’কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
A
জাপানে
B
কানাডায়
C
যুক্তরাষ্ট্রে
D
জার্মানিতে
উত্তরের বিবরণ
‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, যার উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত সৃষ্টি করা এবং শরণার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। তিনি তাঁর শিষ্য ও বন্ধু, বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড দ্য বিটলসের শিল্পী জর্জ হ্যারিসনকে নিয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।
-
কনসার্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
-
পশ্চিমা তারকাদের মধ্যে জর্জ হ্যারিসন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিঙ্গো স্টার, বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিওন রাসেল, বিলি প্রেস্টন প্রমুখ।
-
অনুষ্ঠানটি ৪০ থেকে ৫০ হাজার দর্শক সমাগমে অনুষ্ঠিত হয় এবং ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪১৮.৫০ ডলার সংগ্রহ করা হয়।

0
Updated: 15 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 2 months ago
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংগঠিত করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
সেক্টরভিত্তিক অঞ্চলসমূহ:
-
সেক্টর ১: ফেনী নদী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি এবং ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।
-
সেক্টর ২: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব রেলপথ ঘিরে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৩: আখাউড়া–ভৈরব রেলপথের পূর্ব দিকসহ কুমিল্লার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু এলাকাকে নিয়ে গঠিত।
-
সেক্টর ৪: সিলেট জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সেক্টরে।
-
সেক্টর ৫: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও সিলেটের অংশবিশেষ এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৬: ঠাকুরগাঁও মহকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা এলাকাগুলো বাদে পুরো রংপুর অঞ্চল এই সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৭: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টরের গঠন।
-
সেক্টর ৮: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ এই সেক্টরের অন্তর্গত।
-
সেক্টর ৯: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনার কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয় ৯ নম্বর সেক্টর।
-
সেক্টর ১০: এই সেক্টরটি ছিল বিশেষ; সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ-কমান্ডো এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ন্ত্রণে এ সেক্টরের কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
সেক্টর ১১: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১ নম্বর সেক্টর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০২৩

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে একমাত্র বিদেশি নাগরিক হিসেবে বীরত্বসূচক খেতাব লাভ করেন কে?
Created: 15 hours ago
A
সাইমন ড্রিং
B
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড
C
রবি শংকর
D
অ্যালেন গিন্সবার্গ
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনকারী একমাত্র বিদেশি নাগরিক, যিনি বীরপ্রতীক খেতাব লাভ করেছেন।
-
তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, কিন্তু জন্মগ্রহণ করেন নেদারল্যান্ডসে।
-
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
-
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান।

0
Updated: 15 hours ago
বীরশ্রেষ্ঠ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল কোথায়?
Created: 15 hours ago
A
করাচি
B
লাহোর
C
থাট্টা
D
কাশ্মীর
বীরশ্রেষ্ঠ লেফটেন্যান্ট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন অমর নায়ক।
-
তিনি ১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগাসাদেক রোডে জন্মগ্রহণ করেন।
-
প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে, পরে পড়াশোনা করেন পশ্চিম পাকিস্তানের সারগোদার পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাবলিক স্কুলে।
-
পাকিস্তান বিমানবাহিনী একাডেমী থেকে ১৯৬৩ সালের জুনে কমিশন লাভ করেন।
-
করাচিতে জেট কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করে পেশোয়ারে জেট পাইলট হিসেবে যোগ দেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ছুটিতে এসে ভৈরবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
পারিবারিক চাপের কারণে পাকিস্তানে ফিরে যান এবং বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
-
১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট, করাচি থেকে উড্ডয়নের সময় তিনি প্রশিক্ষণরত পাইলটের বিমান দখল করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শহীদ হন।
-
স্বাধীনতার পর তার দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব “বীরশ্রেষ্ঠ” প্রদান করা হয়।

0
Updated: 15 hours ago