১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন পেতে হলে দেশের অন্তত কয়টি উপজেলা/থানা কমিটি থাকতে হবে?
A
৫০টি
B
৬০টি
C
৮০টি
D
১০০টি
উত্তরের বিবরণ
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন (বাংলাদেশ)
-
নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান:
-
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশনের অধীন।
-
-
পটভূমি:
-
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শতাধিক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব।
-
নিবন্ধন প্রথা চালু: ২০০৮ সালে।
-
১৯৭২ সালের Representation of People Order (RPO)–এ সংশোধন আনা হয় ১/১১ সরকারের সময়, যার ফলে Representation of People (Amendment) Ordinance, 2008 তৈরি হয়।
-
এই আইনে ১৯৭২ সালের RPO–এর অতিরিক্ত অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে (ধারা ৯০এ থেকে ৯০আই)।
-
-
নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা (ধারা ৯০এ):
-
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক দলসমূহকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে।
-
-
নিবন্ধনের শর্তাবলী (ধারা ৯০বি(১)এ):
১. স্বাধীনতার পর থেকে দরখাস্ত দাখিলের তারিখ পর্যন্ত যে কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন জয়; অথবা
২. যে কোনো নির্বাচনে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক অংশগ্রহণকৃত আসনসমূহে মোট ভোটের ৫% পেতে হবে; অথবা
৩. একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস ও কমিটি থাকা:-
কেন্দ্রীয় কমিটি ও অফিস
-
কমপক্ষে ২১টি জেলা কমিটি ও অফিস
-
কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা/থানা কমিটি, যার প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটার সদস্য থাকতে হবে।
-
0
Updated: 1 month ago
'নবযুগ তেভাগা খামার'-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ফজলে হাসান আবেদ
B
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
C
আখতার হামিদ খান
D
শায়েখ সিরাজ
নবযুগ তেভাগা খামার
-
প্রতিষ্ঠাতা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৭৪
-
অবস্থান: চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম
-
ধরন: মাঠ গবেষণা (Field Research)
মূল উদ্দেশ্য:
-
সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য ঋণ সরবরাহের সম্ভাবনা যাচাই।
-
তেভাগা পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকদের খামার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু।
প্রকল্পের কার্যক্রম:
-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রুরাল ইকনোমিকস প্রোগ্রামের’ অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে ব্যাংক ঋণের সম্ভাবনা যাচাই করা।
-
গ্রামের অবহেলিত নারী ও পুরুষদের নিয়ে সমিতি গঠন, যেখানে সবাই সঞ্চয় করতো।
-
এই কৃষকদের খামার থেকে পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ভিত্তি রচিত হয় (১৯৭৬)।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রভাব:
-
১৯৮৩ সালের ২রা অক্টোবর ক্ষুদ্রঋণের ধারনায় পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
-
ভূমিহীন ও দরিদ্র নারীদের পাঁচজনের ক্ষুদ্র দল গঠন করে ঋণ প্রদান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
0
Updated: 1 month ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 2 months ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago