নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির দৃষ্টান্ত নয় কোনটি?
A
মার্তণ্ড
B
প্রৌঢ়
C
গবাক্ষ
D
শুদ্ধাদোন
উত্তরের বিবরণ
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি
-
সংজ্ঞা: স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনের নিয়ম অনুসরণ না করে যে শব্দগুলোর সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলা হয়।
-
অর্থাৎ, স্বরধ্বনির সংযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ স্বরসন্ধি নিয়ম প্রযোজ্য হয় না।
উদাহরণ:
-
কুল + অটা = কুলটা (কুলাটা নয়)
-
গো + অক্ষ = গবাক্ষ (গবক্ষ নয়)
-
প্র + ঊঢ় = প্রৌঢ় (প্রোঢ় নয়)
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য
-
মার্ত + অণ্ড = মার্থণ্ড
-
শুদ্ধ + ওদন = শুদ্ধোদন

0
Updated: 14 hours ago
'রবীন্দ্র'-এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রবী + ইন্দ্র
B
রবী + ঈন্দ্র
C
রবি + ইন্দ্র
D
রবি + ঈন্দ্র
সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ
‘রবীন্দ্র’ শব্দটির সন্ধি হলো – রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র।
নিয়ম:
যখন ই-কার (ি) বা ঈ-কার (ী) এর পর আবার ই-কার (ি) বা ঈ-কার (ী) আসে, তখন এরা মিলিত হয়ে দীর্ঘ ঈ-কার (ী) হয়ে যায়। আর এই দীর্ঘ ঈ-কারটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র
-
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
-
সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র
-
অতি + ইত = অতীত
অতএব, নিয়ম অনুযায়ী রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ ____।
Created: 1 month ago
A
বাগ + অম্বর
B
বাগ + আড়ম্বর
C
বাক্ + অম্বর
D
বাক্ + আড়ম্বর
সন্ধির সহজ নিয়ম
যখন ক, চ, ট, ত, প ব্যঞ্জনবর্ণগুলোর পর স্বরবর্ণ (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ ইত্যাদি) আসে, তখন ওই ব্যঞ্জনগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়:
-
ক → গ
-
চ → জ
-
ট → ড (বা রড়)
-
ত → দ
-
প → ব
এরপরের স্বরবর্ণটি আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
এখানে “ক্” + “অ” → “গ” + “অ” -
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
“ক্” + “আ” → “গ” + “আ” -
বাক্ + ঈশ → বাগীশ
“ক্” + “ঈ” → “গ” + “ঈ”
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯)

0
Updated: 1 month ago
সন্ধির উদ্দেশ্য -
Created: 2 weeks ago
A
উচ্চারণে সহজতা আসে।
B
ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন
C
নতুন শব্দ গঠনের জন্য সন্ধির প্রয়োজন রয়েছে।
D
সবগুলোই
• সন্ধি:
-
সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলা হয়।
-
সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্বাভাবিক উচ্চারণকে সহজ করা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য রক্ষা করা।
-
এর প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণে সহজতা।
• সন্ধির অন্যান্য উদ্দেশ্য:
-
সন্ধির মাধ্যমে ধ্বনির মিলন ঘটে।
-
ধ্বনি-পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সন্ধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নতুন শব্দ গঠনের জন্যও সন্ধি প্রয়োজন।
-
উচ্চারণ সহজ হয়।
-
শব্দের আকার ছোট করার ক্ষেত্রেও সন্ধি প্রয়োজন হয়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago