ল্যাকটিক এসিড নিচের কোনটিতে পাওয়া যায়?
A
দই
B
পালংশাক
C
লেবু
D
ভিনেগার
উত্তরের বিবরণ
• দই
তৈরির প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক এসিড এ রূপান্তরিত করে।
- এই ল্যাকটিক এসিডই দইয়ের টক স্বাদ এবং
ঘন গঠনের জন্য দায়ী।
• ল্যাকটিক
এসিড:
- ল্যাকটিক এসিড হলো এক
ধরনের জৈব যৌগ, যা
একটি কার্বোক্সিলিক এসিড। এর রাসায়নিক সূত্র
হলো C3H6O3।
- এটি সাধারণত দুধের শর্করা (ল্যাকটোজ) এবং অন্যান্য শর্করা
থেকে গাঁজন (fermentation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
- এটি দই ও অন্যান্য
গাঁজনকৃত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার
করা হয়। এটি খাদ্যকে
জমাট বাঁধাতে এবং স্বাদ তৈরি
করতে সাহায্য করে।
- তীব্র শারীরিক কাজের সময় (যেমন: ব্যায়াম), শরীরে অক্সিজেন সীমিত হলে গ্লুকোজ ল্যাকটিক
এসিডে রূপান্তরিত হয়, যা শক্তি
দেয়।
- ল্যাকটিক এসিড অন্ত্রে উপকারী
ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটিয়ে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার
বিস্তার রোধ করে হজম
প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
উল্লেখ্য-
- পালংশাক→ অক্সালিক এসিড।
- লেবু → সাইট্রিক এসিড।
- ভিনেগার → অ্যাসেটিক এসিড।

0
Updated: 8 hours ago
সালোকসংশ্লেষণের প্রধান উপজাত (by-product) কী?
Created: 5 days ago
A
পানি
B
অক্সিজেন
C
নাইট্রোজেন
D
কার্বন ডাই-অক্সাইড
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া
সালোকসংশ্লেষণ হলো একটি জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ সবুজ পাতার ক্লোরোফিল রঞ্জকের সাহায্যে সূর্যালোক ব্যবহার করে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি থেকে খাদ্য তৈরি করে।
-
প্রক্রিয়ায় প্রধান খাদ্য উপাদান হিসেবে শর্করা উৎপন্ন হয়, যা সাধারণত স্টার্চ (মাড়) আকারে উদ্ভিদদেহে সঞ্চিত থাকে।
-
প্রাণিদেহে অতিরিক্ত শর্করা গ্লাইকোজেন আকারে যকৃত ও পেশিতে জমা থাকে।
-
সালোকসংশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত (by-product) হলো অক্সিজেন, যা পরিবেশে নিঃসরণ হয়ে প্রাণীর জীবনধারণে সহায়ক।
রাসায়নিক সমীকরণ:
6CO₂ + 6H₂O + আলো → C₆H₁₂O₆ + 6O₂

0
Updated: 5 days ago
জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয়-
Created: 4 days ago
A
পৃথিবীর সাথে সূর্যের আকর্ষণের ফলে
B
পৃথিবীর সাথে গ্রহ নক্ষত্রের আকর্ষণের ফলে
C
গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
D
পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
- পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে জোয়ার-ভাঁটা সংঘটিত হয়।
জোয়ার-ভাটা:
- মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
- সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।
- চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 days ago
মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।

0
Updated: 5 days ago