হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা কত?
A
2
B
3
C
4
D
5
উত্তরের বিবরণ
• মানুষের
হৃদপিন্ডে ৪টি প্রকোষ্ঠ (chambers) থাকে, যা রক্ত প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• হৃদপিন্ড:
- মানুষের হৃদপিণ্ড একটি পেশিবহুল অঙ্গ
যা রক্ত সংবহনতন্ত্রের মাধ্যমে
সারা শরীরে রক্ত পাম্প করে।
- এটি চারটি প্রকোষ্ঠ বা চেম্বার নিয়ে
গঠিত: দুটি অলিন্দ (atria) এবং
দুটি নিলয় (ventricles)।
- উপরের দুটি ছোট প্রকোষ্ঠকে
অলিন্দ (ডান অলিন্দ ও
বাম অলিন্দ) বলা হয়, যা
সারা শরীর থেকে রক্ত
গ্রহণ করে।
- নিচের দুটি বড় ও
পুরু প্রকোষ্ঠকে নিলয় (ডান নিলয় ও
বাম নিলয়) বলা হয়, যা
রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন
অংশে পাঠায়।
- অলিন্দ এবং নিলয়ের মাঝে
কপাটিকা (valve) থাকে যা রক্তকে
একমুখী প্রবাহে সাহায্য করে।
- ডান অলিন্দ কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত
রক্ত গ্রহণ করে এবং ডান
নিলয় থেকে তা ফুসফুসে
পাম্প করে। বাম অলিন্দ
ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ
রক্ত গ্রহণ করে এবং বাম
নিলয় থেকে তা শরীরের
অন্যান্য অংশে পাঠায়।
- হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের প্রসারণকে বলে- ডায়াস্টোল এবং
সংকোচনকে বলে- সিস্টোল।
- প্রবাহমান রক্ত রক্তনালীর গায়ে
যে পার্শ্বচাপ দেয় তাকে রক্তচাপ
বলে।
• রক্তচাপ
২ প্রকার। যথা:
১. সিস্টোলিক রক্তচাপ (১১০-১৪০ মি.মি. পারদ)
২. ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (৬০-৯০ মি.মি. পারদ)
- একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির সিস্টোলিক চাপ ১২০ মি.মি. পারদ এবং
ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মি.মি. পারদ। একে
১২০/৮০ রূপে প্রকাশ
করা হয়।
- মানবদেহের রক্তচাপ (Blood Pressure) নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম-স্ফিগমোম্যানোমিটার।
উল্লেখ্য-
- মাছের হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা ২টি।
- উভচর প্রাণী এবং সরীসৃপদের (কুমির
ব্যতীত) হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা ৩টি।

0
Updated: 8 hours ago
মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে?
Created: 5 days ago
A
ভূমিকম্প
B
বন্যা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
বজ্রপাত
সুনামি শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ। অর্থাৎ সুনামি বলতে বোঝায় বন্দরের ঢেউ। এটি এক ধরনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
-
সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনার কারণে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
-
এই দুর্যোগ কেবল সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে একটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
-
এই সুনামিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই নিহত হয় প্রায় এক লাখ মানুষ।
-
সুনামি অগভীর পানির দিকে আসতে থাকলে ধীরে ধীরে তার শক্তি কমতে থাকে।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বিস্তৃত থাকায় বাংলাদেশ সুনামির বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
Created: 5 days ago
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।

0
Updated: 5 days ago