"Antikythera" কোন ধরনের কম্পিউটার?
A
মিনি কম্পিউটার
B
হাইব্রিড কম্পিউটার
C
ডিজিটাল কম্পিউটার
D
অ্যানালগ কম্পিউটার
উত্তরের বিবরণ
Antikythera কম্পিউটার ছিল একটি অ্যানালগ কম্পিউটার, যা প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২৭০-২০০ সালের দিকে গ্রিকদের দ্বারা তৈরি করা হয়। এটি আধুনিক ডিজিটাল বা মিনি কম্পিউটারের মতো বৈশিষ্ট্যযুক্ত ছিল না, বরং যান্ত্রিক দাঁড়ি, গিয়ার এবং ঘূর্ণমান চাকাগুলির মাধ্যমে হিসাব সম্পাদন করত। এর মূল ব্যবহার ছিল সূর্য ও চাঁদের গতি নির্ণয়, গ্রহের অবস্থান নির্ধারণ এবং সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের মতো জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা পূর্বাভাস দেওয়া। ফলে Antikythera-কে বিশ্বের প্রথম অ্যানালগ কম্পিউটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি প্রমাণ করে যে প্রাচীন গ্রিকরা জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সময় নিরূপণে অসাধারণ প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করেছিল।
উত্তর: ঘ) অ্যানালগ কম্পিউটার
অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer):
-
বৈদ্যুতিক সংকেত বা যান্ত্রিক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে ইনপুট গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে।
-
তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিসাবের জন্য বর্ণ বা অঙ্ক নয়, বরং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল (Analog) বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করা হয়।
-
প্রক্রিয়াকৃত ফলাফল সাধারণত মিটার, ওসিলোস্কোপ বা ডায়াল-এর মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়।
-
উদাহরণ: মোটরগাড়ির স্পিডোমিটার, স্লাইড রুল, অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ার ইত্যাদি।

0
Updated: 11 hours ago
Full screen চালু বা বন্ধ করতে কোন কী ব্যবহৃত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
F12
B
F9
C
F10
D
F11
ফাংশন কী (Function Keys)
সংজ্ঞা:
কিবোর্ডে থাকা বিশেষ ধরনের কী, যা বিভিন্ন সফটওয়্যারে নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এগুলো F1 থেকে F12 পর্যন্ত থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
-
কিবোর্ডে ১২টি ফাংশন কী আছে।
-
কিবোর্ডে মোট ১০৫টি কী থাকে।
F1–F12 কী-এর কাজ
কী | কাজ |
---|---|
F1 | সাধারণত Help মেনু খুলে |
F2 | নির্বাচিত ফাইল বা ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন (Rename) |
F3 | দ্রুত সার্চ বা খোঁজার অপশন চালু করে |
F4 | Alt + F4 চাপলে বর্তমান উইন্ডো বন্ধ হয় |
F5 | ব্রাউজারে বা ডেস্কটপে Refresh করার জন্য |
F6 | ব্রাউজারে Address bar সিলেক্ট করে |
F7 | মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে Spelling ও Grammar Check চালু করে |
F8 | উইন্ডোজ চালুর সময় Safe Mode চালুর জন্য |
F9 | কোয়ার্ক এক্সপ্রেসে মেজারমেন্ট টুলবার চালু করার জন্য |
F10 | মেনু বার চালু করে |
F11 | ফুলস্ক্রিন মোড চালু বা বন্ধ করে |
F12 | ইংরেজি থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে ইংরেজি পরিবর্তন করতে ব্যবহার করা হয় |

0
Updated: 4 weeks ago
OCR প্রযুক্তিতে ডাটা রূপান্তর কোন ফরম্যাটে হয়?
Created: 4 weeks ago
A
এনক্রিপটেড
B
টেক্সট
C
গ্রাফিক
D
ডাটাবেজ
OCR (Optical Character Recognition / Reader)
সংজ্ঞা:
OCR হলো একটি ইনপুট ডিভাইস, যা মুদ্রিত বা হাতের লেখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে টেক্সট ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে।
মূল বৈশিষ্ট্য ও কার্যপ্রণালী:
-
OCR বিভিন্ন আকারের দাগ, চিহ্ন এবং সব ধরনের আলফানিউমেরিক ক্যারেক্টার পড়তে পারে।
-
প্রিন্ট করা লেখা সরাসরি ইনপুট নেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
OCR সফটওয়্যার ব্যবহার করে কার্য সম্পাদিত হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
OCR যন্ত্র ডকুমেন্টের বিটম্যাপ ইমেজ তৈরি করে।
-
OCR সফটওয়্যার সেগুলোকে ASCII টেক্সটে রূপান্তর করে।
-
ফলে কম্পিউটার বিভিন্ন অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ ক্যারেক্টার চিনতে পারে।
-

0
Updated: 4 weeks ago
"Distributed Computing"-এর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 2 days ago
A
একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করে সমস্যা দ্রুত সমাধান
B
একটি মেশিনের মেমোরি ব্যবহার কমানো
C
সিপিইউ ক্লক স্পিড বাড়ানো
D
সব ক্লাউড সার্ভারকে একটি কম্পিউটারে প্রতিস্থাপন করা
Distributed Computing বা বিতরণকৃত কম্পিউটিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে জটিল সমস্যা সমাধান বা বড় ডেটা প্রসেসিং-এর কাজকে একাধিক কম্পিউটারে ভাগ করে সমান্তরালভাবে সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে কাজ দ্রুত ও কার্যকরভাবে শেষ করা সম্ভব হয় এবং একটি একক কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা যেমন কম মেমোরি বা সীমিত প্রসেসিং ক্ষমতা এড়ানো যায়। এছাড়া, এই সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা ও scalability বেড়ে যায়, কারণ কোনো একটি কম্পিউটার ব্যর্থ হলেও অন্যগুলো কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
সঠিক উত্তর: ক) একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করে সমস্যা দ্রুত সমাধান
-
Cloud Computing:
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের NIST (National Institute of Standards and Technology) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি মডেল, যেখানে ক্রেতার তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশনকে সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসোর্স করা হয় এবং এতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে—
১. Resource Flexibility/Scalability → গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সেবার পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যায়।
২. On Demand → গ্রাহক যখন চাইবে তখনই সেবা পাবে এবং নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
৩. Pay as you go → গ্রাহক শুধুমাত্র ব্যবহৃত সেবার জন্য মূল্য প্রদান করবে; আগে থেকে কোনো রিজার্ভেশন করতে হবে না।
-
-
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য থেকে বোঝা যায় যে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী utility-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রযুক্তি হলো Cloud Computing, যা আসলে Distributed Computing-এর একটি দৃষ্টান্ত।

0
Updated: 2 days ago