A
কাব্য
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
প্রবন্ধ
উত্তরের বিবরণ
‘মা যে জননী কান্দে’ কাব্য
- ‘মা যে জননী কান্দে’ এক ধরনের গাঁথা কাব্য বা কাব্যগ্রন্থ।
- অনেকে এটিকে কাহিনী কাব্য হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।
-----------------
• জসীমউদ্দীন:
- কবি জসীমউদ্দীন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি।
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলাদেশে পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত।
- কবি জসীমউদ্দীন রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য।
- এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- E.M Millford গ্রন্থটি ''Field of the Embroidery Quilt'' শিরোনামে অনুবাদ করেন।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- বালুচর,
- রাখালী,
- নকশী কাঁথার মাঠ,
- ধানখেত,
- সোজন বাদিয়ার ঘাট,
- মাটির কান্না,
- মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কোন কাব্যের উপজীব্য?
Created: 2 months ago
A
জিঞ্জির-কাজী নজরুল ইসলাম
B
সাত সাগরের মাঝি-ফররুখ আহমদ
C
দিলরুবা-আবদুল কাদির
D
নূরনামা-আবদুল হাকিম
কাব্যগ্রন্থ: সাত সাগরের মাঝি
-
রচয়িতা: ফররুখ আহমদ
-
প্রকাশকাল: ১৯৪৪
-
প্রকৃতি: মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ
-
মূল উপজীব্য: ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুসলিম উম্মাহর জাগরণ
-
কবিতার সংখ্যা: ১৯টি
-
অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
সাত সাগরের মাঝি (গ্রন্থের শেষ কবিতা)
-
সিন্দাবাদ
-
পাঞ্জেরি
-
লাশ
-
আউলাদ
-
দরিয়ার শেষরাত্রি
-
-
বৈশিষ্ট্য:
-
আরব্য উপন্যাস, ইরান-আরবের সংস্কৃতি ও পুরাণকথা ব্যবহৃত হয়েছে।
-
বঙ্গীয় শব্দ ও অনুষঙ্গ পরিহার করে মুসলিম চেতনার রূপায়ণ ঘটানো হয়েছে।
-
কবি পরিচিতি: ফররুখ আহমদ
-
জন্ম: ১০ জুন ১৯১৮, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে।
-
পরিচিতি: মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি
-
খ্যাতি অর্জন:
-
লাশ কবিতার মাধ্যমে (১৯৪৪ সালের কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত)
-
-
পুরস্কার:
-
আদমজী পুরস্কার (১৯৬৬) – কাহিনী কাব্য হাতেমতায়ী এর জন্য
-
ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৬) – শিশুতোষ কাব্য পাখির বাসা এর জন্য
-
ফররুখ আহমদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
Created: 5 days ago
A
ধূমকেতু
B
বিদ্রোহী
C
প্রলয়োল্লাস
D
অগ্রপথিক
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ:
-
‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই।
-
এই কাব্যের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা হলো ‘বিদ্রোহী’।
-
‘বিদ্রোহী’ কবিতার কারণে কাজী নজরুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত হন।
-
‘অগ্নিবীণা’ বইয়ের প্রথম কবিতার নাম ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি তিনি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছেন।
অগ্নিবীণায় মোট ১২টি কবিতা রয়েছে:
১. প্রলয়োল্লাস
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বর-ধারিণী মা
৪. আগমণী
৫. ধূমকেতু
৬. কামাল পাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মহররম

0
Updated: 5 days ago
জসীমউদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
রাখালী
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
নক্শী কাঁথার মাঠ
D
বালুচর
রাখালী কাব্যগ্রন্থ ও কবি জসীমউদ্দীন
বাংলা সাহিত্যের পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত জসীমউদ্দীনের সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ দিয়ে।
১৯২৭ সালে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে তাঁর সর্বাধিক পরিচিত কবিতা ‘কবর’ অন্যতম। কলেজে অধ্যয়নকালেই রচিত এই কবিতাটি তাঁকে সাহিত্যে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে। তাঁর পৈতৃক ঠিকানা একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে অবস্থিত। কর্মজীবনে তিনি প্রথমে গ্রামীণ জীবনের সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণস্পর্শী চিত্র ফুটিয়ে তোলা এই কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— বালুচর, রূপবতী, রাখালী, নক্সী কাঁথার মাঠ, ধানখেত, সোজন বাদিয়ার ঘাট, মাটির কান্না এবং মা যে জননী কান্দে।
তাঁর লেখনীতে গ্রামীণ বাংলার চিরন্তন রূপ, মানুষের আবেগ, সুখ-দুঃখ ও জীবনের বাস্তবতা নিপুণভাবে উঠে এসেছে, যা বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago