জনসংখ্যার দিক থেকে আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র কোনটি?
A
নাইজেরিয়া
B
দক্ষিণ সুদান
C
সিচেলিস
D
আলজেরিয়া
উত্তরের বিবরণ
সিচেলিস
-
অবস্থান: ভারত মহাসাগরে একটি দ্বীপরাষ্ট্র
-
আয়তন: ৪৫৭ বর্গকিলোমিটার
-
জনসংখ্যা: প্রায় ১ লক্ষ
-
রাজধানী: ভিক্টোরিয়া
-
আফ্রিকার তুলনায়:
-
আয়তনে বৃহত্তম দেশ: আলজেরিয়া
-
জনসংখ্যায় বৃহত্তম দেশ: নাইজেরিয়া
-
জনসংখ্যায় ক্ষুদ্রতম দেশ: সিচেলিস
-
বৃহত্তম জিডিপি: নাইজেরিয়া
-
0
Updated: 1 month ago
COMESA কোন মহাদেশের বাণিজ্যিক ব্লক?
Created: 1 month ago
A
আফ্রিকা
B
ইউরোপ
C
এশিয়া
D
দক্ষিণ আমেরিকা
COMESA হলো পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যিক ব্লক, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে।
-
পূর্ণরূপ: Common Market for Eastern and Southern Africa
-
প্রাথমিক রূপ: Preferential Trade Area (PTA) নামে যাত্রা শুরু করে
-
রূপান্তর: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ সালে PTA থেকে COMESA-তে রূপান্তরিত হয়
-
সদস্য দেশ সংখ্যা: ২১টি
-
সদর দপ্তর: লুসাকা, জাম্বিয়া
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে বলা যায়, COMESA হলো আফ্রিকার বৃহত্তম আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্প্রদায়গুলোর একটি, যার মূল লক্ষ্য হলো অঞ্চলভিত্তিক মুক্তবাণিজ্য, শুল্ক হ্রাস, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
0
Updated: 1 month ago
আফ্রিকা মহাদেশের মানচিত্রে Horns of Africa-তে কোন দেশটি অবস্থিত?
Created: 5 months ago
A
ইথিওপিয়া
B
নাইজেরিয়া
C
কেনিয়া
D
সুদান
ইথিওপিয়া
-
ইথিওপিয়া আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র।
-
এর উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ইরিত্রিয়া, পূর্বদিকে জিবুতি ও সোমালিয়া, পশ্চিমে সুদান এবং দক্ষিণে রয়েছে কেনিয়া।
-
পূর্বে দেশটি 'আবিসিনিয়া' নামে পরিচিত ছিল।
-
রাজধানী ও বৃহত্তম শহর: আদ্দিস আবাবা।
-
শাসনব্যবস্থা: ফেডারেল পার্লামেন্টারি রিপাবলিক।
-
আইনসভা দুটি কক্ষে বিভক্ত:
-
উচ্চকক্ষ: হাউজ অব ফেডারেশন
-
নিম্নকক্ষ: হাউজ অব পিপলস রিপ্রেজেন্টেটিভস
-
-
মুদ্রার নাম: বির
-
সরকারি ভাষা: আমহারি
অতিরিক্ত তথ্য:
-
আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের 'আফ্রিকার শিং' (Horn of Africa) অঞ্চলে ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়া অন্তর্ভুক্ত।
তথ্যসূত্র:
i) World Atlas
ii) Britannica
0
Updated: 5 months ago
লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল এশিয়াকে বিচ্চিন্ন করেছে কোন মহাদেশ থেকে?
Created: 1 week ago
A
আফ্রিকা
B
ইউরোপ
C
অস্ট্রেলিয়া
D
কোনটিই নয়
লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল ভৌগোলিকভাবে এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। এই দুই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম জলপথের কারণে আফ্রিকা মহাদেশ এশিয়া থেকে আলাদা হয়েছে। প্রাচীনকালে এই স্থানটি দুই মহাদেশের সংযোগস্থল ছিল, কিন্তু সুয়েজখাল নির্মাণের পর এটি সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
• লোহিত সাগর (Red Sea) আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশ ও এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মাঝখানে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিকভাবে দুই মহাদেশকে পৃথক করেছে। পশ্চিমে আফ্রিকার মিশর, সুদান ও ইরিত্রিয়া এবং পূর্বে এশিয়ার সৌদি আরব ও ইয়েমেনের সীমানা ঘিরে এই সাগর বিস্তৃত।
• সুয়েজখাল (Suez Canal) একটি মানবনির্মিত খাল যা মিশরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ১৮৬৯ সালে এটি নির্মিত হয় এবং এর মাধ্যমে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সমুদ্রপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। এই খালটি আফ্রিকা মহাদেশকে সম্পূর্ণভাবে এশিয়া থেকে আলাদা করেছে, কারণ এটি আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থান করে।
• লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল একত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার মধ্যে ভূগোলিক সীমারেখা (Geographical Boundary) তৈরি করেছে। এই সীমারেখার ফলে আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে থাকা মিশর এখন ভৌগোলিকভাবে আফ্রিকার অংশ হলেও, সুয়েজখালের পূর্বাংশের সিনাই উপদ্বীপ এশিয়ার অন্তর্গত।
• ঐতিহাসিকভাবে, এই বিচ্ছিন্নতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুয়েজখাল নির্মাণের আগে ইউরোপ থেকে এশিয়া যেতে আফ্রিকার চারপাশ ঘুরে দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা করতে হতো। খালটি চালু হওয়ার পর ইউরোপ-এশিয়া বাণিজ্য সময় ও খরচ উভয় দিকেই অনেক সাশ্রয়ী হয়।
• লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল শুধু মহাদেশের বিভাজন নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক অর্থনীতিতে এক বিশাল ভূমিকা রাখে। এই পথ দিয়েই বিশ্বের একটি বড় অংশের তেল ও পণ্য পরিবহন হয়।
• তাই ভূগোল ও ইতিহাস—উভয় দিক থেকেই প্রমাণিত হয় যে, লোহিত সাগর ও সুয়েজখাল এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
অতএব সঠিক উত্তর ক) আফ্রিকা, কারণ লোহিত সাগর ও সুয়েজখালের অবস্থান এমন যে তারা স্বাভাবিক ও কৃত্রিম সীমারেখা তৈরি করে এশিয়া ও আফ্রিকাকে দুটি পৃথক মহাদেশে ভাগ করেছে।
0
Updated: 1 week ago