বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
A
ইথেন
B
নাইট্রোজেন
C
হাইড্রোজেন সালফাইড
D
মিথেন
উত্তরের বিবরণ
• বায়োগ্যাসের
প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মিথেন (CH4)।
- যা মোট গ্যাসের প্রায়
50-75% পর্যন্ত হতে পারে।
- মিথেন দাহ্য পদার্থ হওয়ায় এটি বায়োগ্যাসের মূল
জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।
- বায়োগ্যাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপাদান হলো কার্বন ডাই
অক্সাইড (CO2)।
- অন্যান্য গ্যাসের মধ্যে হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) এবং নাইট্রোজেন (N2) খুবই অল্প পরিমাণে
থাকে।
• বায়োগ্যাস:
- প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুরূপ গ্যাস নানা রকম প্রাণী
ও উদ্ভিদের বর্জ্য থেকে তৈরি করার
ব্যবস্থা করা যায়। এ
ধরনের গ্যাসকে বলে বায়োগ্যাস।
- বায়ো অর্থ জীবন। প্রাণী
বা উদ্ভিদ জীবনের অধিকারী বিধায় এদের দেহ এবং
দেহ নিঃসৃত পদার্থ পচনশীল।
গোবর, মলমূত্র, পাতা, খড়কুটো প্রভৃতি পদার্থ পানিতে মিশিয়ে বাতাসের অনুপস্থিতি রাখলে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার
সাহায্যে গাজন প্রক্রিয়া ঘটে।
ফলে এক ধরনের বর্ণহীন
দাহ্য গ্যাস উৎপন্ন হয়।
- বায়োগ্যাসের ব্যবহার পরিবেশবান্ধব, কারণ এটি নবায়নযোগ্য
শক্তির উৎস এবং এর
ব্যবহার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমায়।

0
Updated: 8 hours ago
একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফলকে কী বলা হয়?
Created: 5 days ago
A
অপ্রকৃত ফল
B
গুচ্ছ ফল
C
সরল ফল
D
যৌগিক ফল
ফল হলো নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে।
ফলের প্রকারভেদ:
-
যদি শুধুমাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আম, কাঁঠাল।
-
যদি গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়, তাকে অপ্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আপেল, চালতা।
প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) সরল ফল:
-
ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফল।
-
রসাল বা শুষ্ক হতে পারে।
-
ধরন:
ক) রসাল ফল: ফলত্বক পুরু ও রসাল; পাকলে ফলত্বক ফেটে যায় না। যেমন: আম, জাম, কলা।
খ) নীত ফল: ফলত্বক পাতলা; পরিপক্ক হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়। যেমন: শিম, ঢেঁড়স, সরিষা।
২) যৌগিক ফল:
-
একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ একত্র হয়ে এক ফলের সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: আনারস, কাঁঠাল।
৩) গুচ্ছ ফল:
-
একটি ফুলে অনেকগুলো গর্ভাশয় থাকে; প্রতিটি গর্ভাশয় ফলের রূপ নেয়ে একটি বোঁটার উপর গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উদাহরণ: চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা।

0
Updated: 5 days ago
ইউরেনিয়ামে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
Created: 4 days ago
A
শব্দ শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি
B
তাপ শক্তি → চৌম্বক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি → পারমাণবিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি → তাপ শক্তি
প্রকৃতিতে নানা প্রকার শক্তি বিদ্যমান এবং এ শক্তিগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক ধরনের শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, একেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে তাপ ও আলোক শক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিলামেন্টে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তা উত্তপ্ত হয় এবং আলো নির্গত করে। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি → তাপ শক্তি → আলোক শক্তি।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখা চলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
রাসায়নিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক শক্তির তাপ শক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে শব্দ শক্তি: বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে চুম্বক শক্তি: লোহার উপর তামার তার পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে লোহাটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানি বাষ্পে পরিণত করা হয়। এ বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামো চালায় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
-
আলোক শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি: ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
যান্ত্রিক শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি: ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে তা ভেঙে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত তথ্য: দৈনন্দিন জীবনে শক্তির রূপান্তর খুবই সাধারণ ঘটনা। যেমন, খাবারের রাসায়নিক শক্তি আমাদের শরীরে যান্ত্রিক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, আবার সৌরশক্তি উদ্ভিদের মধ্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপ নেয়।

0
Updated: 4 days ago
হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা কত?
Created: 8 hours ago
A
2
B
3
C
4
D
5
• মানুষের
হৃদপিন্ডে ৪টি প্রকোষ্ঠ (chambers) থাকে, যা রক্ত প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• হৃদপিন্ড:
- মানুষের হৃদপিণ্ড একটি পেশিবহুল অঙ্গ
যা রক্ত সংবহনতন্ত্রের মাধ্যমে
সারা শরীরে রক্ত পাম্প করে।
- এটি চারটি প্রকোষ্ঠ বা চেম্বার নিয়ে
গঠিত: দুটি অলিন্দ (atria) এবং
দুটি নিলয় (ventricles)।
- উপরের দুটি ছোট প্রকোষ্ঠকে
অলিন্দ (ডান অলিন্দ ও
বাম অলিন্দ) বলা হয়, যা
সারা শরীর থেকে রক্ত
গ্রহণ করে।
- নিচের দুটি বড় ও
পুরু প্রকোষ্ঠকে নিলয় (ডান নিলয় ও
বাম নিলয়) বলা হয়, যা
রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন
অংশে পাঠায়।
- অলিন্দ এবং নিলয়ের মাঝে
কপাটিকা (valve) থাকে যা রক্তকে
একমুখী প্রবাহে সাহায্য করে।
- ডান অলিন্দ কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত
রক্ত গ্রহণ করে এবং ডান
নিলয় থেকে তা ফুসফুসে
পাম্প করে। বাম অলিন্দ
ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ
রক্ত গ্রহণ করে এবং বাম
নিলয় থেকে তা শরীরের
অন্যান্য অংশে পাঠায়।
- হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের প্রসারণকে বলে- ডায়াস্টোল এবং
সংকোচনকে বলে- সিস্টোল।
- প্রবাহমান রক্ত রক্তনালীর গায়ে
যে পার্শ্বচাপ দেয় তাকে রক্তচাপ
বলে।
• রক্তচাপ
২ প্রকার। যথা:
১. সিস্টোলিক রক্তচাপ (১১০-১৪০ মি.মি. পারদ)
২. ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (৬০-৯০ মি.মি. পারদ)
- একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির সিস্টোলিক চাপ ১২০ মি.মি. পারদ এবং
ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মি.মি. পারদ। একে
১২০/৮০ রূপে প্রকাশ
করা হয়।
- মানবদেহের রক্তচাপ (Blood Pressure) নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম-স্ফিগমোম্যানোমিটার।
উল্লেখ্য-
- মাছের হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা ২টি।
- উভচর প্রাণী এবং সরীসৃপদের (কুমির
ব্যতীত) হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা ৩টি।

0
Updated: 8 hours ago