চোখের লেন্সের ধরণ কোনটি?
A
উত্তল
B
অবতল
C
দ্বি-উত্তল
D
দ্বি-অবতল
উত্তরের বিবরণ
• মানুষের
চোখের লেন্সটি হলো একটি দ্বি-উত্তল লেন্স, যা উভয় দিকেই উত্তল আকৃতির।
- এই লেন্সটি অভিসারী লেন্স হিসেবে কাজ করে এবং
আলোকরশ্মিকে প্রতিসারিত করে রেটিনার উপর
ফোকাস করতে সাহায্য করে,
যার ফলে আমরা কোনো
বস্তুর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব দেখতে পাই।
• দ্বি-উত্তল লেন্স:
- দ্বি-উত্তল লেন্স হলো একটি বিশেষ
ধরনের উত্তল লেন্স, যার উভয় পৃষ্ঠই
বাইরের দিকে বক্রাকার বা
উত্তল আকৃতির।
- এটি অভিসারী (converging) লেন্স হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এর
মধ্য দিয়ে যাওয়া সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে
(ফোকাস বিন্দুতে) একত্রিত করে।
- এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি এর
মধ্য দিয়ে আপতিত সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে প্রতিসরণের পর একটি বিন্দুতে
মিলিত করে।
- এটি সাধারণত বাস্তব (real) এবং উল্টো (inverted) প্রতিবিম্ব
তৈরি করে।
- রেটিনায় সৃষ্ট উল্টো প্রতিবিম্বের তথ্য অপটিক স্নায়ুর
মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, এবং মস্তিষ্ক সেই
সংকেতগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে সোজা করে
দেখায়।
• চোখে
দ্বি-উত্তল লেন্সের কার্যকারিতা:
- চোখের লেন্স হলো একটি প্রাকৃতিক,
নমনীয় এবং স্বচ্ছ দ্বি-উত্তল লেন্স।
- এর মূল কাজ হলো
বিভিন্ন দূরত্বে থাকা বস্তু থেকে
আসা আলোকরশ্মিকে রেটিনার ওপর সঠিকভাবে ফোকাস
করা, যাতে একটি স্পষ্ট
প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
• উপযোজন
(Accommodation) প্রক্রিয়া:
- চোখের লেন্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর উপযোজন
ক্ষমতা। এটি চোখের সিলিয়ারি
পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
- দূরের বস্তু দেখার জন্য চোখের লেন্স
পাতলা হয়ে যায়, যার
ফলে ফোকাস দূরত্ব বেড়ে যায় এবং রেটিনার
উপর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
- আর কাছের বস্তু দেখার সময় লেন্সটি মোটা
হয়ে যায়, যার কারণে ফোকাস
দূরত্ব কমে যায় এবং
রেটিনার উপর প্রতিবিম্ব সঠিকভাবে
গঠিত হয়। এই প্রক্রিয়াটিই
উপযোজন নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য-
- উত্তল: এটি লেন্সের একটি
সাধারণ প্রকার, কিন্তু চোখের লেন্সের সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট ধরণ হলো দ্বি-উত্তল।
- অবতল: এটি একটি অপসারী
লেন্স এবং এটি দৃষ্টি
ত্রুটি (যেমন: মায়োপিয়া) সংশোধনের জন্য চশমায় ব্যবহৃত
হয়, চোখে নয়।
- দ্বি-অবতল: এটি অবতল লেন্সের
একটি প্রকারভেদ এবং এটিও সাধারণত
চশমা ও কিছু বিশেষ
আলোকীয় যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 8 hours ago
ইউরেনিয়ামে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
Created: 4 days ago
A
শব্দ শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি
B
তাপ শক্তি → চৌম্বক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি → পারমাণবিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি → তাপ শক্তি
প্রকৃতিতে নানা প্রকার শক্তি বিদ্যমান এবং এ শক্তিগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক ধরনের শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, একেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে তাপ ও আলোক শক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিলামেন্টে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তা উত্তপ্ত হয় এবং আলো নির্গত করে। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি → তাপ শক্তি → আলোক শক্তি।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখা চলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
রাসায়নিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক শক্তির তাপ শক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে শব্দ শক্তি: বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে চুম্বক শক্তি: লোহার উপর তামার তার পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে লোহাটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানি বাষ্পে পরিণত করা হয়। এ বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামো চালায় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
-
আলোক শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি: ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
যান্ত্রিক শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি: ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে তা ভেঙে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত তথ্য: দৈনন্দিন জীবনে শক্তির রূপান্তর খুবই সাধারণ ঘটনা। যেমন, খাবারের রাসায়নিক শক্তি আমাদের শরীরে যান্ত্রিক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, আবার সৌরশক্তি উদ্ভিদের মধ্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপ নেয়।

0
Updated: 4 days ago
n-p-n ট্রানজিস্টরে মাঝখানে কোন ধরনের অপদ্রব্য দিয়ে ডোপিং করা হয়?
Created: 5 days ago
A
ধাতব
B
পাঁচযোজী
C
তিনযোজী
D
নিরোধক
ট্রানজিস্টর (Transistor) হলো এক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সংকেত পরিবর্ধন, সুইচিং এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিন স্তরের অর্ধপরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
ট্রানজিস্টরের গঠন:
-
ট্রানজিস্টরে দুটি চওড়া স্তরের মধ্যে একটি সরু স্তর যুক্ত থাকে।
-
এর গঠন হতে পারে:
-
p-n-p ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে n-টাইপ স্তর গঠিত হয়।
-
এটি গঠিত হয় তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) এবং পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
n-p-n ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে n-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
এটি গঠিত হয় পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) এবং তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
বিশেষ দিক:
-
একটি ট্রানজিস্টরকে অনেক সময় দুটি ডায়োডকে পিঠাপিঠি (Back to back) যুক্ত বলে ধরা হয়।
-
ট্রানজিস্টরের মাঝের সরু অংশকে বলে বেস (Base) বা ভূমি।
-
প্রান্তের যে অংশ তুলনামূলকভাবে সরু ও বেশি অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে এমিটার (Emitter) বা নিঃসারক।
-
অপর প্রান্তের স্তর তুলনামূলক চওড়া এবং বেসের সমান অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে কালেক্টর (Collector) বা সংগ্রাহক।

0
Updated: 5 days ago
তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের একটি উদাহরণ নয় কোনটি?
Created: 4 days ago
A
ইথানয়িক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
কপার সালফেট
তড়িৎ বিশ্লেষ্য হলো এমন পদার্থ যা কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে না, কিন্তু গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে এবং এর সাথে সাথে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পদার্থ আয়নে বিভক্ত থাকে এবং ঐ আয়নের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ পরিবাহিতা ঘটে।
-
তড়িৎ বিশ্লেষ্য সাধারণত আয়নিক যৌগ অথবা কিছু পোলার সমযোজী যৌগ, যা গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নিত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য দুই প্রকার।
১। তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়।
-
এগুলো বিদ্যুৎ পরিবহণে খুবই কার্যকর।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)।
২। মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে খুব অল্প পরিমাণে আয়নিত হয়।
-
এরা বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে, তবে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের তুলনায় অনেক দুর্বল।
-
উদাহরণ: অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
অতিরিক্ত তথ্য: তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মৌল বা যৌগে ভেঙে যায়। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে সোডিয়াম ও ক্লোরিন গ্যাস পাওয়া যায়।

0
Updated: 4 days ago