ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি কবে সম্পাদিত হয়?
A
১৯৬০
B
১৯৬৬
C
১৯৭৪
D
১৯৭৫
উত্তরের বিবরণ
সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পানিসম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমঝোতা, যা ১৯৬০ সালে সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি মূলত উজান থেকে নেমে আসা নদীগুলোর পানির ব্যবহারকে নির্দিষ্ট নিয়মে ভাগ করে দেয়। নিচে এর প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
-
চুক্তির নাম: সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি (Indus Waters Treaty)
-
চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০
-
চুক্তি স্বাক্ষরের স্থান: করাচি, পাকিস্তান
-
মধ্যস্থতাকারী: বিশ্বব্যাংক (World Bank)
-
চুক্তি স্বাক্ষরকারী: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুব খান
-
এই চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদী দুই দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
-
ভারতকে দেওয়া হয় তিনটি পূর্বাঞ্চলীয় নদীর নিয়ন্ত্রণ: ইরাবতী (Ravi), বিপাশা (Beas), এবং শতদ্রু (Sutlej)।
-
পাকিস্তানকে দেওয়া হয় তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর নিয়ন্ত্রণ: সিন্ধু (Indus), ঝিলম (Jhelum), এবং চেনাব (Chenab)।
-
পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলো পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পাকিস্তানে মোট পানির প্রায় ৮০% সরবরাহ করে।
-
চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান পায় প্রায় ৭০% পানি, আর ভারত পায় প্রায় ৩০% পানি।
-
চুক্তিটি একতরফাভাবে স্থগিত বা বাতিল করার সুযোগ নেই। বরং এতে বিরোধ নিষ্পত্তির সুস্পষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
ভারতের সাথে বাংলাদেশের পানি চুক্তি কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 4 months ago
A
দার্জিলিং
B
কোলকাতা
C
নয়াদিল্লি
D
ঢাকা
গঙ্গা নদী ভারতের উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাজ্য—উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ—পেরিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর এই নদী পদ্মা নামে পরিচিত। শেষমেশ, এটি গোয়ালন্দের কাছাকাছি এসে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
গঙ্গার পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ভারত ১৯৫১ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর বাস্তব নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬১ সালে এবং প্রাথমিক কাঠামো ১৯৭০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে কার্যকর ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে এর সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হয় ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।
অবশেষে, ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। মূলত কলকাতা বন্দরের সচলতা নিশ্চিত করতে এবং হুগলী নদীতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ বজায় রাখতে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল।
কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর বাংলাদেশে গঙ্গার পানি প্রবাহ কমে যেতে শুরু করে, যা পরিবেশ ও কৃষি ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র—বাংলাদেশ ও ভারত—
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গঙ্গার পানি ভাগাভাগি করার নীতিতে একমত হয়। চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা
0
Updated: 4 months ago
ওয়ারশ চুক্তি (Warsaw Pact) কোন দেশের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
সোভিয়েত ইউনিয়ন
D
কোনটি নয়
ওয়ারশ প্যাক্ট (Warsaw Pact)
-
পূর্ণ নাম: Warsaw Treaty of Friendship, Cooperation, and Mutual Assistance।
-
এটি একটি প্রতিরক্ষা ও সামরিক চুক্তি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে গঠিত।
-
জোটে ছিলেন পূর্ব ইউরোপের ৮টি দেশ।
-
মূলত এটি ন্যাটো (NATO)-র বিকল্প সামরিক জোট হিসেবে তৈরি হয়।
-
স্বাক্ষরিত হয় ১৪ মে, ১৯৫৫ সালে।
-
চুক্তির নামকরণ করা হয় পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ শহরের নামে।
-
১ জুলাই, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির সাথে সাথে এই জোটও বিলুপ্ত হয়।
সূত্র: Britannica
0
Updated: 2 months ago
কোন চুক্তি অনুসারে বসনিয়া সংকট সমাধানের পথ সুগম হয়েছিল?
Created: 4 months ago
A
জেনেভা চুক্তি
B
মাদ্রিদ চুক্তি
C
ডেটন চুক্তি
D
প্যারিস চুক্তি
ডেটন চুক্তি: বসনিয়া সংকট সমাধানের এক ঐতিহাসিক বাঁক
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির পথ সুগম করেছিল একটি ঐতিহাসিক চুক্তি—ডেটন চুক্তি (Dayton Agreement)। এর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল The General Framework Agreement for Peace in Bosnia and Herzegovina। এটি ছিল একটি আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত বসনিয়াকে একটি স্থায়ী গঠনমূলক কাঠামো প্রদান করেছিল।
এই চুক্তির রূপদানে মূল ভূমিকা পালন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শান্তি দূত রিচার্ড হলব্রুক, যিনি কঠিন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে প্রতিপক্ষ পক্ষগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ফ্রান্সের প্যারিস শহরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে সই করেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেবগোভিচ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান এবং সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ—যিনি পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
চুক্তির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সক্রিয় মধ্যস্থতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ডেটন চুক্তির মাধ্যমে বসনিয়া সংকটের একটি কাঠামোগত ও রাজনৈতিক সমাধান নির্ধারিত হয়, যা দেশটির সার্বভৌমত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এতে বসনিয়াকে দুটি প্রধান প্রশাসনিক এককে বিভক্ত করা হয়—ফেডারেশন অব বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা এবং রিপাবলিকা স্রপস্কা।
চুক্তিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে OSCE (Organization for Security and Co-operation in Europe) ও জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি আজও আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: i) OSCE.org ii) Britannica.
0
Updated: 4 months ago