গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে’?
A
১১৮ নং
B
১১৯ নং
C
১২৪ নং
D
১২৬ নং
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান: নির্বাচন কমিশন
-
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা।
-
দায়িত্বসমূহ:
-
জাতীয় ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ের সকল নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
-
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
-
নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ।
-
ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা।
-
ভোটগ্রহণ তত্ত্বাবধান।
-
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।
-
নির্বাচনী অভিযোগ-মোকদ্দমা মীমাংসার জন্য নির্বাচনী ট্রাইবুনাল গঠন।
-
-
নির্বাচন সম্পর্কিত বিধান সংবিধানের সপ্তম ভাগে উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানের প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদসমূহ
-
অনুচ্ছেদ ১১৮: নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা।
-
অনুচ্ছেদ ১১৯: নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও ক্ষমতা।
-
অনুচ্ছেদ ১২৪: নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয়ে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা।
-
অনুচ্ছেদ ১২৬: নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
0
Updated: 1 month ago
কোনাে নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী তিনি মামলা করতে পারেন?
Created: 1 month ago
A
৪৪
B
৪৭
C
১০২
D
১০৩
সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদগুলো মূলত মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত। এর মধ্যে বিশেষভাবে অনুচ্ছেদ ৪৪ এবং অনুচ্ছেদ ১০২ মৌলিক অধিকার বলবৎ করার বিধান নির্ধারণ করেছে।
-
অনুচ্ছেদ ৪৪: মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ
১. সংবিধানের এই ভাগে প্রদত্ত অধিকারসমূহ বলবৎ করার জন্য অনুচ্ছেদ ১০২(১) অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের নিকট মামলা করার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
২. সংসদ চাইলে আইনের মাধ্যমে অন্য আদালতকে তার এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় হাইকোর্ট বিভাগের কিছু ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার প্রদান করতে পারবে। -
অনুচ্ছেদ ১০২: হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা
এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি মনে করেন যে তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তবে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে রিট বা মামলা দায়ের করতে পারবেন।
সুতরাং, অনুচ্ছেদ ৪৪ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বলবৎ করার নিশ্চয়তা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে অনুচ্ছেদ ১০২(১) অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করা যাবে।
এছাড়াও সংবিধানের সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু অনুচ্ছেদ হলো:
-
অনুচ্ছেদ ৪৭: কতিপয় আইনের হেফাজত
-
অনুচ্ছেদ ১০৩: আপীল বিভাগের এখতিয়ার
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
২৫
B
২৬
C
২৭
D
২৮
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫নং অনুচ্ছেদে দেশের পররাষ্ট্র নীতি (Foreign Policy) বিষয়ক নির্দেশনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এমন নীতির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে যা বিশ্বে শান্তি, নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
-
জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা (Respect for national sovereignty and equality)
-
অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা (Non-interference in the internal affairs of other states)
-
আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান (Peaceful settlement of international disputes)
-
আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের প্রতি শ্রদ্ধা (Respect for international law and the UN Charter principles)
এই নীতিগুলোই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। অর্থাৎ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
সংবিধানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো নিম্নরূপ—
-
অনুচ্ছেদ ২০: অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম (Work as a right and duty)।
-
অনুচ্ছেদ ২১: নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য (Duties of citizens and public servants)।
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ (Separation of Judiciary from Executive)।
-
অনুচ্ছেদ ২৩: জাতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কিত নির্দেশনা (National culture)।
-
অনুচ্ছেদ ২৩(ক): উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন।
-
অনুচ্ছেদ ২৬: মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল।
-
অনুচ্ছেদ ২৭: আইনের দৃষ্টিতে সকলের সমতা (Equality before law)।
-
অনুচ্ছেদ ২৮: ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি কারণে বৈষম্য নিষিদ্ধ।
-
অনুচ্ছেদ ২৯: সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা (Equality of opportunity in public employment)।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
৭৮
B
৯৬
C
৬৮
D
৬৫
বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ধারা ৬৫-এ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটি সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যেখানে জাতীয় সংসদের গঠন, ক্ষমতা এবং এর কার্যক্রমের ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
ধারা ৬৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ গঠন করা হয় এবং এটি একটি সংসদীয় ব্যবস্থা অনুসরণ করে কাজ করে।
-
জাতীয় সংসদের সদস্যরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন এবং তারা দেশের আইন প্রণয়ন, সরকারি নীতির অনুমোদন এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করে থাকেন।
-
জাতীয় সংসদের মূল কাজ হলো আইন তৈরি করা এবং সরকারের কর্মসূচি অনুমোদন করা, যা দেশ পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
ধারা ৬৫ জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভূমিকা এবং তাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে, পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক কার্যক্রমের পরিসর ব্যাখ্যা করে।
এছাড়া, অন্যান্য ধারা যেমন ৭৮, ৯৬, এবং ৬৮ এর মধ্যে জাতীয় সংসদ বা তার কার্যক্রমের কিছু বিশেষ দিক উল্লেখ থাকলেও, জাতীয় সংসদের প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মূলত ধারা ৬৫-এ উল্লেখিত।
0
Updated: 1 week ago