মুক্তিযুদ্ধকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা কত নং সেক্টরের অধীনে ছিল?
A
২নং সেক্টর
B
১নং সেক্টর
C
৪নং সেক্টর
D
৮নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
১নং সেক্টর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল।
-
সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল হরিনাতে।
-
প্রথম সেক্টর প্রধান ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
এই সেক্টরের পাঁচটি সাব-সেক্টর এবং কমান্ডাররা:
-
ঋষিমুখ: ক্যাপ্টেন শামসুল ইসলাম
-
শ্রীনগর: ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান, পরে ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান
-
মনুঘাট: ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান
-
তবলছড়ি: সুবেদার আলী হোসেন
-
ডিমাগিরী: জনৈক সুবেদার
-
-
এই সেক্টরে প্রায় দশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন।
-
এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার নিয়মিত সৈন্য ছিলেন (ই.পি.আর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) এবং প্রায় আট হাজার ছিলেন গণবাহিনীর সদস্য।
-
-
এ বাহিনীর গেরিলাদের ১৩৭টি গ্রুপে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়।
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ‘বীরপ্রতীক’ উপাধি লাভ করে কত জন?
Created: 4 weeks ago
A
৭ জন
B
৬৮ জন
C
১৭৫ জন
D
৪২৬ জন
বীরপ্রতীক উপাধি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল বাংলাদেশ সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে, সারা দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা এবং ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে এই উপাধি প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য প্রধানত তিনটি উপাধি দেওয়া হয়েছিল:
বীরশ্রেষ্ঠ: সর্বোচ্চ সাহসিকতা ও অবদানের জন্য ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এই উপাধি লাভ করেন।
বীরবিক্রম: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা, যা ২৭০ জনকে দেওয়া হয়েছিল।
বীরপ্রতীক: তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা, যার জন্য ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচিত হন।
0
Updated: 4 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 3 months ago
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংগঠিত করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
সেক্টরভিত্তিক অঞ্চলসমূহ:
-
সেক্টর ১: ফেনী নদী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি এবং ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।
-
সেক্টর ২: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব রেলপথ ঘিরে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৩: আখাউড়া–ভৈরব রেলপথের পূর্ব দিকসহ কুমিল্লার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু এলাকাকে নিয়ে গঠিত।
-
সেক্টর ৪: সিলেট জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সেক্টরে।
-
সেক্টর ৫: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও সিলেটের অংশবিশেষ এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৬: ঠাকুরগাঁও মহকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা এলাকাগুলো বাদে পুরো রংপুর অঞ্চল এই সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৭: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টরের গঠন।
-
সেক্টর ৮: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ এই সেক্টরের অন্তর্গত।
-
সেক্টর ৯: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনার কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয় ৯ নম্বর সেক্টর।
-
সেক্টর ১০: এই সেক্টরটি ছিল বিশেষ; সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ-কমান্ডো এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ন্ত্রণে এ সেক্টরের কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
সেক্টর ১১: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১ নম্বর সেক্টর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০২৩
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব-
Created: 1 month ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরপ্রতীক
C
বীরবিক্রম
D
বীরউত্তম
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খেতাবগুলো প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরশ্রেষ্ঠ, এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরউত্তম।
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়।
-
খেতাবের বণ্টন ছিল:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৬ জন
-
বর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ৬৭২ জনের খেতাব বহাল রয়েছে, যার মধ্যে:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৭ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৪ জন
0
Updated: 1 month ago