কোন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে 'মার্ক-১' নির্মাণ করা হয়?
A
Von Neumann
B
Charles Babbage
C
Howard Aiken
D
Alan Turing
উত্তরের বিবরণ
‘মার্ক–১’ ছিল বিশ্বের প্রথম দিকের স্বয়ংক্রিয় ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কম্পিউটার, যা ১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়। এর প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাওয়ার্ড আইকেন (Howard Aiken)। তিনি প্রকল্পটির ধারণা দেন এবং IBM (International Business Machine) কোম্পানির সহযোগিতায় এটি নির্মিত হয়। বিশাল আকৃতির হলেও সে সময়ের জন্য মার্ক–১ ছিল অসাধারণ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সামরিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সঠিক উত্তর হলো Howard Aiken, যিনি এই ঐতিহাসিক যন্ত্রটির নির্মাণে নেতৃত্ব দেন।
মার্ক-১ কম্পিউটারের প্রধান তথ্য ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
এটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও IBM কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল।
-
হাওয়ার্ড আইকেনের তত্ত্বাবধানে ১৯৪৪ সালে যন্ত্রটি তৈরি হয়।
-
পৃথিবীর প্রথম স্বয়ংক্রিয় হিসাবকারী যন্ত্র হিসেবে মার্ক–১ খ্যাতি লাভ করে।
-
এর মাধ্যমে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগসহ ত্রিকোণমিতিক ফাংশন এবং অন্যান্য জটিল গাণিতিক কাজ করা যেত।
-
কম্পিউটারটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৫১ ফুট এবং উচ্চতা ৮ ফুট।
-
এর ওজন ছিল প্রায় ৫ টন।
-
এতে প্রায় সাত লক্ষেরও বেশি যন্ত্রাংশ যুক্ত করা হয়েছিল এবং সংযোগের জন্য প্রায় ৫০০ মাইল দীর্ঘ তার ব্যবহার করা হয়।
-
বর্তমানে মার্ক-১ কম্পিউটার প্রদর্শনের জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।
0
Updated: 1 month ago
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বা মহাকাশ অনুসন্ধানের মতো ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোন ধরনের কম্পিউটার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
Minicomputer
B
Mainframe Computer
C
Supercomputer
D
Workstation
সুপারকম্পিউটার হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার, যা প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি গণনা করতে সক্ষম। এগুলো মূলত জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পারমাণবিক গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার:
-
সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও দ্রুতগতি: এটি সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য সক্ষমতা: সুপারকম্পিউটার একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী পরিচালনা করতে পারে।
-
উচ্চ মেমোরি ও প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা: বিপুল পরিমাণ উপাত্ত সংরক্ষণ এবং জটিল গণনা পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি ও প্রসেসিং ইউনিট থাকে।
-
সমান্তরাল প্রসেসর ব্যবহারে ক্ষমতা: একাধিক প্রসেসর একসাথে কাজ করে প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক ও প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে।
-
বহু ক্ষেত্রের ব্যবহার: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বড় ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন, পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমোরির বিশাল সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
উচ্চ ইনপুট/আউটপুট গতি।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
মানুষের ক্ষমতার বাইরে বিপুল গণনা পরিচালনার সক্ষমতা।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ইনপুট ডিভাইস নয়?
Created: 2 months ago
A
ট্যাকবল
B
ডিজিটাইজার
C
লাইটপেন
D
প্লটার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
কম্পিউটার
কম্পিউটার (Computer)
ইনপুট, আউটপুট ও ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
১. ইনপুট ডিভাইস
সংজ্ঞা:
যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটারকে নির্দেশ দিই বা তথ্য প্রদান করি, সেগুলো ইনপুট ডিভাইস।
-
কম্পিউটার এই ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা গ্রহণ করে।
উদাহরণ:
-
কীবোর্ড (Keyboard)
-
মাউস (Mouse)
-
ওএমআর (OMR)
-
ওসিআর (OCR)
-
স্ক্যানার (Scanner)
-
ট্যাকবল (Trackball)
-
জয়স্টিক (Joystick)
-
ডিজিটাইজার (Digitizer)
-
টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)
-
লাইটপেন (Lightpen)
-
বার কোড রিডার (Bar Code Reader)
-
গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)
-
পয়েন্ট অফ সেল (Point-of-Sale)
-
ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)
২. আউটপুট ডিভাইস
সংজ্ঞা:
কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত ডেটা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বা তথ্য প্রদর্শন করে এমন যন্ত্রপাতি।
উদাহরণ:
-
মনিটর (Monitor)
-
প্রিন্টার (Printer)
-
প্লটার (Plotter)
-
স্পিকার (Speaker)
-
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector)
-
ইমেজ সেটার (Image Setter)
-
হেডফোন (Headphone)
মন্তব্য:
-
প্লটার ইনপুট ডিভাইস নয়, এটি আউটপুট ডিভাইস।
৩. ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
সংজ্ঞা:
কিছু ডিভাইস আছে যা একই সঙ্গে ডেটা গ্রহণ ও প্রদর্শন করতে পারে।
উদাহরণ:
-
হার্ডডিস্ক
-
সিডি/ডিভিডি
-
পেনড্রাইভ
-
টাচ স্ক্রিন
0
Updated: 2 months ago
কোন text মুছে ফেলার জন্য কোন কমান্ড ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
Copy
B
Save
C
Delete
D
Shift
সঠিক উত্তর: গ) Delete
কম্পিউটারে কোনো টেক্সট বা লেখা মুছে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয় Delete কমান্ড। এটি নির্বাচিত অংশ বা অক্ষরকে ডকুমেন্ট বা ফাইল থেকে সরিয়ে দেয়।
-
Delete কী টিপলে নির্বাচিত টেক্সট বা অবজেক্ট মুছে যায়।
-
এটি সাধারণত কার্সরের ডান পাশে থাকা অক্ষর বা অংশ মুছে ফেলে।
-
যদি কার্সরের বাম পাশের অক্ষর মুছতে হয়, তখন Backspace কী ব্যবহার করা হয়।
-
Copy কমান্ড লেখাকে অনুলিপি করে, Save কমান্ড ফাইল সংরক্ষণ করে, কিন্তু কোনোটি টেক্সট মুছে ফেলার কাজ করে না।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো গ) Delete।
0
Updated: 1 week ago