চন্দ্রে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর ওজনের
A
দ্বিগুন
B
তিনগুন
C
দুইভাগের একভাগ
D
ছয়ভাগের একভাগ
উত্তরের বিবরণ
• চন্দ্রে
কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ।
- কোন বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে
যে বলে আকর্ষণ করে,
তাকে ঐ বস্তুর ওজন
বলে।
- পৃথিবী থেকে যতই উপরে
উঠা যায় বস্তুর ওজন
ততই কমতে থাকে।
- কোনো বস্তুর ওজন নির্ভর করে
তার ভর এবং যে
স্থানে বস্তুটি রয়েছে সেখানকার অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর।
- ওজনের সূত্র হলো: W = mg (এখানে W হলো ওজন, m হলো
ভর এবং g হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ)।
- চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মাত্র ছয়ভাগের একভাগ (প্রায় 1.625 m/s2)।
- উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো বস্তুর
ওজন পৃথিবীতে 60 কিলোগ্রাম হয়, তবে চাঁদে
তার ওজন হবে মাত্র
10 কিলোগ্রাম
- এই কারণে, মহাকাশচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে খুব হালকা অনুভব
করে এবং লাফিয়ে লাফিয়ে
চলাচল করতে পারে।

0
Updated: 8 hours ago
কোন ভিটামিন একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে?
Created: 8 hours ago
A
ভিটামিন A
B
ভিটামিন B
C
ভিটামিন C
D
ভিটামিন D
• ভিটামিন
C, যা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
• ভিটামিন
(Vitamin):
- ভিটামিন হলো এক ধরনের
জৈব যৌগ যা জীবের
স্বাভাবিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ এবং
সুস্থ থাকার জন্য খুব অল্প
পরিমাণে প্রয়োজন হয়। মানব শরীর
সাধারণত এগুলো তৈরি করতে পারে
না, তাই খাদ্য থেকে
এগুলো গ্রহণ করতে হয়।
- ভিটামিনকে দুটি প্রধান ভাগে
ভাগ করা হয়: স্নেহ
পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন (যেমন: A, D, E, K) এবং পানিতে দ্রবণীয়
ভিটামিন (যেমন: B কমপ্লেক্স এবং C)।
• ভিটামিন
C :
- ভিটামিন C, যা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড
নামে পরিচিত, একটি পানিতে দ্রবণীয়
ভিটামিন।
- এটি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন ও কার্যকারিতা বাড়িয়ে
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে।
- কোলাজেন নামক প্রোটিন উৎপাদনে
এটি অপরিহার্য, যা ত্বক, হাড়,
পেশি এবং রক্তনালীকে শক্তিশালী
করে।
- এটি নতুন টিস্যু গঠনে
সহায়তা করে।
- ভিটামিন সি এর দীর্ঘদিনের
অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
- ভিটামিন C এর প্রধান উৎসগুলো
হলো লেবু, কমলা, পেঁপে, স্ট্রবেরি, টমেটো এবং বিভিন্ন ধরনের
সবুজ শাকসবজি।
• এন্টিঅক্সিডেন্ট:
- এন্টিঅক্সিডেন্ট হলো এমন একটি
পদার্থ যা ফ্রি রেডিক্যাল
নামক অস্থির অণুর ক্ষতিকর প্রভাব
থেকে শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
- ফ্রি রেডিক্যাল হলো অস্থির অণু,
যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে এবং
কোষের ক্ষতি করতে পারে। এই
ধরনের ক্ষতি বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে,
যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং আর্থ্রাইটিস।
- ভিটামিন C এই ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে
নিষ্ক্রিয় করতে সহায়তা করে,
ফলে কোষের ক্ষতি রোধ হয়।

0
Updated: 8 hours ago
মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।

0
Updated: 5 days ago
জীববৈচিত্র্যকে কতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
দুই
B
তিন
C
চার
D
পাঁচ
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity):
-
সংজ্ঞা:
পৃথিবীর পরিবেশে জীব ও জড় উপাদানের সমন্বয়ে যে বিচিত্রতা বিদ্যমান, তাকে জীববৈচিত্র্য বলা হয়।-
প্রতিটি প্রজাতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যা তাদের অন্য সব প্রজাতি থেকে আলাদা ও শনাক্তযোগ্য করে।
-
-
জীববৈচিত্র্যের স্তর:
জীববৈচিত্র্যকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে:
১. প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species diversity): এক প্রজাতির মধ্যে বা বিভিন্ন প্রজাতির বৈচিত্র্য।
২. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity): পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন জীবের সংমিশ্রণ।
৩. বংশগতীয় বৈচিত্র্য (Genetical diversity): একই প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন জেনেটিক বৈশিষ্ট্য।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago