'উ+ উ = ঊ' এই নিয়মে কোন শব্দটি গঠিত হয়েছে?
A
মরূদ্যান
B
বহূর্ধ্ব
C
বধূৎসব
D
ভূর্ধ্ব
উত্তরের বিবরণ
স্বরসন্ধি সূত্র (উ-কার/ঊ-কার সংযোগ):
-
নিয়ম: উ-কার কিংবা উ-কারের পর উ-কার বা ঊ-কার থাকলে উভয়ই মিলিত হয়ে ঊ-কার হয়।
-
সংযোগের সময় ঊ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
উ + উ = ঊ → মরু + উদ্যান = মরূদ্যান
-
উ + ঊ = ঊ → বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব
-
ঊ + উ = ঊ → বধূ + উৎসব = বধূৎসব
-
ঊ + ঊ = ঊ → ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব
0
Updated: 1 month ago
'তোয়ালে এবং পাউরুটি' শব্দ দুটি বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে
Created: 2 months ago
A
তৎসম ভাষা হতে
B
আরবি ভাষা হতে
C
পর্তুগিজ ভাষা হতে
D
ওলন্দাজ ভাষা হতে
🔎 বাখ্যা:
-
বাংলা ভাষায় বিদেশি ভাষা থেকে বহু শব্দ এসেছে। তার মধ্যে পর্তুগিজ ভাষা থেকেও বেশ কিছু শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে।
-
যেমন: তোয়ালে ও পাউরুটি সরাসরি পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে।
-
শুধু তাই নয়, আরও অনেক দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দ যেমন—কামরা, গির্জা, গুদাম, আনারস, চাবি, জানালা, পাদ্রি, পেয়ারা, বালতি, বোতল, বোতাম—এসবও পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত।
-
এভাবে দেখা যায়, বিদেশি সংস্পর্শ ও বাণিজ্যের কারণে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে এবং নতুন নতুন শব্দে ভাণ্ডার প্রসারিত হয়েছে।
সুতরাং “তোয়ালে, পাউরুটি” সহ উপরের শব্দগুলো পর্তুগিজ উৎসজাত শব্দ।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা ভাষার বিবর্তনের একেবারে প্রাথমিক স্তর কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইন্দো-ইরানীয়
B
ভারতীয় আর্য
C
ইন্দো-ইউরোপীয়
D
প্রাকৃত
বাংলা ভাষা হলো বাঙালি জনগোষ্ঠী যে ভাষা ব্যবহার করে তাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য। এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের সদস্য, এবং এই পরিবারের আদি ভাষা বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় পরিণত হয়েছে।
বাংলা ভাষার বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরসমূহ:
-
ইন্দো-ইউরোপীয় → ইন্দো-ইরানীয় → ভারতীয় আর্য → প্রাকৃত → বাংলা
-
প্রায় এক হাজার বছর আগে পূর্ব ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে
-
বাংলা ভাষার লিখিত রূপের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো 'চর্যাপদ'
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক "নিষিদ্ধ লোবান" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম কী?
Created: 2 months ago
A
ওঙ্কার
B
যাত্রা
C
গেরিলা
D
কুল নাই কিনারা নাই
‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস
-
লেখক: সৈয়দ শামসুল হক
-
প্রকাশকাল: ১৯৮১
-
বিষয়বস্তু: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নারী নির্যাতন, লিবিডো ক্রিয়া, লালসা ও রিরংসাবৃত্তি।
-
চলচ্চিত্রে রূপান্তর: ‘গেরিলা’ সিনেমা নির্মিত হয়েছে এই উপন্যাস অবলম্বনে।
কাহিনি সংক্ষেপ
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিলকিস, যিনি মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার পিতামাতা, ভাইবোন ও আত্মীয়স্বজন হারায়।
-
তার স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়।
-
ঘটনার সূত্র ধরে পরিচয় হয় প্রদীপকুমার/সিরাজের সঙ্গে।
-
পাকিস্তানি সৈন্যরা নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ দাফনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
-
বিলকিস ও তার সহযোগীরা রাতের অন্ধকারে লাশগুলো দাফন করতে গেলে পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে ধরা পড়ে।
-
এর পরও বিলকিস প্রতিবাদে অবিচল থাকে, যা তার দৃঢ় চরিত্র এবং স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রকাশ।
উৎস: ‘নিষিদ্ধ লোবান’, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago