যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত 'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার' ইরানে কবে হামলা করে?
A
২০ জুন ২০২৫
B
২১ জুন ২০২৫
C
২২ জুন ২০২৫
D
২৩ জুন ২০২৫
উত্তরের বিবরণ
২২ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত অপারেশন মিডনাইট হ্যামার (Operation Midnight Hammer) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি আক্রমণ চালানো হয়। এটি ছিল একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান যেখানে উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল।
অপারেশন মিডনাইট হ্যামার (Operation Midnight Hammer):
-
২২ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় এ আক্রমণ পরিচালনা করে।
-
এই অভিযানে ইরানের তিনটি মূল পরমাণু স্থাপনা—ফর্দো, ইস্ফাহান এবং নাতাঞ্জ—প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল।
-
মার্কিন সেনা জানিয়েছে, হামলার সময় ছিল শনিবার রাত ২২:৪০ GMT থেকে ২৩:০৫ GMT, যা ইরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী রবিবার রাত ০২:৪০ থেকে ০৩:০৫।
-
অর্থাৎ পুরো অভিযানটি চলেছিল প্রায় ২৫ মিনিট।
অভিযানে ব্যবহৃত শক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম:
-
এই অভিযানে ১২৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
-
যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বি-২ বোমারু বিমান মিসৌরি থেকে উড্ডয়ন করে প্রায় ৩৭ ঘণ্টার দীর্ঘ ফ্লাইট শেষে ইরানে পৌঁছে।
-
বি-২ বোমারু বিমানগুলো ১৪টি বাংকার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে।
-
প্রতিটি বি-২ বিমান দুটি করে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা বহনে সক্ষম।
-
অভিযানে অংশ নেয় আরও ফুয়েল ট্যাংকার প্লেন (জ্বালানি ভরার বিমান) এবং সারভেইলেন্স এয়ারক্রাফট (নজরদারি বিমান)।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান:
-
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হেগসেথ জানান, এই মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকি দূর করা।
প্রাসঙ্গিক ঘটনাপ্রবাহ:
-
এর আগে ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে ইসরায়েল ইরানে অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion) পরিচালনা করে, যেখানে ডজনখানেক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়।
-
এর জবাবে ইরান শুরু করে অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি, যার ফলে উভয় দেশের মধ্যে বিমানযুদ্ধ অব্যাহত থাকে।
0
Updated: 1 month ago
কোথায় শেনজেন (Schengen) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৫ সালে ডেনমার্কে
B
১৯৮৪ সালে বেলজিয়ামে
C
১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গে
D
১৯৯৬ সালে হাঙ্গেরিতে
শেনজেন চুক্তি হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ব্যক্তিদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করে। চুক্তিটি ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরেই স্বাক্ষর করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৬ মার্চ চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইউরোপে ভিসামুক্ত যাত্রা শুরু হয়।
-
শেনজেনভুক্ত দেশ সংখ্যা: ২৯টি।
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৫টি দেশ এবং ইইউর বাইরে চারটি দেশ—সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন—ও শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
-
সর্বশেষ শেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হয়েছে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া, যা ২০২৪ সালের মার্চে কার্যকর হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
'MERCOSUR' নিচের কোন অঞ্চলের বাণিজ্য জোট হিসেবে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ আমেরিকা
B
উত্তর আফ্রিকা
C
উত্তর আমেরিকা
D
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
MERCOSUR হলো দক্ষিণ আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য জোট যা অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠিত। এটি মূলত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য এবং রাজনৈতিক সমন্বয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা: ২৬ মার্চ, ১৯৯১
-
সদরদপ্তর: মন্টিভিডিও, উরুগুয়ে
-
প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তি: Treaty of Asuncion, যা স্বাক্ষরিত হয় প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিয়নে
-
প্রধান ভাষা: স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৫টি দেশ – আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, উরুগুয়ে (অক্টোবর, ২০২৫ অনুযায়ী)
-
ভেনেজুয়েলার সদস্যপদ: ২০১৬ সালে স্থগিত করা হয়
-
সহযোগী সদস্য দেশসমূহ: পানামা, চিলি, পেরু, ইকুয়েডর, গায়ানা, সুরিনাম, কলম্বিয়া
MERCOSUR-এর মূল লক্ষ্য হলো regional integration এবং economic cooperation বৃদ্ধি করা, যাতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো একে অপরের সাথে আরও সুসংহতভাবে বাণিজ্য এবং নীতি নির্ধারণে কাজ করতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
আরব লীগ প্রতিষ্ঠা পায়-
Created: 2 months ago
A
১৯৪৯
B
১৯৫০
C
১৯৪৫
D
১৯৪০
আরব লীগ (Arab League)
-
প্রতিষ্ঠা: আরব লীগ ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ গঠিত হয়।
-
প্রেক্ষাপট: ৭ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায় স্বাক্ষরিত প্রটোকল (Alexandria Protocol) আরব লীগের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।
-
ধরন: এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আঞ্চলিক সংগঠন।
-
উদ্দেশ্য: সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সমন্বয় করা এবং দেশগুলোর মধ্যে বন্ধন শক্তিশালী করা।
-
সদর দপ্তর: কায়রো, মিশর।
-
সদস্য সংখ্যা: প্রতিষ্ঠাকালে ৭টি দেশ; বর্তমানে ২২টি দেশ (যেমন: মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, লেবানন, জর্দান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, বাহরাইন, ওমান, কাতার, ইরাক, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরোক্কো, সুদান, জিবুতি, ইয়েমেন, মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া)।
-
ভাষা: অফিসিয়াল ভাষা হলো আরবি।
বিশেষ তথ্য: আরব লীগের মধ্যে ইরান অন্তর্ভুক্ত নয়।
উৎস: আরব লীগ ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago