চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার মূলত মাইক্রোপ্রসেসরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি ১৯৭০-এর দশকে উদ্ভাবিত হয় এবং পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় অনেক দ্রুত, ছোট আকারের এবং কম শক্তি খরচে কাজ করতে সক্ষম। একক চিপে সংযুক্ত CPU কম্পিউটারের সমস্ত হিসাব ও নিয়ন্ত্রণ কার্য সম্পাদন করে। ভ্যাকুয়াম টিউব বা ট্রানজিস্টারের পরিবর্তে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহারের কারণে কম্পিউটারগুলো ছোট, দ্রুত এবং আরও কার্যকর হয়েছে। এছাড়াও, এই প্রজন্মের কম্পিউটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সূচনাও করেছে, তবে মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে মাইক্রোপ্রসেসরই প্রধান।
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
-
মাইক্রোপ্রসেসর ও বৃহদাকার একীভূত বর্তনী (Large Scale Integrated Circuit) ব্যবহার।
-
আরও ছোট, দ্রুত ও শক্তিশালী।
-
মাইক্রো কম্পিউটারের উদ্ভব।
-
সফটওয়্যার এবং প্রোগ্রাম প্যাকেজের ব্যবহার।
-
মাল্টিপ্রসেসর সিস্টেমের আবির্ভাব।
-
উদাহরণ: IBM PS/2, Apple Macintosh।
কম্পিউটারের পাঁচটি প্রজন্ম:
-
প্রথম প্রজন্ম (১৯৪২-১৯৫৯): বড়, ভারী, উচ্চ শব্দ ও উত্তাপ; সীমিত তথ্য ধারণ; ধীর; মেশিন ও অ্যাসেম্বলি ভাষা; যেমন ENIAC, UNIVAC।
-
দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫): ট্রানজিস্টার ব্যবহার; ছোট, হালকা, দ্রুত, কম উত্তাপ; চুম্বকীয় কোর মেমোরি; অ্যাসেম্বলি ভাষা; যেমন IBM 1600, CDC 1604।
-
তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১): একীভূত বর্তনী (IC) ব্যবহার; মিনি কম্পিউটার; উন্নত নির্ভরযোগ্যতা ও প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা; উচ্চতর প্রোগ্রামিং ভাষা; যেমন IBM 360।
-
চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১-বর্তমান): মাইক্রোপ্রসেসর; ছোট, দ্রুত, শক্তিশালী; সফটওয়্যার প্যাকেজ ব্যবহার; মাল্টিপ্রসেসর সিস্টেম; উদাহরণ IBM PS/2, Apple Macintosh।
-
পঞ্চম প্রজন্ম (১৯৮২-বর্তমান): উন্নত তথ্য ধারণ ও প্রক্রিয়াকরণ; উন্নত OS; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI); নিজস্ব বিচার-বুদ্ধি; মানুষের কণ্ঠস্বর বুঝতে সক্ষম; পরামর্শক হিসেবে ব্যবহারযোগ্য।