বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিতে সমগ্র পূর্ব বাংলায় প্রথম ধর্মঘট কবে পালিত হয়?
A
১১ মার্চ, ১৯৪৭
B
১৭ মার্চ, ১৯৪৭
C
১১ মার্চ, ১৯৪৮
D
১৭ মার্চ, ১৯৪৮
উত্তরের বিবরণ
প্রথম রাষ্ট্রভাষা দিবস (১১ মার্চ ১৯৪৮)
-
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
-
বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সমগ্র পূর্ব বাংলায় প্রথম ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়।
-
পরবর্তী বছরগুলোতে (১৯৪৯, ১৯৫০, ১৯৫১) ১১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
ঘটনাবলী:
-
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮: গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলায় বক্তব্য প্রদানের ও সরকারি কাজে ব্যবহার সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব দাখিল করেন।
-
২৫ ফেব্রুয়ারি: তমিজুদ্দিন খানের নেতৃত্বে মুসলিম লীগের সকল সদস্য প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
-
২ মার্চ ১৯৪৮: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হক হলে ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশে গঠিত হয় ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’। আহ্বায়ক: শামসুল আলম।
-
পরিষদ থেকে সংগঠনগুলোর দুজন করে প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
-
১১ মার্চ ১৯৪৮: পূর্ব বাংলার প্রায় সব জেলা শহরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্র ধর্মঘট ও হরতাল পালিত হয়।
-
প্রধান দাবি: বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি।
-
প্রতিবাদ: গণপরিষদের ভাষা-তালিকা থেকে বাংলাকে বাদ দেওয়া, মুদ্রা ও ডাকটিকেটে বাংলা ব্যবহার না করা, নৌবাহিনীতে নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দু রাখা।
-
-
আন্দোলনের ফলস্বরূপ, খাজা নাজিমুদ্দীন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র আসন্ন ঢাকা সফরের আগে সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৮টি বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন।

0
Updated: 12 hours ago
কত সালে জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 12 hours ago
A
১৯৮০ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৩ সালে
জাতীয় সংসদ ভবন
-
অবস্থান: ঢাকার শেরে-বাংলা নগর
-
স্থপতি: লুই ক্যান (প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি)
-
পরিকল্পনা: গৃহীত ১৯৫৯ সালে
-
নকশা অনুমোদন: ১৯৬২ সালে
-
নির্মাণ শুরু: ১৯৬৪ সালে
-
ভৌগোলিক বিবরণ:
-
১০৮ একর জমির উপর অবস্থিত
-
বিশাল খোলা চত্বর
-
সম্পূর্ণ কংক্রিটের ঢালাইয়ে বৃত্তাকার নয়তলা
-
সমাপ্তি ও উদ্বোধন:
-
১৯৮২ সালের প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন
-
২৮ জানুয়ারি, ১৯৮২ প্রেসিডেন্ট জাস্টিস আব্দুস সাত্তার উদ্বোধন
-
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন
উল্লেখ্য:
-
এর আগে জাতীয় সংসদের অধিবেশন পুরনো সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হতো, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

0
Updated: 12 hours ago
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা বাতিল করেন কে?
Created: 1 week ago
A
লিয়াকত আলী খান
B
চৌধুরী মোহাম্মদ আলী
C
জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ
D
ইস্কান্দর মির্জা
যুক্তফ্রন্ট:
- ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিক লীগকে মোকাবিলার জন্য ৪টি রাজনৈতিক দল 'যুক্তফ্রন্ট' নামে জোট গঠন করে।
- যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
- ১৯৫৪ সালের ৮-১২ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- যুক্তফ্রন্ট প্রধানত পূর্ব বাংলার চারটি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল। যথা:
১. আওয়ামী মুসলিম লীগ: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
২. কৃষক শ্রমিক পার্টি: শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক।
৩. নেজামে ইসলাম পার্টি: মওলানা আতাহার আলী।
৪. বামপন্থী গনতন্ত্রী দল: হাজী মোহাম্মদ দানেশ।
• যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা:
- ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তফ্রন্ট ৪ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক। অন্যান্য মন্ত্রী-
১. অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র- এ কে ফজলুল হক।
২. বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার- আবু হোসেন সরকার।
৩. বেসামরিক সরবরাহ ও যোগাযোগ মন্ত্রী- আশরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৪. শিক্ষা, বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্প - সৈয়দ আজিজুল হক।
- পরবর্তীতে ১৫ মে,১৯৫৪ সালে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা গঠিত হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৪ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ট মন্ত্রী হিসবে কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
- রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফজলুল হক মন্ত্রীসভা বাংলাকে স্বাধীন করবে এমন অজুহাতে ১৯৫৪ সালের ৩০ মে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করেন।
- ফজলুল হক মন্ত্রীসভা দ্বায়িত্বে ছিল মাত্র ৫৬ দিন যার মধ্যে পূর্নাঙ্গ মন্ত্রীসভা দ্বায়িত্বে ছিল মাত্র ১৫ দিন।

0
Updated: 1 week ago
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
C
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
D
সংশপ্তক:
- মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’।
- মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় বাঙালির বীরত্বগাথার স্মারক এই ভাস্কর্য।।
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনে ভাস্কর্যটির অবস্থান।
- চার স্তরের লাল সিরামিক ইটের বেদির ওপর ব্রোঞ্জের তৈরি ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৫ ফুট।
- ২৬ মার্চ, ১৯৯০ সালে ভাস্কর্য স্থাপিত হয়।
- এর ভাস্কর স্থপতি হামিদুজ্জামান খান।
- ভাস্কর্যটিতে মূর্ত হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত ও এক পা হারিয়েও বন্দুক হাতে লড়ে যাওয়া এক বীরের প্রতিকৃতি। যিনি পঙ্গুত্ববরণ করেও নির্ভীক এবং যুদ্ধে জয়লাভে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

0
Updated: 1 week ago