নিচের কোনটি সঠিক?
A
চলৎ + শক্তি = চলৎশক্তি
B
চলৎ + শক্তি = চলচ্ছক্তি
C
চলৎ + শক্তি = চলতশক্তি
D
চলৎ + শক্তি = চলচ্চক্তি
উত্তরের বিবরণ
সন্ধি নিয়ম (ত/দ + শ → চ/ছ + ছ)
১. সূত্র:
-
যদি ত বা দ-এর পরে শ থাকে, তাহলে ত/দ-এর স্থলে চ এবং শ-এর স্থলে ছ উচ্চারিত হয়।
২. উদাহরণ:
-
চলৎ + শক্তি = চলচ্ছক্তি
-
উৎ + শৃঙ্খল = উচ্ছৃঙ্খল
-
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস

0
Updated: 14 hours ago
কোনটি ব্যতিহার বহুব্রীহির উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
দোতলা
B
অজানা
C
আশীবিষ
D
হাতাহাতি
বাখ্যা:
-
বহুব্রীহি সমাস হলো এমন সমাস যেখানে পূর্বপদ বা পরপদের অর্থ সরাসরি বোঝা যায় না; বরং তা অন্য কোনো অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: বউভাত → বউ + ভাত, কিন্তু পুরো মিলনে এটি বউ ভাত পরিবেশন করে যে অনুষ্ঠান বোঝায়।
-
-
ব্যতিহার বহুব্রীহি হলো বহুব্রীহি সমাসের এক ধরন, যেখানে পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো অবস্থা বা ক্রিয়া বোঝানো হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
হাতাহাতি → হাতে হাতে যে যুদ্ধ
-
কানাকানি → কানে কানে যে কথা
-
গলাগলি → গলায় গলায় যে মিলন
-
লাঠালাঠি → লাঠিতে লাঠিতে যে সংঘর্ষ
-
হাসাহাসি → হাসতে হাসতে যে ক্রিয়া
-
-
সুতরাং, বহুব্রীহি সমাস মূলত অর্থ বহন করে না সরাসরি, বরং সমগ্র শব্দগঠন থেকেই বিশেষ অর্থ বোঝায়, এবং ব্যতিহার বহুব্রীহি তার মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়ার অবস্থা বোঝায়।

0
Updated: 3 weeks ago
"অক্কা পাওয়া" দ্বারা কোন বাগ্ধারাটিকে বোঝায়?
Created: 2 days ago
A
ঠোঁট কাটা
B
গোল্লায় যাওয়া
C
গায়ে পড়া
D
পটল তোলা
"অক্কা পাওয়া"
দ্বারা পটল তোলা বাগ্ধারাটিকে বোঝায়।
- অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া): খারাপ লোকটা আরো আগেই অক্কা পেতে পারত।
- পটল তোলা (মারা যাওয়া): আজ বাদে কাল পটল তুলবে, অথচ তার মিথ্যাচার গেল না।
• অন্যান্য অপশন:
- ঠোঁট কাটা (বেহায়া): আজকাল ঠোঁটকাটা লোকের অভাব নেই।
- গোল্লায় যাওয়া (নষ্ট হওয়া): সৎ সঙ্গে মিশলে গোল্লায় যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
- গায়ে পড়া (অযাচিত): গায়ে পড়ে কোনো কাজ করতে যেও না বাপু।

0
Updated: 2 days ago
"জন্ম > জনম" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে?
Created: 7 hours ago
A
অপিনিহিতি
B
আদি স্বরাগম
C
বিপ্রকর্ষ
D
অন্ত্যস্বরাগম
• "জন্ম
> জনম"
— 'বিপ্রকর্ষ'
এর উদাহরণ।
-------------
• মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি (Anaptyxis):
অনেক সময় উচ্চারণের সুবিধার
জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জন- ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা
হয় মধ্য স্বরাগম বা
বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন-
অ - রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম,
স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
ই - প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
উ - মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক, ভূ >ভুরু ইত্যাদি।
এ - গ্রাম > গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি।
ও - শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ >মোরগ ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
অপিনিহিতি
(Apenthesis):
পরের ই-কার আগে
উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত
ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার
বা উ-কার উচ্চারিত
হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
যেমন:
- আজি > আইজ, সাধু > সাউধ,
রাখিয়া > রাইখ্যা, বাক্য > বাইক্য, সত্য > সইত্য, চারি > চাইর, মারি > মাইর ইত্যাদি।
আদি স্বরাগম (Prothesis):
উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা অন্য
কোনো কারণে শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি এলে তাকে বলে
আদি স্বরাগম (Prothesis)।
যেমন:
স্কুল > ইস্কুল, স্টেশন > ইস্টিশন।
অন্ত্যস্বরাগম
(Apothesis):
কোনো কোনো সময় শব্দের
শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি আসে। এরূপ স্বরাগমকে
বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম।
যেমন:
- দিশ > দিশা, পোখত্ >পোক্ত, বেঞ্চ > বেঞ্চি, সত্য > সত্যি ইত্যাদি।

0
Updated: 7 hours ago