মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক সকল অধিকার বাতিল করে কত সালে?
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৭ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
মিয়ানমার
-
অবস্থান: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
-
প্রাচীন নাম: ব্রহ্মদেশ
-
রাজধানী: ইয়াঙ্গুন (আগে রেঙ্গুন)
-
সীমানা:
-
দক্ষিণে: বঙ্গোপসাগরের উপকূল
-
পশ্চিমে: বাংলাদেশ ও ভারত
-
উত্তরে: চীন
-
পূর্বে: চীন, লাওস ও থাইল্যান্ড
-
-
সরকারি ভাষা: বর্মী
-
মুদ্রা: কিয়াট
-
স্বাধীনতা: ১৯৪৮
-
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
-
১৯৬২ সালে সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালায়।
-
১৯৭৮ সালে নে উইন সামরিক সরকার ‘অপারেশন ড্রাগন কিং’ চালায়।
-
১৯৮২ সালে নাগরিকত্ব আইনে ১৩৫টি জনগোষ্ঠীকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়, কিন্তু রোহিঙ্গাদের বাইরে রাখা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা করে কোন দেশ?
Created: 21 hours ago
A
নাইজেরিয়া
B
গাম্বিয়া
C
বাংলাদেশ
D
আলজেরিয়া
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী (তাতামাদাও) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত নিধন অভিযান চালায়। আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানের কারণ হিসেবে বলা হয়, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দ্বারা সেনা তল্লাশি চৌকিতে সংঘটিত কথিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়া। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ঘটনাকে জাতিগত নিধন বা “Ethnic Cleansing” হিসেবে চিহ্নিত করে। এই অভিযান চলাকালে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং প্রায় সাত লাখ মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানবিক সংকটে পরিণত হয়।
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিম্নরূপ:
১. ঘটনার সময়: ২৫ আগস্ট ২০১৭
২. অভিযান পরিচালনাকারী বাহিনী: মিয়ানমার সেনাবাহিনী (তাতামাদাও)
৩. অভিযানের ঘোষিত কারণ: কথিত সন্ত্রাসী হামলার জবাব
৪. ফলাফল: ব্যাপক গণহত্যা, নারী নির্যাতন, গ্রাম পোড়ানো এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ঘটনার বিচার দাবি ওঠে এবং পরবর্তীতে গাম্বিয়া রাষ্ট্র এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়।
১. মামলার তারিখ: ১১ নভেম্বর ২০১৯
২. আদালত: আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত (ICJ), দ্য হেগ, নেদারল্যান্ডস
৩. মামলাকারী দেশ: গাম্বিয়া
৪. সমর্থনকারী সংস্থা: ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (OIC)
৫. গাম্বিয়ার রাজধানী: বাঞ্ছল
৬. গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন: আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবুবকর মারি তাম্বাদু
৭. শুনানির সময়: ১০–১২ ডিসেম্বর ২০১৯
এই মামলার মাধ্যমে গাম্বিয়া অভিযোগ করে যে মিয়ানমার “জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ কনভেনশন (1948)” লঙ্ঘন করেছে। আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত প্রাথমিক শুনানিতে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় অস্থায়ী ব্যবস্থা (Provisional Measures) গ্রহণের নির্দেশ দেয়। এই পদক্ষেপ মানবাধিকার রক্ষায় একটি ঐতিহাসিক নজির হিসেবে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 21 hours ago
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারকে কয়টি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে?
Created: 21 hours ago
A
৩টি
B
২টি
C
৫টি
D
৪ টি
রোহিঙ্গাদের ওপর দীর্ঘদিনের নিপীড়নের পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আদেশ জারি করে। আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত (ICJ) প্রদত্ত অন্তর্বর্তী চারটি নির্দেশনা ছিল নিম্নরূপঃ
| ক্র. | নির্দেশনা | বিবরণ |
|---|---|---|
| ১ | গণহত্যা সনদের আওতায় রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। | মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। |
| ২ | সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো পক্ষ যেন গণহত্যা সংঘটন, ষড়যন্ত্র বা উসকানি দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। | প্রশাসনকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। |
| ৩ | গণহত্যা সংক্রান্ত সকল সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। | কোনো প্রমাণ নষ্ট করা যাবে না। |
| ৪ | চার মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে আদেশ অনুযায়ী কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। | নিয়মিতভাবে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে। |
0
Updated: 21 hours ago
মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিকত্ব হারায় কত সালে?
Created: 6 hours ago
A
১৯৬২
B
১৯৮৬
C
১৯৭৮
D
১৯৮২
মিয়ানমারের সামরিক সরকার ১৯৮২ সালে “Citizenship Law” প্রণয়ন করে, যা দেশের নাগরিকত্ব কাঠামোকে মূলত বর্ণ ও জাতিগত ভিত্তিতে ভাগ করে দেয়। এই আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব থেকে আইনত বঞ্চিত করা হয়, ফলে তারা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হারিয়ে পড়ে প্রান্তিক অবস্থায়। আইনে বলা হয়, কেবলমাত্র “জাতীয় স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠী (National Races)” যারা ১৮২৩ সালের পূর্বে মিয়ানমারে বসবাস করেছিল, তারাই নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ঐ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করায় তাদেরকে “বিদেশি” বা “অবৈধ অভিবাসী” হিসেবে গণ্য করা হয়।
মূল প্রভাবগুলো ছিল নিম্নরূপ:
-
নাগরিকত্ব বাতিল: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রত্যাহার করা হয়।
-
রাজনৈতিক অধিকার হরণ: তারা ভোটাধিকার ও প্রার্থী হওয়ার অধিকার হারায়।
-
সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা: নাগরিকত্ব না থাকায় তারা সরকারি পদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পায় না।
-
মৌলিক অধিকার সংকোচন: চলাচলের স্বাধীনতা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হয়।
-
বৈষম্য ও নিপীড়নের ভিত্তি: এই আইন পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও গণহত্যার আইনি ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সার্বিকভাবে, ১৯৮২ সালের এই আইন মিয়ানমারের ইতিহাসে এক বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব নীতি হিসেবে পরিচিত, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রাষ্ট্রহীন ও অধিকারবঞ্চিত করে রেখেছে।
0
Updated: 6 hours ago