থলসীমান্ত ভারতের কোন রাজ্যের সাথে?
A
মেঘালয়
B
আসাম
C
পশ্চিমবঙ্গ
D
ত্রিপুরা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে সংযুক্ত, যার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাথে। এই সীমান্ত সম্পর্কিত তথ্যগুলো :
• বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত:
-
বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত ভারতের পাঁচটি রাজ্যের সাথে সংযুক্ত: পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, এবং মিজোরাম।
-
মেঘালয়ের সাথে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত প্রায় ৪৩৬ কিলোমিটার।
-
আসামের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত প্রায় ২৬৪ কিলোমিটার।
-
ত্রিপুরার সাথে সীমান্ত প্রায় ৮৭৪ কিলোমিটার।
-
পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ২,২৬২ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের মোট স্থলসীমান্ত প্রায় ৪,১৫৬ কিলোমিটার।
• পশ্চিমবঙ্গের সাথে সীমান্ত:
-
পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তের কারণে এটি সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত হিসেবে বিবেচিত।
-
এই সীমান্ত বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম, এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলার সাথে সংযুক্ত, যেমন রাজশাহী, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, এবং দিনাজপুরের এলাকা।
∴ সুতরাং সঠিক উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ, কারণ বাংলাদেশের সাথে এর দীর্ঘতম সীমান্ত রয়েছে।

0
Updated: 8 hours ago
হিমালয় পর্বতমালার উদ্ভব কোন দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হয়েছে?
Created: 8 hours ago
A
ইউরেশিয়ান ও আফ্রিকান
B
ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান
C
আমেরিকান ও ইউরেশিয়ান
D
প্যাসিফিক ও ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান
হিমালয় পর্বতমালার উদ্ভব মূলত ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান (Indo-Australian) ও ইউরেশিয়ান (Eurasian) টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষর কারণে হয়েছে। এই সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরের ভূ-অঞ্চল চাপের কারণে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা গঠিত হয়।
• ইউরেশিয়ান প্লেট হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটিনেন্টাল প্লেট, যা ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।
• ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেট (বা ইন্ডিয়ান প্লেট) ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া অন্তর্ভুক্ত করে। এটি উত্তর দিকে চলমান হয়ে ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষ করে, যা হিমালয় গঠনের প্রধান কারণ।
• আমেরিকান প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেট: এখানে সম্ভবত নর্থ আমেরিকান বা সাউথ আমেরিকান প্লেট বোঝানো হয়েছে। নর্থ আমেরিকান প্লেট উত্তর আমেরিকা এবং আটলান্টিকের অংশ কভার করে, সাউথ আমেরিকান প্লেট দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত। হিমালয়ের গঠনের সঙ্গে এদের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
• প্যাসিফিক প্লেট ও ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেট: প্যাসিফিক প্লেট প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে অবস্থিত। এটি 'রিং অফ ফায়ার' সৃষ্টি করে, যেখানে সাবডাকশনের ফলে আন্দিজ বা জাপানের মতো পর্বত গঠিত হয়। ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সাথে এর সীমান্তে জাভা ট্রেঞ্চ (Java Trench) রয়েছে, যা ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির জন্য দায়ী, তবে কোনো পর্বতমালা গঠন হয়নি।
• আফ্রিকান প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ করে মরক্কো থেকে ইউরোপীয় পর্বত গঠন করে, কিন্তু হিমালয়ের জন্য নয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ইন্দোঅস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান।

0
Updated: 8 hours ago
প্রতি ৩০° দ্রাঘিমার স্থানান্তরে সময়ের ব্যবধান কত মিনিট হয়?
Created: 8 hours ago
A
১৫ মিনিট
B
৩০ মিনিট
C
৬০ মিনিট
D
১২০ মিনিট
প্রতি ৩০° দ্রাঘিমার স্থানান্তরে সময়ের ব্যবধান এবং গ্রিনিচ মান সময় ও স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিচের মতো ব্যাখ্যা করা যায়।
-
প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ৪ মিনিট।
-
প্রতি ৩০° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৩০ × ৪ = ১২০ মিনিট বা ২ ঘন্টা।
-
গ্রিনিচ মান সময় (Greenwich Mean Time বা GMT) থেকে বাংলাদেশ সময় ৬ ঘণ্টা এগিয়ে আছে।
-
পৃথিবী প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য তৈরি করে।
-
বাংলাদেশ মূল মধ্যরেখা বা গ্রিনিচ মানমন্দির থেকে ৯০° পূর্বে অবস্থিত। তাই বাংলাদেশের এবং গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য = ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট = ৬ ঘন্টা।
-
গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত স্থানগুলোর সময় গ্রিনিচ থেকে এগিয়ে থাকে, আর পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় গ্রিনিচ থেকে পিছিয়ে থাকে।
স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য:
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘূর্ণায়মান, এজন্য পূর্ব দিকের দেশগুলোতে দিনের শুরু আগে, আর পশ্চিম দিকের দেশগুলোতে দিন পরে আসে।
-
প্রতি ১° দ্রাঘিমার দূরত্বে ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য হয়।
-
দূরত্বের মিনিটকে সময়ের মিনিটের সাথে ভুলভাবে মিশানো যায়, কিন্তু বাস্তবে ১° কে ৬০ মিনিটে ভাগ করা হয়।
-
এই ৬০ মিনিটের প্রতিটিতে সময়ের পার্থক্য ৪ সেকেন্ড, অর্থাৎ ৬০ × ৪ = ২৪০ সেকেন্ড = ৪ মিনিট।

0
Updated: 8 hours ago
কনরাড বিযুক্তি ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরসমূহের মাঝে অবস্থান করে?
Created: 8 hours ago
A
সিয়াল ও সিমা
B
অশ্বমণ্ডল ও গুরুমণ্ডল
C
গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল
D
সিমা ও অশ্বমণ্ডল
কনরাড বিযুক্তি হলো ভূ-অভ্যন্তরের Sial ও Sima স্তরের মাঝে অবস্থানকারী একটি বিভাজনীয় স্তর, যা ভূ-ত্বকের উপরের ও মধ্যবর্তী স্তরের শিলান্তরকে আলাদা করে। এটি মূলত সেই সীমারেখা যেখানে ভূ-ত্বকের লঘু শিলা (সিয়াল) এবং গুরু শিলা (সিমা) মিলিত হয়।
-
কনরাড বিযুক্তি রেখা হলো Sial ও Sima স্তরকে আলাদা করা স্তর।
-
অর্থাৎ, ভূ-ত্বকের উপরের লঘুশিলা ও নিচের গুরু শিলা সীমারেখায় মিলিত হওয়াকেই কনরাড বিযুক্তি (Conrad Discontinuity) বলা হয়।
-
সমুদ্র তলদেশের ভূত্বক প্রধানত ব্যাসল্টজাতীয়, যা মূলত ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এবং সিলিকন (Si) সমৃদ্ধ। এই স্তরকে সিমা (Sima) বলা হয়। ধারণা করা হয় যে, এই ব্যাসল্ট স্তর মহাদেশের মেফিক স্তরের নিচে এবং গভীর সমুদ্রের তলদেশে বিস্তৃত। ভূ-ত্বকের নিচের দিকে প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
-
সিয়াল (Sial) হলো ভূ-ত্বকের উপরের লঘুশিলা, যা গ্রানাইট প্রভৃতি শিলায় সমৃদ্ধ। এতে সিলিকা (SiO₂) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) প্রধান। এই স্তরে গাছপালা ও তৃণাদি জন্মাতে পারে। মহাদেশগুলো প্রধানত এই ধরনের শিলায় গঠিত।
-
ভূ-ত্বকের গঠন মোটামুটি নিম্নরূপ:
• সিয়াল (গ্রানাইট) → ভূ-ত্বকের উপরের স্তর, কনরাড বিযুক্তি পর্যন্ত বিস্তৃত।
• সিমা (ব্যাসল্ট) → মধ্যবর্তী স্তর।
• অলিভিন → ভূ-ত্বকের নিম্ন স্তর। -
পৃথিবীর অভ্যন্তর তিনটি প্রধান স্তরে বিভক্ত:
• অশ্বমন্ডল (Lithosphere) → সবচেয়ে উপরের স্তর, গুরুমন্ডলের উপরে অবস্থিত, কঠিন বহিরাবরণ। গভীরতা প্রায় ৩০–৬৪ কি.মি., শিলায় সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন রয়েছে।
• গুরুমন্ডল (Mantle) → অশ্বমন্ডল থেকে কেন্দ্রমন্ডলের নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত, পৃথিবীর আয়তনের ৮২% এবং ওজনের ৬৮% দখল করে।
• কেন্দ্রমন্ডল (Core) → পৃথিবীর কেন্দ্রের চারপাশে প্রায় ৩,৪৮৬ কি.মি. ব্যাসার্ধের একটি স্তর। ঘনত্ব প্রায় ১০.৭৮ গ্রাম/সে.মি³, যা গুরুমন্ডলের প্রায় দ্বিগুণ। মূলত লৌহ, নিকেল, পারদ, সীসা দ্বারা গঠিত। লৌহ ও নিকেল সমৃদ্ধ হওয়ায় একে নাইফ (Nife) বলা হয়। -
পৃথিবীর মোট ব্যাসার্ধ প্রায় ৬,৪৩৪ কি.মি।।

0
Updated: 8 hours ago