A
অগ্রপথিক
B
বিদ্রোহী
C
প্রলয়োল্লাস
D
ধূমকেতু
উত্তরের বিবরণ
• 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ:
- 'অগ্নিবীণা' কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
- এই কাব্যের জনপ্রিয় কবিতা 'বিদ্রোহী'।
- 'বিদ্রোহী' কবিতার জন্যই মূলত তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসাবে পরিচিত হন।
- কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম কবিতা- প্রলয়োল্লাস।
- 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থটি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেন।
• অগ্নিবীণা কাব্যে মোট ১২টি কবিতা রয়েছে। কবিতাগুলো হলো:
- প্রলয়োল্লাস,
- বিদ্রোহী,
- রক্তাম্বর-ধারিণী মা,
- আগমণী,
- ধূমকেতু,
- কামাল পাশা,
- আনোয়ার,
- রণভেরী,
- শাত-ইল-আরব,
- খেয়াপারের তরণী,
- কোরবানী,
- মহররম।
---------------------------
• কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’।
- কাজী নজরুল ইসলাম আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ।

0
Updated: 2 months ago
'পল্লিজননী' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
জীবনানন্দ দাশ
• 'পল্লিজননী' কবিতাটি জসীম উদ্দীন রচিত 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
- এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
- এটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
- বিখ্যাত কবর কবিতাটিও এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
• জসীম উদ্দীন:
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত।
- তাঁর রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য। এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মারা যান।
• তাঁর রচিত জনপ্রিয় খণ্ড কবিতার সংকলন:
- রাখালী,
- বালুচর,
- রূপবতী,
- ধানখেত,
- মাটির কান্না,
- সুচয়নী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
'শেষের কবিতা' রবীন্দ্রনাথ রচিত-
Created: 2 months ago
A
কবিতার নাম
B
গল্প সংকলনের নাম
C
উপন্যাসের নাম
D
কাব্য সংকলনের নাম
• শেষের কবিতা:
- শেষের কবিতা (১৯২৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস।
- প্রবাসী পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৮ সালে।
- ভাষার অসমান্য ঔজ্জ্বল্য,দৃপ্তিশক্তি ও কবিত্বের দীপ্তি এই গ্রন্থটিকে এমন স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে, যার জন্য এই গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের বিস্ময়কর সৃষ্টির অন্যতম।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
- অমিত,
- লাবণ্য,
- কেতকী,
- শোভনলাল প্রমুখ।
• উপন্যাসের কতিপয় বাক্য আজ প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে-
- ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।
- কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও - এই কবিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতা উপন্যাসের সমাপ্তি টানেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা-
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
ছোট গল্প
C
প্রবন্ধ
D
গীতি কবিতা
গীতিকবিতা
গীতিকবিতা এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কবির হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অনুভূতি সুর ও সঙ্গীতের ছন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তিগত আবেগ, কামনা-বাসনা, আনন্দ ও বেদনার প্রকাশ ঘটে আবেগঘন ভাষায়।
যেসব কবিতায় কবির অন্তরের গভীর অনুভূতি সঙ্গীততাড়িত কণ্ঠে প্রকাশিত হয় এবং যে ভাবাবেগ পূর্ণতা নিয়ে প্রকাশ পায়—তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
গীতিকবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
আন্তরিক আবেগের প্রকাশ
-
সংক্ষিপ্ত রচনার গঠন
-
সঙ্গীতধর্মী ছন্দ ও সুরেলা ভাষা
-
গতিময়তা ও স্বচ্ছন্দ গতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গীতিকাব্য হলো বক্তার অন্তর্দাহ ও আবেগের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রকাশমাত্র, যার উদ্দেশ্য একান্তই হৃদয়ের ভাবের প্রকাশ। যেহেতু এই অনুভূতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই গীতিকবিতাও সাধারণত ছোট হয়।
তবে গীতিকবিতার ভাববস্তুর ব্যাপ্তি কখনো কখনো বড় হতে পারে, আবার কখনো তা হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এ কারণে গীতিকবিতার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নির্ধারণ সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলির মধ্য দিয়ে গীতিকবিতার রূপ প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যদিও কাব্যধারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে শুরু হয়েছিল, গীতিকবিতা আসলে আধুনিক যুগেই সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ধারাগুলোর একটি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ধারা ছিল বৈষ্ণব সাহিত্য।
উৎস
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর)
-
লাল নীল দীপাবলী (হুমায়ুন আজাদ)

0
Updated: 2 months ago