বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা?
A
অর্থ
B
শিল্প
C
বাণিজ্য
D
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA)
-
পূর্ণরূপ: Bangladesh Investment Development Authority (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)
-
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
-
নিয়ন্ত্রক: প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টা
-
গঠিত: ২০১৬ সালে
-
বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান: চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
-
১৯৮৯ সালে গঠিত বিনিয়োগ বোর্ড
-
১৯৯৩ সালে গঠিত প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড → ২০০০ সালে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন এ রূপান্তরিত
➡️ এই দুটি প্রতিষ্ঠান একীভূত করে ২০১৬ সালে BIDA প্রতিষ্ঠিত হয়।
কার্যাবলি
-
বেসরকারি বিনিয়োগ, বিশেষত বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।
-
বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান।
-
বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান।
-
শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি ও সহায়তা প্রদান।
-
নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা।
-
স্থানীয় ও বিদেশি উভয় উৎস থেকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা।
-
কারখানা প্রতিষ্ঠা-উত্তর পরামর্শ ও সেবা প্রদান।
-
দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
0
Updated: 1 month ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে শীর্ষ দেশ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সৌদি আরব
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
কুয়েত
D
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রাপ্তি
-
মোট প্রাপ্তি: প্রায় ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬.৪২ বিলিয়ন ডলার (২৬.৮%) বেশি।
-
সর্বাধিক উৎস দেশ: যুক্তরাষ্ট্র।
-
শীর্ষ ৫ রেমিট্যান্স প্রেরক দেশ (২০২৪-২৫):
১. যুক্তরাষ্ট্র
২. সৌদি আরব
৩. সংযুক্ত আরব আমিরাত
৪. যুক্তরাজ্য
৫. মালয়েশিয়া
0
Updated: 1 month ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)
0
Updated: 2 months ago
অর্থ পাচারের কারণ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করা
B
কর ফাঁকি না দেয়া
C
কোম্পানির মুনাফা লুকানো
D
দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি না থাকা
অর্থ পাচার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে অপরাধীরা তাদের বেআইনি উপার্জনের উৎস এবং মালিকানা লুকানোর চেষ্টা করে। এটি প্রত্যেক দেশের জন্য একটি জাতীয় ও অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থ পাচারের পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো:
-
দেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি না থাকা।
-
ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতার চাপের মধ্যে টিকে থাকতে না পারা।
-
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থা না থাকা।
-
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার চেষ্টা।
উক্ত কারণে, এই অপশনগুলোর মধ্যে একমাত্র ‘কর ফাঁকি না দেওয়া’ সঠিক উত্তর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago