কোন বাক্যে 'মাথা' শব্দটি বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত?
A
তিনিই সমাজের মাথা
B
মাথা খাটিয়ে কাজ করবে
C
লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল
D
মাথা নেই তার মাথা ব্যথা
উত্তরের বিবরণ
• 'মাথা খাটিয়ে কাজ কর' বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত।
অন্যদিকে,
• 'তিনিই সমাজের মাথা' বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি প্রধান ব্যক্তি অর্থে ব্যবহৃত।
• 'লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল' বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি সম্মান অর্থে ব্যবহৃত।
• 'মাথা নেই তার মাথা ব্যাথা' বাক্যে উভয় ‘মাথা’ই মাথা অর্থে ব্যবহৃত।
উৎস: অভিগম্য অভিধান এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 4 months ago
বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা-
Created: 3 months ago
A
নাটক
B
ছোট গল্প
C
প্রবন্ধ
D
গীতি কবিতা
গীতিকবিতা
গীতিকবিতা এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কবির হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অনুভূতি সুর ও সঙ্গীতের ছন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তিগত আবেগ, কামনা-বাসনা, আনন্দ ও বেদনার প্রকাশ ঘটে আবেগঘন ভাষায়।
যেসব কবিতায় কবির অন্তরের গভীর অনুভূতি সঙ্গীততাড়িত কণ্ঠে প্রকাশিত হয় এবং যে ভাবাবেগ পূর্ণতা নিয়ে প্রকাশ পায়—তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
গীতিকবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
আন্তরিক আবেগের প্রকাশ
-
সংক্ষিপ্ত রচনার গঠন
-
সঙ্গীতধর্মী ছন্দ ও সুরেলা ভাষা
-
গতিময়তা ও স্বচ্ছন্দ গতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গীতিকাব্য হলো বক্তার অন্তর্দাহ ও আবেগের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রকাশমাত্র, যার উদ্দেশ্য একান্তই হৃদয়ের ভাবের প্রকাশ। যেহেতু এই অনুভূতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই গীতিকবিতাও সাধারণত ছোট হয়।
তবে গীতিকবিতার ভাববস্তুর ব্যাপ্তি কখনো কখনো বড় হতে পারে, আবার কখনো তা হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এ কারণে গীতিকবিতার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নির্ধারণ সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলির মধ্য দিয়ে গীতিকবিতার রূপ প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যদিও কাব্যধারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে শুরু হয়েছিল, গীতিকবিতা আসলে আধুনিক যুগেই সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ধারাগুলোর একটি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ধারা ছিল বৈষ্ণব সাহিত্য।
উৎস
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর)
-
লাল নীল দীপাবলী (হুমায়ুন আজাদ)

0
Updated: 3 months ago
'তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা' কার কবিতা?
Created: 4 weeks ago
A
শওকত ওসমান
B
সিকান্দার আবু জাফর
C
সুফিয়া কামাল
D
শামসুর রাহমান
‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ ও ‘বন্দী শিবির থেকে’ সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা
-
‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার রচয়িতা শামসুর রহমান।
-
‘বন্দী শিবির থেকে’ শিরোনামের কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি উৎসর্গিত।
-
গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতায়।
-
এতে মোট ৩৮টি কবিতা সংযোজন করা হয়েছে।
বন্দী শিবির থেকে কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
-
স্বাধীনতা তুমি
-
মধুস্মৃতি
-
রক্তাক্ত প্রান্তরে
‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কিছু লাইন:
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, কবিতা: শামসুর রহমান

0
Updated: 4 weeks ago
"নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।"
- কবিতাংশটুকু কাজী নজরুল ইসলামের কোন কবিতার অন্তর্গত?
Created: 1 week ago
A
কুলি-মজুর
B
মধুমালা
C
সাম্যবাদী
D
মানুষ
• "নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।" — কবিতাংশটি কাজী নজরুল ইসলামের 'মানুষ' কবিতা থেকে নেওয়া।
মানুষ — কবিতা
– কাজী নজরুল ইসলাম
গাহি সাম্যের গান—
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি-শাবল চালা!
হায় রে ভজনালয়,
তোমার মিনারে চড়িয়াভণ্ড গাহে স্বার্থের জয়!
উৎস: মানুষ — কবিতা, কাজী নজরুল ইসলাম।

0
Updated: 1 week ago