একটি খুঁটির ১/২ অংশ মাটির নিচে, ১/৩ অংশ পানির মধ্যে এবং বাকি ৬ মিটার পানির উপরে আছে। খুঁটিটির দৈর্ঘ্য কত?
A
৩৬ মিটার
B
২৪ মিটার
C
২৮ মিটার
D
১২ মিটার
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্ন: একটি খুঁটির ১/২ অংশ মাটির নিচে, ১/৩ অংশ পানির মধ্যে এবং বাকি ৬ মিটার পানির উপরে আছে। খুঁটিটির দৈর্ঘ্য কত?
সমাধান:
ধরি,
খুটির দৈর্ঘ্য = x মিটার
তাহলে,
মাটির নিচে ও পানির মধ্যে আছে = (১/২ + ১/৩) × x অংশ
= (৫x/৬) অংশ
এবং
পানির উপরে আছে = {x - (৫x/৬)}
= {(৬x - ৫x)/৬}
= x/৬ অংশ
প্রশ্নমতে,
x/৬ = ৬
∴ x = ৩৬
∴ খুটির দৈর্ঘ্য = ৩৬ মিটার।
0
Updated: 1 month ago
১ শতক সমান কত বর্গফুট?
Created: 3 weeks ago
A
৩৫০.৫ বর্গফুট
B
৪৩৫.৬ বর্গফুট
C
৪০০.০ বর্গফুট
D
৫০০.৫ বর্গফুট
জমির পরিমাপের ক্ষেত্রে ‘শতক’ বাংলাদেশের একটি বহুল ব্যবহৃত একক, বিশেষত গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় ভূমির মাপ নির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে আন্তর্জাতিক মানে জমির পরিমাপ সাধারণত বর্গফুট (Square Feet) বা বর্গমিটার (Square Meter) দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। তাই জমি ক্রয়-বিক্রয়, রেজিস্ট্রেশন বা কর হিসাবের জন্য শতক থেকে বর্গফুটে রূপান্তর জানা জরুরি।
১ শতককে বর্গফুটে রূপান্তর করার মূল সূত্র হলো—
১ শতক = ৪৩৫.৬ বর্গফুট
অর্থাৎ, যদি কোনো জমির পরিমাণ ৫ শতক হয়, তবে সেটি হবে ৫ × ৪৩৫.৬ = ২১৭৮ বর্গফুট। এই হিসাবের মাধ্যমে সহজেই বড় বা ছোট যেকোনো জমির আয়তন নির্ধারণ করা যায়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
শতক কী:
শতক হলো জমির মাপের একটি প্রাচীন একক, যা মূলত এক একরের ১/১০০ ভাগ। যেহেতু ১ একর = ৪৩,৫৬০ বর্গফুট, তাই ১ শতক = ৪৩,৫৬০ ÷ ১০০ = ৪৩৫.৬ বর্গফুট।
শতক থেকে অন্যান্য এককে রূপান্তর:
-
১ শতক = ৪৩৫.৬ বর্গফুট
-
১ শতক = ৪০.৪৬৮৫৬ বর্গমিটার
-
১ শতক = ১.০০৮৩৩ গণ্ডা
এই রূপান্তরগুলো জানা থাকলে জমির পরিমাণ সহজে বিভিন্ন এককে প্রকাশ করা যায়।
জমি পরিমাপে শতকের ব্যবহার:
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের অনেক অঞ্চলে জমি পরিমাপে শতক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শহরাঞ্চলে বর্গফুট ব্যবহারের প্রবণতা বেশি হলেও, গ্রামীণ এলাকায় এখনো জমির পরিমাণ শতক হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি বলে তার জমি ১০ শতক, তাহলে তা ৪৩৫৬ বর্গফুট জমির সমান।
কেন বর্গফুটে রূপান্তর জরুরি:
-
আইনি কাজের সুবিধা: জমি রেজিস্ট্রেশন বা দলিলপত্রে সাধারণত বর্গফুটে হিসাব দিতে হয়।
-
বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ: শহরাঞ্চলে প্রতি বর্গফুটের দামে জমি বিক্রি হয়, তাই শতককে বর্গফুটে রূপান্তর করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
-
পরিকল্পনা ও নির্মাণ: বাড়ি বা ভবনের নকশা তৈরির সময় জমির আয়তন বর্গফুটে হিসাব করা হয়।
রূপান্তর বোঝার সহজ উপায়:
যদি জমির আয়তন শতকে জানা থাকে, তাহলে সেটিকে ৪৩৫.৬ দ্বারা গুণ করলে বর্গফুটে পাওয়া যাবে।
যেমন:
৮ শতক জমি = ৮ × ৪৩৫.৬ = ৩৪৮৪.৮ বর্গফুট।
সবশেষে বলা যায়, জমির সঠিক মাপ বোঝার জন্য ১ শতক = ৪৩৫.৬ বর্গফুট জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু হিসাবকে সহজ করে না, বরং জমি ক্রয়-বিক্রয়, নির্মাণ পরিকল্পনা, ও আইনি কাজের ক্ষেত্রে স্পষ্টতা আনে।
জমির প্রতিটি এককই অর্থনৈতিক ও ব্যবহারিকভাবে মূল্যবান, তাই এই রূপান্তর সূত্র জানা থাকলে ভুল হিসাবের সম্ভাবনা অনেক কমে যায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
১ ঘন ফুট কত ঘন ইঞ্চির সমান?
Created: 1 month ago
A
১২৯৬ ঘন ইঞ্চি
B
১৮২৮ ঘন ইঞ্চি
C
১৬৪৪ ঘন ইঞ্চি
D
১৭২৮ ঘন ইঞ্চি
সমাধান:
আমরা জানি, ১ ফুট = ১২ ইঞ্চি
∴ ১ ঘন ফুট = (১২)৩ = ১২ × ১২ × ১২ = ১৭২৮ ঘন ইঞ্চি
0
Updated: 1 month ago
১ কেজি সমান কত পাউন্ড?
Created: 1 week ago
A
১.৫০৩ পাউন্ড
B
২.২০৫ পাউন্ড
C
৩.৪০২ পাউন্ড
D
২.০০০ পাউন্ড
ওজন বা ভরের পরিমাপের ক্ষেত্রে কিলোগ্রাম (kg) ও পাউন্ড (lb) দুটি ভিন্ন একক। কিলোগ্রাম মেট্রিক পদ্ধতির (Metric System) একক, আর পাউন্ড ইম্পেরিয়াল পদ্ধতির (Imperial System) একক। আন্তর্জাতিকভাবে ওজন মাপার সময় প্রায়ই কেজি থেকে পাউন্ডে বা পাউন্ড থেকে কেজিতে রূপান্তর প্রয়োজন হয়। এজন্য সঠিক রূপান্তর সূত্র জানা থাকা গুরুত্বপূর্ণ নিচে এই রূপান্তর সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো ধাপে ধাপে —
• মূল রূপান্তর সূত্র:
১ কিলোগ্রাম = ২.২০৪৬২ পাউন্ড।
এই মানটিকে সাধারণত সহজ করার জন্য ২.২০৫ পাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, কোনো বস্তুর ওজন যদি ১ কেজি হয়, তবে সেটি ২.২০৫ পাউন্ডের সমান ধরা হয়।
• রূপান্তর প্রক্রিয়া:
কোনো বস্তুর ওজন কিলোগ্রামে জানা থাকলে সেটিকে পাউন্ডে রূপান্তর করতে হয় নিচের সূত্রে—
পাউন্ড = কিলোগ্রাম × ২.২০৫
উদাহরণ:
যদি কোনো বস্তুর ওজন ৫ কেজি হয়, তবে সেটি হবে
৫ × ২.২০৫ = ১১.০২৫ পাউন্ড।
• বিপরীত রূপান্তর:
যদি কোনো বস্তুর ওজন পাউন্ডে দেওয়া থাকে, তবে সেটিকে কেজিতে রূপান্তর করতে হয়—
কেজি = পাউন্ড ÷ ২.২০৫
উদাহরণ:
২২.০৫ পাউন্ড ÷ ২.২০৫ = ১০ কেজি।
• ব্যবহারিক প্রয়োগ:
পাউন্ড এককটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার মতো দেশগুলোতে বেশি ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে কিলোগ্রাম পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, অফিসিয়াল পরিমাপ একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, খেলাধুলা, ওজন নির্ধারণ, ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই দুই এককের রূপান্তর প্রয়োজন হয়।
• ঐতিহাসিক পটভূমি:
পাউন্ডের উৎপত্তি রোমান যুগে। ল্যাটিন শব্দ libra থেকে “lb” সংক্ষিপ্ত রূপটি এসেছে। ১৯৫৯ সালে আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত হয় যে ১ পাউন্ড = ০.৪৫৩৫৯২৩৭ কিলোগ্রাম। এই নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী এখন সব দেশ রূপান্তর করে থাকে।
• গণনায় ভুল এড়াতে সতর্কতা:
বিজ্ঞান, প্রকৌশল বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে খুব নির্ভুল হিসাবের প্রয়োজন হলে পূর্ণ মান ২.২০৪৬২ ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু সাধারণ প্রয়োজনে ২.২০৫ ব্যবহার করলে ফলাফল যথেষ্ট সঠিক থাকে।
১ কিলোগ্রাম ভরের বস্তু প্রায় ২.২০৫ পাউন্ডের সমান। এই রূপান্তর আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত এবং মেট্রিক ও ইম্পেরিয়াল একক ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। ফলে ওজন পরিমাপে দেশভেদে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সহজে তুলনা করা যায়।
অতএব, ১ কেজি সমান ২.২০৫ পাউন্ড, যা সর্বাধিক ব্যবহৃত ও স্বীকৃত মান।
0
Updated: 1 week ago