A
মৃত্যুক্ষুধা
B
আলেয়া
C
ঝিলিমিলি
D
মধুমালা
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা।
- মৃত্যুক্ষুধা ।
- কুহেলিকা।
• 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাস:
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে।
- নারী জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
- দারিদ্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবারে মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্ট ধর্মান্তর গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে ওঠে গল্পে। অন্যদিকে গল্পের নায়কা রুবি আনসারকে ভালোবাসালেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয় আইসিএস পরীক্ষার্থী মোয়াজ্জেমের সঙ্গে। মোয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর বিধবা রুবির জীবনে নেমে আসে সমাজের বিধিনিষেধ।
• ‘বাঁধন-হারা' উপন্যাস:
• কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা' (১৯২৭)।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।
- এতে ১৮টি পত্র রয়েছে।
- কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে ‘বাধন-হারা' উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসের নায়ক নুরুল হুদা।
- অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে - রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ।
• 'কুহেলিকা' উপন্যাস:
- ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে 'নওরোজ' পত্রিকায় 'কুহেলিকা' উপন্যাস প্রকাশ আরম্ভ হয়।
- গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে(১৯৩১)।
- এ উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এসেছে অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে।
- কুহেলিকা উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর।
- এই উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি, ''ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।''
অন্যদিকে,
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তাঁর রচিত গীতিনাট্য: আলেয়া, মধুমালা।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তিনটি ছোট নাটকের গ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর , বাংলাপিডিয়া মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 5 days ago
A
মোহাম্মদ নজীবর রহমান
B
কাজী ইমদাদুল হক
C
শেখ ফজলুল করিম
D
মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ
● 'আবদুল্লাহ' উপন্যাস
-
'আবদুল্লাহ' হলো কাজী ইমদাদুল হক রচিত একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।
-
এটি প্রথমে 'মোসলেম ভারত' নামের একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতো। পরে, ১৯৩৩ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসটি লেখার সময়েই কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু হলে, তাঁর রেখে যাওয়া খসড়া ব্যবহার করে কাজী আনোয়ারুল কাদির উপন্যাসটি শেষ করেন।
-
এই উপন্যাসে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানবিক প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়েছে।
-
যদিও এটি শিল্পের দিক থেকে খুব উঁচু মানের উপন্যাস নয়, তবুও এতে বাঙালি মুসলমান সমাজের পরিবর্তন ও অগ্রগতির চিত্র স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তাই এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক।
● কাজী ইমদাদুল হক
-
কাজী ইমদাদুল হক জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮২ সালে খুলনা জেলায়।
-
তিনি মূলত ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
-
এই উপন্যাসটির মাধ্যমেই তিনি একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসেবে স্বীকৃতি পান।
-
তাঁর সাহিত্যচর্চার মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি মুসলমান সমাজের উন্নয়ন।
-
তিনি ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’ (১৯১৮) প্রকাশনার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো:
-
আঁখিজল
-
মোসলেম জগতে বিজ্ঞানচর্চা
-
ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দুই খণ্ড)
-
নবীকাহিনী (প্রবন্ধ সংকলন)
-
কামারের কাণ্ড
-
আবদুল্লাহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 5 days ago
কাজী ইমদাদুল হক-এর 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের উপজীব্য কী?
Created: 1 month ago
A
চাষী জীবনের করুণ চিত্র
B
কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন
C
তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
D
মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন কাহিনী
কাজী ইমদাদুল হকের 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের 'তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র' অঙ্কিত হয়েছে।
• 'আবদুল্লাহ' উপন্যাস:
- 'আবদুল্লাহ' কাজী ইমদাদুল হক রচিত একটি উপন্যাস।
- এটি মোসলেম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো। ১৯৩৩ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসটি রচনাকালীন সময়ে কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু হলে, কাজী আনোয়ারুল কাদির ইমদাদুল হকের খসড়া অবলম্বন করে অসমাপ্ত উপন্যাসটি সমাপ্ত করেন।
- উপন্যাসটিতে চিত্রিত হয়েছে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা, সম্প্রদায়বিদ্বেষ ইত্যাদির বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ৷
- শিল্পের বিচারে 'আবদুল্লাহ্' উৎকৃষ্ট উপন্যাস নয়, তবে বাংলার সামাজিক বিবর্তনের, বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সুচারুভাবে ফুটে উঠায় গ্রন্থটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।
----------------------------
• কাজী ইমদাদুল হক:
- কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
- 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের লেখক হিসেবেই তাঁর সমধিক পরিচিতি।
- আবদুল্লাহ উপন্যাস রচনা করেই তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
- বাঙালি মুসলমান সমাজের কল্যাণসাধন ছিল ইমদাদুল হকের সাহিত্য সাধনার মূল লক্ষ্য।
- তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা (১৯১৮) প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
- আঁখিজল,
- মোসলেম জগতে বিজ্ঞান চর্চা,
- ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দু ভাগ),
- নবীকাহিনী (প্রবন্ধমালা),
- কামারের কান্ড,
- আবদুল্লাহ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'ঠকচাচা' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?
Created: 1 week ago
A
হুতোম প্যাঁচার নক্সা
B
আলালের ঘরের দুলাল
C
সধবার একাদশী
D
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
আলালের ঘরের দুলাল
- আলালের ঘরের দুলাল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম উপন্যাস।
- প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ 'আলালের ঘরের দুলাল'।
- আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসটি ১৮৫৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়।
- উপন্যাসটিতে দেশীয় বন্ধ্যা শিক্ষা ব্যবস্থা, পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে লেখক তাঁর অভিমত প্রকাশ করেছেন।
- ধনী বাবুরামের পুত্র মতিলাল কুসঙ্গে পড়ে এবং শিক্ষার ব্যাপারে পিতার অবহেলা তাকে অধঃপতনে নিয়ে যায়।
- পিতার মৃত্যুর পর মতিলাল তার বাবার প্রাপ্ত সব সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলে।
- উপন্যাসটিতে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো মোকাজান মিয়া বা ঠকচাচা।
• এছাড়াও চরিত্রে হচ্ছে-
- বাবুরাম,
- বাবুরামের পুত্র মতিলাল,
- ধূর্ত উকিল বটলর,
- অর্থলোভী বাঞ্ছারাম,
- তোষামোদকারী বক্রেশ্বর ইত্যাদি।
-------------------------
• প্যারীচাঁদ মিত্র:
- ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই কলকাতায় তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী।
- তাঁর ছন্দনাম “টেকচাঁদ ঠাকুর”।
- ১৮২৭ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং খ্যাতিমান শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর তত্ত্বাবধানে থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে:
- আলালের ঘরের দুলাল,
- মদ খাওয়া বড় দায়,
- জাত থাকার কি উপায়,
- আধ্যাত্মিকা।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago