'নবযুগ তেভাগা খামার'-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
ফজলে হাসান আবেদ
B
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
C
আখতার হামিদ খান
D
শায়েখ সিরাজ
উত্তরের বিবরণ
নবযুগ তেভাগা খামার
-
প্রতিষ্ঠাতা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৭৪
-
অবস্থান: চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম
-
ধরন: মাঠ গবেষণা (Field Research)
মূল উদ্দেশ্য:
-
সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য ঋণ সরবরাহের সম্ভাবনা যাচাই।
-
তেভাগা পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকদের খামার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু।
প্রকল্পের কার্যক্রম:
-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রুরাল ইকনোমিকস প্রোগ্রামের’ অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে ব্যাংক ঋণের সম্ভাবনা যাচাই করা।
-
গ্রামের অবহেলিত নারী ও পুরুষদের নিয়ে সমিতি গঠন, যেখানে সবাই সঞ্চয় করতো।
-
এই কৃষকদের খামার থেকে পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ভিত্তি রচিত হয় (১৯৭৬)।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রভাব:
-
১৯৮৩ সালের ২রা অক্টোবর ক্ষুদ্রঋণের ধারনায় পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
-
ভূমিহীন ও দরিদ্র নারীদের পাঁচজনের ক্ষুদ্র দল গঠন করে ঋণ প্রদান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
0
Updated: 1 month ago
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা বাতিল করেন কে?
Created: 1 month ago
A
লিয়াকত আলী খান
B
চৌধুরী মোহাম্মদ আলী
C
জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ
D
ইস্কান্দর মির্জা
যুক্তফ্রন্ট:
- ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিক লীগকে মোকাবিলার জন্য ৪টি রাজনৈতিক দল 'যুক্তফ্রন্ট' নামে জোট গঠন করে।
- যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
- ১৯৫৪ সালের ৮-১২ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- যুক্তফ্রন্ট প্রধানত পূর্ব বাংলার চারটি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল। যথা:
১. আওয়ামী মুসলিম লীগ: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
২. কৃষক শ্রমিক পার্টি: শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক।
৩. নেজামে ইসলাম পার্টি: মওলানা আতাহার আলী।
৪. বামপন্থী গনতন্ত্রী দল: হাজী মোহাম্মদ দানেশ।
• যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা:
- ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তফ্রন্ট ৪ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক। অন্যান্য মন্ত্রী-
১. অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র- এ কে ফজলুল হক।
২. বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার- আবু হোসেন সরকার।
৩. বেসামরিক সরবরাহ ও যোগাযোগ মন্ত্রী- আশরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৪. শিক্ষা, বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্প - সৈয়দ আজিজুল হক।
- পরবর্তীতে ১৫ মে,১৯৫৪ সালে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা গঠিত হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৪ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ট মন্ত্রী হিসবে কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
- রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফজলুল হক মন্ত্রীসভা বাংলাকে স্বাধীন করবে এমন অজুহাতে ১৯৫৪ সালের ৩০ মে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করেন।
- ফজলুল হক মন্ত্রীসভা দ্বায়িত্বে ছিল মাত্র ৫৬ দিন যার মধ্যে পূর্নাঙ্গ মন্ত্রীসভা দ্বায়িত্বে ছিল মাত্র ১৫ দিন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার ন্যূনতম বয়স কত?
Created: 2 months ago
A
৩৫ বছর
B
২৫ বছর
C
২০ বছর
D
৩০ বছর
প্রধানমন্ত্রী
-
প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের প্রধান।
-
সংবিধানের ৫৫ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের নেতৃত্ব দেন।
-
প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগ করেন।
-
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২৫ বছর।
-
সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা।
-
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মনোনীত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
-
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন।
সংবিধান অনুযায়ী যোগ্যতা:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম ভাগ, ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
১) একজন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় এবং বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হয়, তবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে এবং সংসদে থাকার যোগ্য হবেন। -
যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সদস্য হতে হয়, তাই ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কত দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহবান করতে হয়?
Created: 1 month ago
A
৩০ দিন
B
৬০ দিন
C
৯০ দিন
D
১২০ দিন
জাতীয় সংসদ:
- জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা।
- দেশের সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে আইন প্রণয়ন ক্ষমতা এ সংসদের ওপর ন্যস্ত।
- প্রতি নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০ সদস্য সমন্বয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়।
- সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে (২০১১) মহিলা আসন সংখ্যা ৫০ করা হয়।
- বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩৫০টি।
- জাতীয় সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।
- সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহবান করা হয়।
- জাতীয় সংসদের কার্য পরিচালনার জন্য কোরাম থাকতে হয়।
- অধিবেশনে কোরামের জন্য ন্যূনতম ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদে কোরাম সম্পর্কে বলা হয়েছে।
- সংবিধান অনুযায়ী কমপক্ষে ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের কাজ চলবে অর্থাৎ ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের কোরাম হবে।
- ৬০ জনের কম সদস্য উপস্থিত থাকলে স্পিকার সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখেন।
0
Updated: 1 month ago