আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র কোনটি?
A
ইরাক
B
চীন
C
রাশিয়া
D
পাকিস্তান
উত্তরের বিবরণ
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র হলো রাশিয়া। এই স্বীকৃতি সাম্প্রতিক বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
-
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
এর ফলে রাশিয়া হলো প্রথম দেশ, যারা সরাসরি তালেবান সরকারের বৈধতা মেনে নিল।
-
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে “সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
-
এর আগে এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা তুলে নেয়।
তালেবানের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট:
-
তালেবান গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে সোভিয়েত দখলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়।
-
১৯৯৬ সালে তারা কাবুল দখল করে শাসন শুরু করে।
-
১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালায় এবং সেই বছরের শেষ দিকে তালেবান সরকারকে উৎখাত করে।
-
পরবর্তী ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
-
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।
-
২০২১ সালে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান পুনরায় কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আবার ক্ষমতায় আসে।
-
দীর্ঘ চার দশকের যুদ্ধ (১৯৭৯-২০২১) শেষে তালেবান সরকার এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এ সময় থেকে রাশিয়া ধীরে ধীরে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
-
যদিও স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান ইতোমধ্যে কাবুলে তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে, যা স্বীকৃতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ধরা হয়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন দেশটি 'গোলান হাইটস্' বিরোধের একটি পক্ষ?
Created: 1 month ago
A
লেবানন
B
জর্ডান
C
সিরিয়া
D
সৌদি আরব
গোলান মালভূমি সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পাথুরে এলাকা, যা সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘকালীন বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু।
এই মালভূমি রাজনৈতিক, সামরিক ও কৌশলগত কারণে উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাত চলতে থাকে।
-
অবস্থান ও আয়তন: গোলান মালভূমি প্রায় ১৮০০ বর্গকিলোমিটার (প্রায় ১০০০ বর্গমাইল) আয়তনের এবং এর উত্তরে লেবানন, দক্ষিণে জর্ডান অবস্থিত।
-
বাফার জোন: সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে এটি একটি সংঘাতমুক্ত বিশেষ অঞ্চল (বাফার জোন) হিসেবে বিবেচিত।
-
ঐতিহাসিক দখল: ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার হামলার পর ইসরায়েল ১২০০ বর্গকিলোমিটার (৪৬০ বর্গমাইল) গোলান দখল করে।
-
১৯৭৩ যুদ্ধ: ইয়োম কিপুর যুদ্ধের সময় সিরিয়া গোলানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
-
অস্ত্রবিরতি ও জাতিসংঘের উপস্থিতি: ১৯৭৪ সালে অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ৮০ কিলোমিটার লম্বালম্বি এলাকা উভয় পক্ষকে ছেড়ে দিতে হয়। এই এলাকায় জাতিসংঘের ডিজএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
-
ইসরায়েলের ঘোষণা: ১৯৮১ সালে ইসরায়েল ঘোষণা করে গোলান মালভূমি তাদের অংশ।
-
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: আন্তর্জাতিকভাবে কখনোই এই দখলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি স্বীকৃতি দেন।
-
যুদ্ধবিরতি রেখা: গোলান মালভূমিতে ‘পার্পল লাইন’ নামে পরিচিত একটি যুদ্ধবিরতি রেখা রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য কয়টি?
Created: 1 month ago
A
১১
B
১৫
C
১৭
D
২১
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) হলো ২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে নির্ধারিত একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো, যা বিশ্বের সকল দেশের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গৃহীত হয়।
এর মূল নীতি হলো “Leaving no one behind”, অর্থাৎ কারও পিছনে ফেলা হবে না। এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো বাস্তবায়নের জন্য ১৭টি প্রধান লক্ষ্য এবং ১৬৯টি নির্দিষ্ট টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মেয়াদকাল ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এবং বাস্তবায়ন শুরু হয় ১ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে, যার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর, ২০৩০।
এসডিজির ১৭টি মূল লক্ষ্যমাত্রা হলো:
-
দারিদ্র্য বিলোপ
-
ক্ষুধা মুক্তি
-
সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ
-
মানসম্মত শিক্ষা
-
লিঙ্গ সমতা
-
নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন
-
সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি
-
শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
-
শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো
-
অসমতার হ্রাস
-
টেকসই নগর ও জনপদ
-
পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন
-
জলবায়ু কার্যক্রম
-
জলজ জীবন
-
স্থলজ জীবন
-
শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান
-
অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব
0
Updated: 1 month ago
প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসনের 14 points এ কত নম্বর point এ জাতিপুঞ্জের সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
৯
B
১২
C
১৩
D
১৪
উড্রো উইলসনের ১৪ দফা ও জাতিসংঘের ভিত্তি
উড্রো উইলসন
-
উড্রো উইলসন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট।
-
১৯১৮ সালের ৮ জানুয়ারি, তিনি মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইউরোপে স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য একটি বক্তৃতা দেন।
-
এই বক্তৃতায় তিনি ১৪ দফার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
-
এর ১৪ নং দফায় তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, অর্থাৎ জাতিসংঘ বা লীগ অব নেশনস (League of Nations) গঠনের আহ্বান জানান, যা বিশ্বে শান্তি ও সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
লীগ অব নেশনস (League of Nations):
-
এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে গঠন করা হয়।
-
প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের পর বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
-
উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
মূল লক্ষ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা।
-
একে অপরকে আক্রমণ থেকে বিরত রাখা।
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করা হলে সম্মিলিতভাবে সহায়তা করা।
-
সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান ও ম্যান্ডেট বিষয়ক আলোচনা।
-
সংগঠন ও কার্যক্রম:
-
দুটি মূল অঙ্গ: কাউন্সিল এবং সাধারণ পরিষদ।
-
শক্তিশালী ৫ রাষ্ট্রের সদস্য: ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান।
-
পাশাপাশি ৪টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র রাখা হয়।
-
১৯৩০-এর দশকে বিভিন্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এটি ২০ এপ্রিল ১৯৪৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।
উৎস: UN ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago