এখন অব্দি বাংলাদেশে মোট কতবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
২
B
৩
C
৪
D
৫
উত্তরের বিবরণ
গণভোট (Referendum)
-
সংজ্ঞা ও অর্থ:
-
আক্ষরিক অর্থে গণভোট মানে হলো ‘জনগণের কাছে উপস্থাপন করা’ (refer to the people)।
-
আইনসভা দ্বারা প্রণীত আইনকে ভোটের মাধ্যমে অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনসাধারণের কাছে উপস্থাপন করাকে গণভোট বলে।
-
অর্থাৎ, কোনো আইন চূড়ান্তভাবে গৃহীত হওয়ার আগে জনসাধারণের মতামত নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া।
-
-
বাংলাদেশে গণভোটের ইতিহাস:
-
মোট ৩ বার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে:
১. ১৯৭৭
২. ১৯৮৫
৩. ১৯৯১ -
এর মধ্যে ২ বার প্রশাসনিক গণভোট এবং ১ বার সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
-
সর্বশেষ গণভোট: ১৯৯১
-
-
আইনগত প্রেক্ষাপট:
-
১৯৯১ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীতে (সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ) গণভোটের বিধান সংযোজন করা হয়েছিল।
-
পরবর্তীতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি বাতিল করা হয়, যা সংবিধানের ৮, ৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বিবেচিত হয়েছিল।
-
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারার মাধ্যমে ১৪২ অনুচ্ছেদ থেকে গণভোটের বিধান বাতিলকরণকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
-
ফলে, দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোটের বিধান পুনরুদ্ধার হয়।
-

0
Updated: 12 hours ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
Created: 1 week ago
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।

0
Updated: 1 week ago
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
Created: 6 days ago
A
শশাঙ্ক
B
মুর্শিদ কুলি খান
C
সিরাজউদ্দৌলা
D
আব্বাস আলী মীর্জা
বাংলার ইতিহাসে নবাবী আমল শুরু হয় ১৭০৭ সালে, যখন মুর্শিদকুলি খান বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই নবাবী আমলের সমাপ্তি ঘটে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে, যেখানে শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন।
এর পর থেকেই বাংলায় ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, তবে সুলতানী আমলের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব: মুর্শিদকুলি খান (১৭০৭ সালে শাসন শুরু)
-
শেষ স্বাধীন নবাব: সিরাজউদ্দৌলা (পলাশীর যুদ্ধ, ১৭৫৭ সালে পরাজিত)
-
নবাবী আমলের সমাপ্তির পর: ইংরেজ উপনিবেশিক যুগের সূচনা
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ
-
সুলতানী আমলের সূচনা করেন: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ

0
Updated: 6 days ago
মুক্তিযুদ্ধকালে কোলকাতার ৮, থিয়েটার রােডে “বাংলাদেশ বাহিনী” কখন গঠন করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
এপ্রিল ১০, ১৯৭১
B
এপ্রিল ১১, ১৯৭১
C
এপ্রিল ১২, ১৯৭১
D
এপ্রিল ১৩, ১৯৭১
তেলিয়াপাড়া বৈঠক ও মুক্তিফৌজ গঠনের প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংস হামলার পর বাংলাদেশের বাঙালি সেনা অফিসাররা বিদ্রোহ শুরু করেন। এই বিদ্রোহী অফিসারদের মধ্যে ছিলেন: খালেদ মোশাররফ, শাফায়াত জামিল, জিয়াউর রহমান, এস.এম. রেজা এবং কে.এম. সফিউল্লাহ।
এদের উপস্থিতিতে এম.এ.জি. ওসমানী ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের অস্থায়ী সদর দপ্তর তেলিয়াপাড়া তে বৈঠক করেন।
বৈঠকের প্রধান তথ্য:
-
স্থান: তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলো
-
তারিখ: ৪ এপ্রিল ১৯৭১
-
অংশগ্রহণকারী: ভারতীয় বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি.সি. পান্ডে ও অন্যান্য প্রতিনিধি
বৈঠকের সিদ্ধান্ত:
-
বিদ্রোহী অফিসাররা পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
-
সকল বিদ্রোহী ইউনিটের সমন্বয়ে মুক্তিফৌজ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রথমবারের মতো এই পরিকল্পনাকে “তেলিয়াপাড়া রণকৌশল” বলা হয়।
পরবর্তী ঘটনা:
-
বৈঠকের কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি, তবে মৌখিকভাবে নেতৃত্ব, সংগঠন ও যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেতার ভাষণে এই বৈঠকের সিদ্ধান্তের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।
-
সভার শেষে কর্নেল ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন।
উপসংহার:
অতএব, ১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বিদ্রোহী বাঙালি সেনাদের সমন্বয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধ বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস:মূলধারা ৭১

0
Updated: 2 weeks ago