রাজশাহীর সর্বপ্রাচীন ইমারত 'বড়কুঠি' কাদের র্কীতি?
A
ফরাসী বণিক
B
ইংরেজ বণিক
C
পর্তুগীজ বণিক
D
ওলন্দাজ বণিক
উত্তরের বিবরণ
বড়কুঠি (রাজশাহী)
-
রাজশাহী অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন ইমারত।
-
অবস্থান: রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ে।
-
নির্মাণকাল: সুনির্দিষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হয় ১৮শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে (১৭২৫ সালের আগে)।
-
নির্মাতা: ওলন্দাজ (ডাচ) রেশম ব্যবসায়ীরা।
-
গঠন: ইট নির্মিত ও সমতল ছাদবিশিষ্ট স্থাপনা।
-
প্রথম ব্যবহার: ডাচদের বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে।
পরবর্তী ইতিহাস
-
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা ভারতে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়।
-
১৮১৪ সালে ইংরেজদের সঙ্গে চুক্তি করে বড়কুঠিসহ ভারতের সব ব্যবসা কেন্দ্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে হস্তান্তর করে।
-
১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখানে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
-
পরবর্তীতে ভবনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন হয়।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালে কোলকাতার ৮, থিয়েটার রােডে “বাংলাদেশ বাহিনী” কখন গঠন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
এপ্রিল ১০, ১৯৭১
B
এপ্রিল ১১, ১৯৭১
C
এপ্রিল ১২, ১৯৭১
D
এপ্রিল ১৩, ১৯৭১
তেলিয়াপাড়া বৈঠক ও মুক্তিফৌজ গঠনের প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংস হামলার পর বাংলাদেশের বাঙালি সেনা অফিসাররা বিদ্রোহ শুরু করেন। এই বিদ্রোহী অফিসারদের মধ্যে ছিলেন: খালেদ মোশাররফ, শাফায়াত জামিল, জিয়াউর রহমান, এস.এম. রেজা এবং কে.এম. সফিউল্লাহ।
এদের উপস্থিতিতে এম.এ.জি. ওসমানী ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের অস্থায়ী সদর দপ্তর তেলিয়াপাড়া তে বৈঠক করেন।
বৈঠকের প্রধান তথ্য:
-
স্থান: তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলো
-
তারিখ: ৪ এপ্রিল ১৯৭১
-
অংশগ্রহণকারী: ভারতীয় বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি.সি. পান্ডে ও অন্যান্য প্রতিনিধি
বৈঠকের সিদ্ধান্ত:
-
বিদ্রোহী অফিসাররা পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
-
সকল বিদ্রোহী ইউনিটের সমন্বয়ে মুক্তিফৌজ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রথমবারের মতো এই পরিকল্পনাকে “তেলিয়াপাড়া রণকৌশল” বলা হয়।
পরবর্তী ঘটনা:
-
বৈঠকের কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি, তবে মৌখিকভাবে নেতৃত্ব, সংগঠন ও যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেতার ভাষণে এই বৈঠকের সিদ্ধান্তের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।
-
সভার শেষে কর্নেল ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন।
উপসংহার:
অতএব, ১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বিদ্রোহী বাঙালি সেনাদের সমন্বয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধ বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস:মূলধারা ৭১
0
Updated: 1 month ago
কত তারিখে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালিত হয়?
Created: 1 month ago
A
৩০ জুলাই, ২০২৪
B
৩১ জুলাই, ২০২৪
C
১ আগস্ট, ২০২৪
D
৩ আগস্ট, ২০২৪
জুলাই অভ্যুত্থান (২০২৪)
-
প্রেক্ষাপট:
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের সূত্রপাত।-
২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিলের পরে (৫ জুন, ২০২৪ হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা) শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
-
-
সংগঠন:
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-
গঠিত: ১ জুলাই, ২০২৪
-
লক্ষ্য: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।
-
-
আন্দোলনের ধারা:
-
১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু, প্রথমে অহিংস।
-
১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্রমণ করলে আন্দোলন সহিংস রূপ গ্রহণ করে।
-
৩০ জুলাই, ২০২৪: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা।
-
৩১ জুলাই, ২০২৪: মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন, ৯ দফা দাবির জন্য।
-
-
পরিণতি:
-
৫ আগস্ট, ২০২৪: দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের সরকারের পতন ঘটানো হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
Created: 1 month ago
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।
0
Updated: 1 month ago