A
নিখুঁত
B
আনমনা
C
অবহেলা
D
নিমরাজী
উত্তরের বিবরণ
• ‘নিম’ ফারসি উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ ‘নিমরাজি’।
• ‘নিমরাজি’ শব্দে নিম উপসর্গটি অর্ধেক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
অন্যদিকে,
- 'অবহেলা' শব্দে 'অব' একটি সংস্কৃত উপসর্গ।
- 'আনমনা' শব্দে 'আন' একটি বাংলা উপসর্গ।
- 'নিখুঁত' শব্দে ''নি' একটি বাংলা উপসর্গ।
-------------------
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি বিদেশি উপসর্গ নয়?
Created: 2 months ago
A
রাম
B
নিম
C
আম
D
বর
বিদেশি উপসর্গগুলোর প্রকৃতি অনেক সময় অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয় হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
-
উর্দু উপসর্গ: হর।
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
অন্যদিকে,
খাঁটি বাংলা উপসর্গ হিসেবে রাম একটি নির্দিষ্ট উদাহরণ।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 months ago
'অপমান' শব্দের 'অপ' উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
Created: 2 months ago
A
বিপরীত
B
নিকৃষ্ট
C
বিকৃত
D
অভাব
'অপ' উপসর্গের অর্থ ও ব্যবহার
'অপমান' শব্দে ব্যবহৃত 'অপ' একটি তৎসম উপসর্গ, যা এখানে বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
'অপ' উপসর্গের বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার উদাহরণসহ:
-
বিপরীত অর্থে: অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ
-
নিকৃষ্ট বা খারাপ অর্থে: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ
-
স্থানান্তর অর্থে: অপসারণ, অপহরণ
-
বিকৃত অর্থে: অপমৃত্যু
উপসর্গ
উপসর্গ হল এমন কিছু শব্দাংশ যা ধাতুর আগে বসে একটি নতুন শব্দ গঠন করে। এগুলো মূলত শব্দের অর্থে পরিবর্তন আনে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গের শ্রেণিবিন্যাস
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গ।
সংখ্যা: ২১টি
উদাহরণ: অ, আ, আন, আড়, আব, কদ, কু, নি, সা, সু, হা প্রভৃতি।
🔹 বি, নি, সু, আ এই উপসর্গগুলো খাঁটি বাংলাতেও এবং তৎসম ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়।
২. তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ
সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত উপসর্গ।
সংখ্যা: ২০টি
উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
৩. বিদেশি উপসর্গ
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি ইত্যাদি ভাষা থেকে আগত উপসর্গ।
সংখ্যা নির্দিষ্ট নয় (অনির্দিষ্ট)।
কিছু উদাহরণ:
-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, ফি, বে, বর, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
উৎস:
-
প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি), ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 months ago
বাংলা অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ ব্যাকরণের কোন অংশের অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
Created: 4 days ago
A
সন্ধি
B
উপসর্গ
C
কারক
D
প্রত্যয়
সঠিক উত্তর: খ) উপসর্গ।
অব্যয়ীভাব সমাস
যখন অব্যয় (যেমন: উপ, প্রতি, নির্, অনু) ধরনের শব্দ বিশেষ্য বা অন্য কোনো পদের আগে বসে এবং সেইভাবে গঠিত শব্দের মানে সেই অব্যয়ের অর্থেই প্রকাশ পায়—তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
এখানে মনে রাখতে হবে:
উপসর্গ হলো এক ধরনের অব্যয়।
তাই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলোকে অব্যয়ীভাব সমাস ধরা হয়।
এই সমাসে ব্যাসবাক্য (পূর্ণ বাক্য) গঠনের সময় আলাদা করে অব্যয়ের নাম বলা হয় না, কেবল তার অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
১. উপকূল = উপ + কূল → কূলের কাছে
২. প্রতিদিন = প্রতি + দিন → প্রতিটি দিন
৩. নির্ভয় = নির্ + ভয় → ভয় নেই এমন
৪. অনুকূল = অনু + কূল → কূলের অনুগত
এই শব্দগুলোর বৈশিষ্ট্য
-
এগুলো উপসর্গ + বিশেষ্য পদের মিলনে গঠিত।
-
নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে এদের উপসর্গ হিসেবেও ধরা হয়।
অন্যান্য অপশন কেন নয়
-
ক) সন্ধি: ধ্বনির মিলন সংক্রান্ত।
-
গ) কারক: বিভক্তি ও পদের সম্পর্ক বোঝায়।
-
ঘ) প্রত্যয়: শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়।
উৎস: ভাষাশিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 4 days ago