ভিটামিন B12 এর রাসায়নিক নাম কি?
A
রাইবোফ্লভিন
B
কোবালামিন
C
থিয়ামিন
D
নিয়াসিন
উত্তরের বিবরণ
• ভিটামিন
B12 এর
রাসায়নিক নাম কোবালামিন, হলো একটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন।
• ভিটামিন
(Vitamin):
- ভিটামিন হলো এক ধরনের
জৈব যৌগ যা জীবের
স্বাভাবিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ এবং
সুস্থ থাকার জন্য খুব অল্প
পরিমাণে প্রয়োজন হয়। মানব শরীর
সাধারণত এগুলো তৈরি করতে পারে
না, তাই খাদ্য থেকে
এগুলো গ্রহণ করতে হয়।
- ভিটামিনকে দুটি প্রধান ভাগে
ভাগ করা হয়: স্নেহ
পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন (যেমন: A, D, E, K) এবং পানিতে দ্রবণীয়
ভিটামিন (যেমন: B কমপ্লেক্স এবং C)।
• ভিটামিন
B12 (কোবালামিন):
- ভিটামিন B12, যা কোবালামিন নামে
পরিচিত, একটি পানিতে দ্রবণীয়
ভিটামিন।
- কোবালামিন নামটি এসেছে কারণ এই ভিটামিনের
অণুতে কোবাল্ট নামক একটি খনিজ
পদার্থ থাকে, যা এর কার্যকারিতার
জন্য অপরিহার্য
- এটি নতুন লোহিত রক্তকণিকা
তৈরিতে সাহায্য করে। এর অভাবে
মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা) হয়, যেখানে লোহিত
রক্তকণিকা অস্বাভাবিকভাবে বড় হয় এবং
তাদের সংখ্যা কমে যায়।
- এটি স্নায়ু কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং স্নায়ুতন্ত্রের আবরণ
(myelin sheath) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- এর অভাবে স্নায়বিক দুর্বলতা, হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ
ধরা বা অসাড়তা এবং
স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
- এটি শরীরের প্রতিটি কোষে ডিএনএ সংশ্লেষণ
এবং নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ভিটামিন B12 সাধারণত প্রাণিজ উৎসে পাওয়া যায়,
যেমন: মাংস, মাছ, ডিম, এবং
দুগ্ধজাত পণ্য।
উল্লেখ্য-
- রাইবোফ্লভিন: এটি ভিটামিন B2 এর রাসায়নিক নাম।
- থিয়ামিন: এটি ভিটামিন B1 এর রাসায়নিক নাম।
- নিয়াসিন: এটি ভিটামিন B3 এর রাসায়নিক নাম।

0
Updated: 8 hours ago
নিচের কোনটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে?
Created: 5 days ago
A
ভূমিকম্প
B
বন্যা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
বজ্রপাত
সুনামি শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ। অর্থাৎ সুনামি বলতে বোঝায় বন্দরের ঢেউ। এটি এক ধরনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
-
সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনার কারণে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
-
এই দুর্যোগ কেবল সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে একটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
-
এই সুনামিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই নিহত হয় প্রায় এক লাখ মানুষ।
-
সুনামি অগভীর পানির দিকে আসতে থাকলে ধীরে ধীরে তার শক্তি কমতে থাকে।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বিস্তৃত থাকায় বাংলাদেশ সুনামির বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

0
Updated: 5 days ago
নিম্নের কোনটি একটি শক্তিশালী এসিড?
Created: 5 days ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
সাইট্রিক এসিড
C
এসিটিক এসিড
D
অক্সালিক এসিড
শক্তিশালী ও দুর্বল এসিড:
কিছু জৈব এসিড পানিতে বিযোজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) মুক্ত করে, কিন্তু সবসময় পুরোপুরি নয়। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু থেকে H⁺ মুক্ত হয় না। এই ধরনের এসিডকে দুর্বল এসিড বলা হয়।
পক্ষান্তরে, খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিযোজিত হয়ে H⁺ মুক্ত করে। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু বিযোজিত হয়। তাই এ ধরনের এসিডকে শক্তিশালী এসিড বলা হয়।
-
তবে কিছু এসিড যেমন কার্বোনিক এসিড (H₂CO₃), যদিও জৈব নয়, তবুও দুর্বল এসিড হিসেবে বিবেচিত।
দুর্বল এসিডের উদাহরণ:
-
এসিটিক এসিড (CH₃COOH)
-
সাইট্রিক এসিড (C₆H₈O₇)
-
অক্সালিক এসিড (HOOC-COOH)
শক্তিশালী এসিডের উদাহরণ:
-
নাইট্রিক এসিড (HNO₃)
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)
-
সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)

0
Updated: 5 days ago
মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।

0
Updated: 5 days ago