জিয়া সার কারখানায় উৎপাদিত সারের নাম কি?
A
অ্যামোনিয়া
B
টিএসপি
C
ইউরিয়া
D
সুপার ফসফেট
উত্তরের বিবরণ
জিয়া সার কারখানা ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এ অবস্থিত।
- এ সার কারখানা তে — ইউরিয়া উৎপাদিত হয়।
--------------------
• জিয়া সার কারখানা/আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল )-এর ইতিকথা:
- ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানী (এএফসিসি) নামে এ কারখানা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী রূপে যাত্রা শুরু করে।
- তখন এর নাম ছিল আশুগঞ্জ ফর্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি।
- এ কারখানার উৎপাদন শুরু হয় ১৯৮১ সালের শুরুর দিকে।
- ১২ ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে তৎকালীন সরকারী সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানী (এএফসিসি) এর নাম পরিবর্তন করে জিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড নামকরণ করা হয়।
- ০৭/০১/২০১০ তারিখে একনেক সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নিমিত্তে সার কারখানাটির নাম পরিবর্তন করে “আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড (এএফসিসিএল)”করা হয়।
-------------------
• সার:
- কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সারগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত সার – ইউরিয়া সার।
- ২০২২- ২৩ অর্থবছরে মোট সার ব্যবহৃত হয়েছে ৫৯.১৩ লক্ষ মেট্রিক টন যার মধ্যে ইউরিয়া ২২.৮৬ লক্ষ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত সার – ডিএপি (DAP); পরিমাণ – ১৪২৭ হাজার/ মেট্রিক টন।
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট সার ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭.৩৭ লক্ষ মেট্রিক টন যার মধ্যে ইউরিয়া ২২.৩১ লক্ষ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত সার – ডিএপি (DAP); পরিমাণ – ১৩৭১ হাজার/ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন-বিসিআইসি (Bangladesh Chemical Industries Corporation-BCIC):
- বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) দীর্ঘদিন থেকে সফলতার সাথে ইউরিয়া সার উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে।
- বর্তমানে বিসিআইসি’র অধীনে ৮টি চালু শিল্প কারখানা রয়েছে। চালু কারখানাগুলোর মধ্যে ৪টি ইউরিয়া সার কারখানা, ১টি ডিএপি সার কারখানা, ১টি টিএসপি সার কারখানা, ১টি কাগজ কারখানা, ১টি স্যানিটারীওয়্যার ও ইস্যুলেটর কারখানা রয়েছে।
- বিসিআইসি’র উৎপাদিত পণ্যের ৮০ শতাংশই বিভিন্ন রাসায়নিক সার, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইউরিয়া সার এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য সার।
• সার কারখানা:
বিসিআইসি’র চালু কারখানাসমূহ-
১. চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি.,
২. শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানী লি.,
৩. যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লি.,
৪. আশুগঞ্জ ফাটিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানী লি.,
৫. টিএসপি কমপ্লেক্স লি.,
৬. ডিএপি ফার্টিলাইজার কোং লি.
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪, বাংলাপিডিয়া, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল ) ওয়েবসাইট এবং জাতীয় তথ্য বাতায়ন ।

0
Updated: 2 months ago
’রবিশস্য’ বলতে কী বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
গ্রীষ্মকালীন শস্যকে
B
বর্ষাকালীন শস্যকে
C
হেমন্তকালীন শস্যকে
D
শীতকালীন শস্যকে
রবি মৌসুম:
-
শীতকালীন শস্যকে বলে রবিশস্য।
-
কার্তিক থেকে ফাল্গুন হচ্ছে রবি মৌসুম।
-
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কম তাপমাত্রায় রবি শস্য বপন করা হয়।
-
ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে ফসল তোলা হয়।
-
বোরো ধান, গম, মসুর ডাল, যব, সরিষা, পেঁয়াজ, মটরশুঁটি ইত্যাদি ফসল এ মৌসুমের প্রধান শস্য।
-
এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, শিম, টমেটো, আলু ইত্যাদিও এ মৌসুমে চাষ করা হয়।
উৎস: কৃষি শিক্ষা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কত সালে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৭ সালে
C
১৯৭৫ সালে
D
১৯৭৬ সালে
কৃষিশুমারি:
-
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে।
-
স্বাধীনতার পূর্বে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে।
-
অনুষ্ঠিত কৃষিশুমারিগুলো হলো: ১৯৬০, ১৯৭৭, ১৯৮৩–১৯৮৪, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৯।
-
স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ বার।
-
সর্বশেষ কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ৯ জুন থেকে ২০ জুন, ২০১৯ সাল।
উৎস: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

0
Updated: 3 weeks ago
’জুম চাষ’ পদ্ধতি অন্য কী নামে পরিচিত?
Created: 1 week ago
A
আধুনিক কৃষি
B
সমতল কৃষি
C
প্রাচীন কৃষি
D
স্থানান্তর কৃষি
জুম চাষ (Shifting Cultivation)
-
সংজ্ঞা: জুমচাষ হলো পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরিচিত একটি পাহাড়ী মিশ্র কৃষি চাষ পদ্ধতি।
-
পরিচিতি: জুম বা স্থানান্তর চাষাবাদ সাধারণভাবে ‘সুইডেন চাষাবাদ’ বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ হিসেবে পরিচিত।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: এক সময় এখানকার জনগোষ্ঠীর জন্য জুমচাষই ছিল জীবিকা অর্জনের একমাত্র উপায়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সমতল চাষ পরে আয়ত্ব করা হয়।
-
ভূগোলিক বিস্তার: মূলত চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলেও কিছু জুমচাষ হয়।
-
চাষের জেলা: রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান।
-
জীবিকা: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রধান জীবিকা ছিল কৃষি।
-
অন্যান্য নাম: জুমচাষকে স্থানান্তর কৃষি ব্যবস্থা নামেও বলা হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago