কোন রাজবংশের শাসনামলে 'কৈবর্ত বিদ্রোহ' সংঘটিত হয়েছিল?
A
গুপ্ত রাজবংশ
B
পাল রাজবংশ
C
সেন রাজবংশ
D
কুষাণ রাজবংশ
উত্তরের বিবরণ
কৈবর্ত বিদ্রোহ
-
পাল রাজবংশের শাসনামলে সংঘটিত একটি জনবিদ্রোহ।
-
অন্য নাম: বরেন্দ্র বিদ্রোহ
-
সময়কাল: দ্বিতীয় মহীপালের শাসনামল, প্রায় ১০৭৫–১০৮০ খ্রি।
-
নেতৃত্ব: দিব্যক বা দিব্য; সম্ভবত তিনি প্রথমে পালদের একজন রাজকর্মচারী বা সামন্ত ছিলেন।
-
উদ্দেশ্য: কৈবর্তদের একত্রিত করে পাল শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গঠন।
-
প্রত্যক্ষ কারণ: ধর্মীয় কারণে বিদ্রোহের সূচনা।
-
গুরুত্ব: বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাসে এটি প্রথম সফল জনবিদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
দেশে এক ফসলি জমির পরিমাণ কত? (কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ–২০২৪)
Created: 2 months ago
A
৫০ লক্ষ ৪৯ হাজার একর
B
৪৫ লক্ষ ৯৩ হাজার একর
C
৪৭ হাজার একর
D
১ কোটি ০১ লক্ষ ৪০ হাজার একর
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ – ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী --
-
মোট আবাদযোগ্য জমি - ৩ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৬ হাজার একর।
-
মোট আবাদী জমি - ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৯ হাজার একর।
-
আবাদযোগ্য নয় এমন জমির পরিমাণ - ৮৩ লক্ষ ৫৮ হাজার একর।
-
বনাঞ্চল - ৬৩ লক্ষ ৬৩ হাজার একর।
তার মধ্যে---
-
এক ফসলি জমি - ৫০ লক্ষ ৪৯ হাজার একর।
-
দুই ফসলি জমি - ১ কোটি ০১ লক্ষ ৪০ হাজার একর।
-
তিন ফসলি জমি - ৪৫ লক্ষ ৯৩ হাজার একর।
-
চার ফসলি জমি - ৪৭ হাজার একর।
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ – ২০২৪ (বিবিএস)
0
Updated: 2 months ago
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় জনগোষ্ঠী যে বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করে, তাকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
কুম
B
জুম
C
রুম
D
কুমি
জুম চাষ (Jhum Cultivation)
-
সংজ্ঞা ও ধারণা:
জুম চাষ হলো পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত একটি স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ করার পদ্ধতি। মূলত পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার করে সেখানে চাষ করা হয়। চাষের পর কয়েক বছর সেই জমিকে বিশ্রাম দিয়ে আবার অন্য পাহাড়ি এলাকায় চাষ শুরু করা হয়। -
চাষিদের পরিচয়:
জুম চাষকারীদের জুমিয়া বলা হয়। -
অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব:
জুম চাষ পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার প্রধান অবলম্বন। -
পরিমাণ ও ক্ষেত্রফল:
বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ভূমি জুম চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। -
প্রধান ফসলসমূহ:
ধান, ভুট্টা, কাউন, তিল, শসা, মিষ্টিকুমড়া, তরমুজ, বরবটি, তুলা, কলা, আদা, হলুদ প্রভৃতি। -
প্রধান অঞ্চল:
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা—রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। -
বিকল্প পদ্ধতি:
জুম চাষের বিকল্প হিসেবে সল্ট চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
সম্প্রতি, উচ্চ লবণসহিষ্ণু গমের জাত ‘জিএইউ গম ১’ উদ্ভাবন করেছে- [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
B
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
C
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট
D
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
গমের জাত ‘জিএইউ গম ১’
তথ্যগুলো হলো:
-
উদ্ভাবন: গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক।
-
বৈশিষ্ট্য: উচ্চ লবণাক্ততা সহনশীলতা সম্পন্ন, দেশের প্রথম এ ধরনের গম।
-
পরীক্ষামূলক চাষ: ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষকের মাঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, যেখানে এটি উচ্চ ফলনশীল ও লবণাক্ততা সহনশীল প্রমাণিত হয়।
-
মান ও উপকারিতা: উন্নতমানের, অধিক প্রোটিনসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল।
-
অনুমোদন: জাতীয় বীজ বোর্ড ১৭ জুন জিএইউ গম–১–এর ছাড়পত্র দেয়।
-
মোট উদ্ভাবিত জাত: বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৯১টি জাত উদ্ভাবন করেছে।
অর্থাৎ, ‘জিএইউ গম ১’ বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে উন্নতমানের, লবণসহিষ্ণু ও প্রোটিনসমৃদ্ধ গমের নতুন সংযোজন।
0
Updated: 1 month ago