ই-প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ কোনটি?
A
ঘাটতি
B
বাড়তি
C
উঠতি
D
বেড়ি
উত্তরের বিবরণ
ই-প্রত্যয়:
-
বিশেষ্য গঠনে 'ই' প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়
-
উদাহরণ:
-
√ভাজ্ + ই = ভাজি
-
√বেড় + ই = বেড়ি
-
তি-প্রত্যয়:
-
বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে 'তি' প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়
-
উদাহরণ:
-
√ঘাট্ + তি = ঘাটতি
-
√বাড় + তি = বাড়তি
-
-
অন্যান্য উদাহরণ: কাটতি, উঠতি
0
Updated: 1 month ago
'বর্ধমান' শব্দের সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
√বিধ + মান
B
বুদ্ধি + মান
C
√বৃধ্ + মান
D
বর্ধন + মান
বর্ধমান' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো √ বৃধ + মান
0
Updated: 1 month ago
'মাধ্যমিক' - শব্দটির সঠিক প্রকৃতি- প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মাধ্য + মিক
B
মধ্যম + ইক
C
মাধ্যমিক + অ
D
মধ্যম + অ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী ‘মাধ্যমিক’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো ‘মধ্যম + ইক’।
‘মাধ্যমিক’ একটি বিশেষণ এবং এটি সংস্কৃতমূল শব্দ।
এর গঠন ও অর্থ নিচে দেওয়া হলো—
-
প্রকৃতি-প্রত্যয়: মধ্যম + ইক
-
অর্থ:
-
মধ্যবর্তী,
-
মধ্যস্থ,
-
মধ্যম সম্পর্কিত।
-
0
Updated: 1 month ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 4 months ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশে
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ
উপসর্গ হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের শুরুর দিকে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে। নিজের কোনো স্বাধীন অর্থ না থাকলেও, উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
-
অ + জানা = অজানা
-
অভি + যোগ = অভিযোগ
-
বে + তার = বেতার
এখানে “অ”, “অভি”, “বে” – এগুলো উপসর্গ।
বৈশিষ্ট্য:
-
উপসর্গ শব্দের আগে বসে।
-
এগুলোর নিজস্ব অর্থ নেই, তবে এগুলো অর্থ সৃষ্টি করে এমন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।
-
বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০টির মতো উপসর্গ ব্যবহার হয়।
ধরন:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
-
বিদেশি উপসর্গ
প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রত্যয় শেষে বসে।
-
এগুলো স্বাধীন অর্থ বহন করে না তবে শব্দের রূপ ও অর্থ পরিবর্তনে সাহায্য করে।
প্রকারভেদ:
প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার:
১. কৃৎ প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চল (ধাতু) + অন্ত = চলন্ত
-
কৃ (ধাতু) + তব্য = কর্তব্য
👉 কৃৎ প্রত্যয় হতে পারে:
-
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
-
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
২. তদ্ধিত প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চোর + আ = চোরা
-
কেষ্ট + আ = কেষ্টা
-
ডিঙি + আ = ডিঙা
-
বাঘ্ + আ = বাঘা
-
হাত্ + আ = হাতা
তথ্যসূত্র:
"বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি" – নবম-দশম শ্রেণি, ২০২২ সংস্করণ।
0
Updated: 4 months ago