'আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।' -এই বাক্যে 'আকাশে' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
A
কর্তৃকারকে সপ্তমী
B
কর্মকারকে সপ্তমী
C
অপাদান কারকে তৃতীয়া
D
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
উত্তরের বিবরণ
অধিকরণ কারক
-
অধিকরণ কারক হল সেই কারক যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা ভাবকে বোঝায়।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, অধিকরণ কারক হলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়, স্থান বা বিষয়ের তথ্য।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদ কোন স্থানে, কখন বা কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রকাশ করতে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।
-
অধিকরণ কারকের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়, যেমন – এ, য়, তে ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে, ‘‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস’’ বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি স্থান নির্দেশ করছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত রয়েছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকের একটি উদাহরণ।
অধিকরণ কারকের আরও কিছু উদাহরণ:
-
“তৈল আছে” – এখানে ‘আছে’ ক্রিয়া এবং ‘তৈল’ শব্দের সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত।
-
“কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল” – ‘কাননে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে” – এখানে ‘পাঠে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি আছে।
-
“পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির” – ‘পাতায়’ শব্দটি অধিকরণ কারকের উদাহরণ।
-
“বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি” – এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি প্রযোজ্য।
-
“বন্যেরা বনে সুন্দর” – ‘বনে’ শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিতে আছে।
-
“ছাদে পানি আছে” – ‘ছাদে’ শব্দেও সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“কপালের লিখন যায় না খণ্ডন” – ‘কপালের’ শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি রয়েছে, যা অধিকরণ কারকের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
'Subjudice' এর বাংলা পরিভাষা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অবিচার
B
বিচারাধীন
C
অধস্তন
D
স্বচ্ছ
আইনি ও প্রশাসনিক পরিভাষায় সঠিক শব্দচয়ন প্রয়োজন, যা বাংলায় ভাবের যথাযথ প্রকাশ নিশ্চিত করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারিভাষিক শব্দ নিচে দেওয়া হলো।
-
Subjudice : বিচারাধীন
-
Act : আইন
-
Addendum : পরিশিষ্ট, সংযোজন
-
Adjournment : মুলতবি
-
Ad-hoc : তদর্থক
-
Adjustment : সমন্বয়ন
-
Affidavit : হলফনামা
-
Affiliation : সম্বন্ধীকরণ
-
Agenda : আলোচ্যসূচি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দে দ্বিস্বরধ্বনি রয়েছে?
Created: 3 months ago
A
তিসি
B
মালি
C
লাউ
D
মেয়ে
• দ্বিস্বরধ্বনি যুক্ত শব্দ - লাউ।
দ্বিস্বরধ্বনি:
- পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়।
যেমন:
- 'লাউ' শব্দের [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [উ্] অর্ধস্বরধ্বনি মিলে দ্বিস্বরধ্বনি [আউ্] তৈরি হয়েছে।
দ্বিস্বরধ্বনির কিছু উদাহরণ:
- [আই]: তাই, নাই,
- [এই]: সেই, নেই,
- [উই]: দুই, রুই,
- [ওউ]: মৌ, বউ।
বাংলা বর্ণমালায় দুটি দ্বিস্বরধ্বনির জন্য আলাদা বর্ণ নির্ধারিত আছে, যথা: ঐ এবং ঔ।
» ঐ-এর মধ্যে দুটি ধ্বনি আছে, একটি পূর্ণ স্বরধ্বনি [ও] এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি [ই্]।
» একইভাবে ঔ-এর মধ্যে রয়েছে একটি পৃ স্বরধ্বনি [ও] এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি [উ্]।
অন্যদিকে,
"তিসি; মালি; মেয়ে" এর ক্ষেত্রে- দুটি পৃথক স্বরধ্বনি রয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, (২০২১ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
"শিক্ষক বললেন, নেই আঁকড়া হওয়া মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে আনে।" — বাক্যটিতে 'নেই আঁকড়া' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
নির্লজ্জ
B
নিতান্ত অলস
C
নির্বোধ
D
একগুঁয়ে
• "শিক্ষক বললেন, নেই আঁকড়া হওয়া মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে আনে।" — বাক্যটিতে 'নেই আঁকড়া' বাগ্ধারার অর্থ- একগুঁয়ে।
আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা:
• 'ফোড়ন দেওয়া' - টিপ্পনি কাটা।
• ’নয়ছয়’ - অপচয়।
• 'গোঁফ খেজুরে' - নিতান্ত অলস।
• ’ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ - কৌশলে কার্যোদ্ধার।
• 'অঘাচণ্ডী' - নির্বোধ, মূর্খ, বোকা।
• 'কানকাটা' - নির্লজ্জ, বেহায়া।
0
Updated: 1 month ago