'বোঁটাখসা' কোন সমাস?
A
ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
B
সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
C
প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি
D
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
উত্তরের বিবরণ
বহুব্রীহি সমাসের প্রকারভেদ:
১. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি:
-
বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ যদি কোনোোটিই বিশেষণ না হয়, তখন তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ
-
কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব
-
বীণা পানিতে যার = বীণাপাণি
-
-
পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়।
-
উদাহরণ: দুই কান কাটা যার = দুকানকাটা, বোঁটা খসেছে যার = বোঁটাখসা
-
-
অনুরূপ: ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, ধামাধরা
২. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি:
-
পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়।
-
উদাহরণ:
-
হত হয়েছে শ্রী যার = হতশ্রী
-
খোশ মেজাজ যার = খোশমেজাজ
-
-
অনুরূপ: হৃতসর্বস্ব, উচ্চশির, পীতাম্বর, নীলকণ্ঠ, জবরদস্তি, সুশীল, সুশ্রী, বদবস্তু, কমবস্তু
৩. ব্যতিহার বহুব্রীহি:
-
ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে এই সমাস হয়। পূর্বপদে ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি
-
কানে কানে যে কথা = কানাকানি
-
-
অনুরূপ: চুলাচুলি, কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি, লাঠালাঠি, হাসাহাসি, গুঁতাগুঁতি, ঘুষাঘুষি
৪. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি:
-
বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ সমস্তপদে লোপ পেলে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে।
-
উদাহরণ:
-
বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী
-
হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি
-
-
অনুরূপ: গায়ে হলুদ, মেনিমুখো
0
Updated: 1 month ago
'বীণাপাণি' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 5 days ago
A
সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
B
ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
C
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
D
অলুক বহুব্রীহি
যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ কোনোটিই বিশেষণ নয়, সেই সমাসকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। এই ধরনের সমাসে দুটি বিশেষ্য বা ক্রিয়াসূচক পদ মিলিত হয়ে এমন একটি নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে, যার অর্থ পৃথকভাবে বোঝা যায় না। যেমন: কথাসর্বস্ব, ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, বীণাপাণি, ধামাধরা, বোঁটাখোসা প্রভৃতি। এগুলোর প্রতিটি শব্দে দুইটি অংশ থাকলেও, সমাসের মাধ্যমে একটি নতুন অর্থ প্রকাশ পেয়েছে।
• ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত দুটি বিশেষ্য বা ক্রিয়ারূপ শব্দের সংযোগে নতুন শব্দ তৈরি হয়।
• এই সমাসে গঠিত শব্দের অর্থ আভিধানিক নয়, বরং রূপক বা ভাবগর্ভ।
• উদাহরণস্বরূপ, ‘পা-চাটা’ মানে শুধুমাত্র পা চাটার কাজ নয়, বরং চাটুকার বা তোষামোদপ্রিয় ব্যক্তিকে বোঝায়।
• ‘বীণাপাণি’ শব্দটি বীণা ধারণকারী দেবী সরস্বতীকে বোঝায়, যেখানে ‘বীণা’ ও ‘পাণি’ উভয়ই বিশেষ্য।
• এই সমাস বাংলা ভাষার ধ্বনিগত সৌন্দর্য ও ভাবপ্রকাশের গভীরতা বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 5 days ago