বিশুদ্ধ পানির pH কত?
A
5
B
6
C
7
D
8
উত্তরের বিবরণ
• বিশুদ্ধ
পানি নিরপেক্ষ প্রকৃতির, এর pH হলো ৭।
• pH:
- pH হলো হাইড্রোজেন আয়নের ঘনত্বের একটি পরিমাপ যা
কোনো দ্রবণের অম্লতা বা ক্ষারীয়তা নির্দেশ
করে।
- এর মান 0 থেকে 14 পর্যন্ত হয়।
- একটি পদার্থের নিরপেক্ষতা তার pH মানের উপর নির্ভর করে।
- pH স্কেলে 7 মানটি নিরপেক্ষতা নির্দেশ করে।
- pH মান 7 এর নিচে হলে
দ্রবণটি অম্লীয় এবং 7 এর উপরে হলে
ক্ষারীয় হয়।
- বিশুদ্ধ পানিতে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) এবং হাইড্রোক্সিল আয়ন
(OH−) এর ঘনত্ব সমান থাকে, তাই
এর pH মান 7 হয়।
- বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড বৃষ্টির
পানির সাথে মিশে কার্বনিক
এসিড তৈরি করে, যার
কারণে বৃষ্টির পানির pH 7 এর থেকে কিছুটা
কম হয় (সাধারণত 5.6-এর
কাছাকাছি)।
- মাটির pH সাধারণত 4-8 হয়ে থাকে।
- স্বাভাবিক অবস্থায় মানব দেহের রক্তের
pH = 7.45।
- বিশুদ্ধ পানির pH 20°- 27°C তাপমাত্রায় 7।

0
Updated: 8 hours ago
সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ সঞ্চালিত হয় কোন পদ্ধতিতে?
Created: 5 days ago
A
শোষণ
B
পরিবহন
C
বিকিরণ
D
পরিচলন
তাপ সবসময় অধিক তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে প্রবাহিত হয়। এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাপের স্থানান্তরকেই তাপ সঞ্চালন বলা হয়। তাপ সঞ্চালন মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
পরিচলন পদ্ধতি: কোনো পদার্থের উষ্ণতর অংশের অণুগুলি তাপ গ্রহণ করে শক্তি অর্জন করে এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। একই সঙ্গে উপরের ঠাণ্ডা অণুগুলি নিচে নেমে এসে তাপ গ্রহণ করে। এভাবে কণার স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে উষ্ণতা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তরল ও বায়বীয় পদার্থে এই প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালন ঘটে। যেমন, চুলায় রাখা পানির পাত্র ধীরে ধীরে সমভাবে গরম হয়।
-
বিকিরণ পদ্ধতি: এখানে তাপ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তাপ আসে তা বিকিরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে। এইভাবে সঞ্চালিত তাপকে বিকীর্ণ তাপ বলা হয়।
-
পরিবহন পদ্ধতি: এ প্রক্রিয়ায় অণুগুলি স্থান পরিবর্তন করে না; বরং তারা স্পন্দনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী অণুকে তাপ সরবরাহ করে। এতে উষ্ণতর অংশ থেকে শীতল অংশে তাপ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। কঠিন পদার্থে প্রধানত পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়।

0
Updated: 5 days ago
'শ্বসন ও সালোকসংশ্লেষণ' জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় আলোচনা করা হয়?
Created: 1 week ago
A
সাইটোলজি
B
এমব্রায়োলজি
C
ফিজিওলজি
D
মরফোলজি
জীববিজ্ঞানের বিশেষ শাখা হলো জীববিজ্ঞানের সেই শাখাগুলি যা জীবের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে। প্রধান শাখাগুলি হলো:
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology):
-
জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য এবং আকার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
শ্রেণিবিন্যাস (Classification বা Taxonomy):
-
জীবজগৎকে বোঝার সুবিধার জন্য বিভিন্ন দল-উপদলে ভাগ করা হয়।
-
প্রতিটি জীব প্রজাতি একটি গণ, গোত্র, বর্গ এবং শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
-
শারীরবিদ্যা (Physiology):
-
জীবের শ্বসন, রেচন, প্রজনন, পরিপাক, আত্তীকরণ এবং সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণসহ অন্যান্য জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া আলোচনা করা হয়।
-
-
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology):
-
ভ্রূণ গঠন ও বিকাশের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ জীবের সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
কোষবিদ্যা (Cytology):
-
কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কার্যকারিতার একক।
-
কোষ এবং কোষাঙ্গাণুর গঠন, কার্যকারিতা ও বিভাজন বিষয়ক আলোচনা এই শাখায় হয়।
-
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics):
-
মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তানে কিভাবে স্থানান্তরিত হয় তা বিশ্লেষণ করা হয়।
-
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology):
-
জীবসমূহ যে পরিবেশে বাস করে এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে তাদের আন্তঃসম্পর্কের বিষয় আলোচনা করা হয়।
-

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি অজৈব যৌগ নয়?
Created: 5 days ago
A
পানি
B
খাবার সোডা
C
কস্টিক সোডা
D
পেন্টাইন
জৈব যৌগ হলো সেই যৌগসমূহ যা প্রধানত কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত। এই হাইড্রোকার্বন এবং এদের বিভিন্ন রূপই জৈব যৌগ হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: মিথেন, ইথেন, বেনজিন, ইউরিয়া, প্রোপিন, পেন্টাইন ইত্যাদি।
-
জৈব যৌগের বিক্রিয়া সাধারণত অনেক সময় নেয়।
-
এগুলো সাধারণত সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত হয়।
-
জৈব রসায়নের জনক: ফ্রেডরিখ ভোলার।
অজৈব যৌগ হলো সেই যৌগ যা দুই বা ততোধিক মৌলের সমন্বয়ে গঠিত এবং সাধারণত কার্বন ধারণ করে না।
-
উদাহরণ: পানি, খাবার লবণ, খাবার সোডা, কাপড় কাচার সোডা, কস্টিক সোডা, চুন, মরিচা ইত্যাদি।

0
Updated: 5 days ago