বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ কোন সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
১১নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিপ্রাপ্ত সাতজন বীরের একজন।
-
সেক্টর: ১ নম্বর সেক্টর।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা
-
স্বাধীনতাযুদ্ধের আগে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ইপিআরের ১১ নম্বর উইং-এ চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।
-
৮ এপ্রিল ১৯৭১ রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
সহযোদ্ধাদের কৌশলগতভাবে পিছু হটার নির্দেশ দিয়ে একাই শত্রুর মোকাবেলা করেন।
-
শহীদ হওয়ার পর সহযোদ্ধারা তাঁর দেহ চিংড়িখাল সংলগ্ন এক টিলায় সমাহিত করেন।
সম্মাননা
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য প্রথম শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
-
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস তাঁকে মরণোত্তর অনারারি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দেয়।
অন্যান্য বীরশ্রেষ্ঠ (সেক্টর অনুযায়ী)
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল – ২ নম্বর সেক্টর।
-
সিপাহী হামিদুর রহমান – ৪ নম্বর সেক্টর।
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর – ৭ নম্বর সেক্টর।
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ – ৮ নম্বর সেক্টর।
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমিন – ১০ নম্বর সেক্টর।
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেয়া হয়?
Created: 2 weeks ago
A
৭ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৫ জন
স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ২ জন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মহিলাদের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধু ঘরবাড়ির কাজে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং যুদ্ধের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। এই ২ জন মহিলা তাদের সাহসিকতা, ত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীরপ্রতীক উপাধি লাভ করেন।
বীরপ্রতীক উপাধি হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গৌরবময় উপাধি, যা মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালনকারীদের দেওয়া হয়। নারীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের শৌর্য ও দেশপ্রেমের প্রমাণ রেখেছেন, এবং এই উপাধি তাদের অবদানকে জাতির কাছে সম্মানিত করেছে।
অন্য বিকল্পগুলির ব্যাখ্যা:
-
৭ জন, ৬ জন, এবং ৫ জন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়, সঠিক সংখ্যা ২ জন।
অতএব, ২ জন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেওয়া হয়, যারা মুক্তিযুদ্ধে তাদের সাহসিকতা এবং অবদানের জন্য জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর "এস ফোর্স" এর দায়িত্বে কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
কর্নেল জিয়াউর রহমান
B
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
C
কর্নেল কে. এম সফিউল্লাহ
D
উপরের কেউ নন
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী:
-
যে জনযুদ্ধ এনেছে বাংলাদেশের পতাকা, সেই জনযুদ্ধের দাবিদার এদেশের সাত কোটি বাঙালি।
-
এই সশস্ত্র যুদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
পরিকল্পিত এই যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি যুদ্ধঅঞ্চলে বিভক্ত করেন।
-
এই ৪টি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন:
ক) চট্টগ্রাম অঞ্চল: মেজর জিয়াউর রহমান
খ) কুমিল্লা অঞ্চল: মেজর খালেদ মোশাররফ
গ) সিলেট অঞ্চল: মেজর কে. এম. সফিউল্লাহ
ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
উল্লেখ্য:
-
পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে বিভক্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হয়:
-
রাজশাহী অঞ্চলে: মেজর নাজমুল হক
-
দিনাজপুর অঞ্চলে: মেজর নওয়াজেস উদ্দিন
-
খুলনা অঞ্চলে: মেজর এম.এ জলিল
-
-
৭ই জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত কারণে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনায় ‘জেড ফোর্স’ গঠন করেন; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান
-
সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ
-
১৪ই অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আফসার ব্যাটালিয়ন কোথায় গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
টাঙ্গাইল
B
সিরাজগঞ্জ
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী গ্রামে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি পার্টি গঠন করেন, যা একমাত্র রাইফেল দিয়ে পরিচালিত হত। তিনি পাকবাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে লড়াই করে তার পার্টির সদস্যদের নেতৃত্ব দেন এবং শত্রুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করেন। আফসার ব্যাটালিয়ন তার পার্টি থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লান্সার, স্টেনগান, এমএমজি ইত্যাদি উদ্ধার করে। এই বাহিনীতে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
-
আফসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন ডাক্তার এবং ৩ জন নার্স নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
-
মুক্ত এলাকা পরিচালনা ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য বাহিনীসমূহ:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
এছাড়া ঢাকা শহরে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত গেরিলা দল শহরের বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর ক্ষতি সাধন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago