'মা যে জননী কান্দে' কোন ধরনের রচনা?
A
কাব্য
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
প্রবন্ধ
উত্তরের বিবরণ
‘মা যে জননী কান্দে’ কাব্য
- ‘মা যে জননী কান্দে’ এক ধরনের গাঁথা কাব্য বা কাব্যগ্রন্থ।
- অনেকে এটিকে কাহিনী কাব্য হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।
-----------------
• জসীমউদ্দীন:
- কবি জসীমউদ্দীন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি।
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলাদেশে পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত।
- কবি জসীমউদ্দীন রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য।
- এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- E.M Millford গ্রন্থটি ''Field of the Embroidery Quilt'' শিরোনামে অনুবাদ করেন।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- বালুচর,
- রাখালী,
- নকশী কাঁথার মাঠ,
- ধানখেত,
- সোজন বাদিয়ার ঘাট,
- মাটির কান্না,
- মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
'চকচক' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 1 week ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
পদাত্মক
C
ধ্বন্যাত্মক
D
অনুকার
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলো তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
পুনরাবৃত্তি: ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
মধ্যবর্তী স্বরধ্বনিসহ উদাহরণ:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 3 months ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
'সঞ্চিতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জীবনানন্দ দাশ
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন: ‘সঞ্চিতা’
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে। এটি তাঁর কবিতা ও গানের একটি সংকলন, যাতে মোট ৭৮টি রচনা স্থান পেয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসর্গ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। নজরুলের কাব্যচর্চার বৈচিত্র্য, ভাবপ্রবাহ এবং ভাষার দ্যুতি অনুধাবনের জন্য ‘সঞ্চিতা’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ‘সঞ্চিতা’ কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ, আর ‘সঞ্চয়িতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা সংকলন—যা অনেক সময় পাঠকের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago