কত তারিখে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালিত হয়?
A
৩০ জুলাই, ২০২৪
B
৩১ জুলাই, ২০২৪
C
১ আগস্ট, ২০২৪
D
৩ আগস্ট, ২০২৪
উত্তরের বিবরণ
জুলাই অভ্যুত্থান (২০২৪)
-
প্রেক্ষাপট:
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের সূত্রপাত।-
২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিলের পরে (৫ জুন, ২০২৪ হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা) শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
-
-
সংগঠন:
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-
গঠিত: ১ জুলাই, ২০২৪
-
লক্ষ্য: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।
-
-
আন্দোলনের ধারা:
-
১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু, প্রথমে অহিংস।
-
১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্রমণ করলে আন্দোলন সহিংস রূপ গ্রহণ করে।
-
৩০ জুলাই, ২০২৪: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা।
-
৩১ জুলাই, ২০২৪: মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন, ৯ দফা দাবির জন্য।
-
-
পরিণতি:
-
৫ আগস্ট, ২০২৪: দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের সরকারের পতন ঘটানো হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
কোন আমল থেকে সমগ্র বাংলাদেশের অধিবাসীরা 'বাঙালি' নামে পরিচিতি লাভ করে?
Created: 1 month ago
A
ইলিয়াস শাহী আমল
B
গুপ্ত আমল
C
পাল আমল
D
হোসেন শাহী আমল
ইলিয়াস শাহী আমল বাংলাদেশে প্রায় ১২২ বছর স্থায়ী শাসনকালীন গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই আমলে রাজনীতি, সংস্কৃতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশেষ পরিবর্তন এবং উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়।
-
ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্ বাংলার বিভিন্ন অংশ একত্রিত করে প্রথমবার সমগ্র বাংলাদেশকে শাসন করেন।
-
এর আগে কোনো মুসলমান সুলতান সমগ্র বাংলা অঞ্চলকে একত্রিত করতে পারেননি।
-
এই সময় থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ পরিচিত হয় 'বাঙ্গালা' নামে এবং অধিবাসীরা পরিচিত হয় 'বাঙালি' নামে।
-
স্থানীয় জনগণের মন জয় করতে শাহী সুলতানগণ উদারনৈতিক নীতি গ্রহণ করেন।
-
তারা জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে সকলকে শাসনকার্যে ও সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেন।
-
দেশীয় ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি সমাদর প্রদর্শন করে দেশীয় কবিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
-
তাদের উদার নীতির ফলে সমাজে নতুন ধারা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে।
-
ইলিয়াস শাহী শাসকরা আরব দেশ, চীন ও পারস্যের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
-
এই আমলে বাংলার কৃষি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় -
Created: 2 weeks ago
A
পাগ-মার্ক
B
ফুটমার্ক
C
GIS
D
কোয়ার্ডবেট
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি, যা বাংলায় বলা হয় “পদচিহ্ন বা পায়ের ছাপের মাধ্যমে গণনা”। এই পদ্ধতিতে বাঘের চলাফেরার পথে তাদের পদচিহ্ন সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে বাঘের আনুমানিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এটি বহু বছর ধরে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় একটি ঐতিহ্যবাহী ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• “পাগ-মার্ক পদ্ধতি” মূলত বাঘের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নির্ধারণের একটি প্রাচীন ও কার্যকর কৌশল। বাঘের প্রতিটি পদচিহ্নের আকার, গভীরতা ও নকশা আলাদা হয়ে থাকে, যা দিয়ে এক বাঘকে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়।
• সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন মাটিতে, বালিতে বা কাদা জমিতে খুব স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। বন বিভাগের কর্মীরা এই ছাপগুলো প্লাস্টার কাস্ট বা মাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন।
• প্রতিটি পদচিহ্নের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আঙুলের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেন, পদচিহ্নটি পুরুষ না স্ত্রী বাঘের, এবং একই বাঘের পুনরাবৃত্তি হয়েছে কি না।
• পাগ-মার্ক পদ্ধতি ব্যয়সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হওয়ায় অতীতে সুন্দরবনে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে যখন আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ক্যামেরা ট্র্যাপ বা ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রচলিত ছিল না।
• তবে বর্তমানে এই পদ্ধতির সঙ্গে ক্যামেরা ট্র্যাপ ও GIS প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হচ্ছে, যাতে গণনা আরও নির্ভুল হয়। তবুও, প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পাগ-মার্ক পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• এই পদ্ধতি শুধু সংখ্যা নয়, বরং বাঘের গমনপথ, কার্যক্ষেত্র (territory), ও আচরণগত তথ্য সম্পর্কেও ধারণা দেয়।
• যদিও এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা আছে—যেমন একই বাঘের একাধিক ছাপ গণনায় আসতে পারে বা বৃষ্টিতে ছাপ নষ্ট হতে পারে—তবুও সুন্দরবনের কঠিন ভূপ্রকৃতির কারণে এটি এখনো বহুল ব্যবহৃত একটি কার্যকর উপায়।
সবশেষে বলা যায়, সুন্দরবনের বাঘ গণনায় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি, যা বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) পাগ-মার্ক।
0
Updated: 2 weeks ago
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান- [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৪র্থ
B
৩য়
C
২য়
D
১ম
ইলিশ উৎপাদন
-
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
-
আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
-
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হবে ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টন।
-
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন ইলিশ ধরা পড়লেও ২০২৪–২৫ অর্থবছরে তা কমে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে দাঁড়ায়।
-
এভাবে ইলিশ আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন।
-
নদ–নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণসহ নানা কারণে ইলিশ উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা রিপোর্ট
0
Updated: 1 month ago