'সত্যি সেলুকাস, এ দেশ বড় বিচিত্র!' – কোন বাক্য?
A
মিশ্র বাক্য
B
বিস্ময়বোধক বাক্য
C
যৌগিক বাক্য
D
জটিল বাক্য
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: খ) বিস্ময়বোধক বাক্য
বিস্ময়বোধক বাক্য:
-
যে বাক্যে আশ্চর্যজনক কিছু বোঝানো হয় তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
তাজ্জব ব্যাপার!
-
কী সাংঘাতিক ব্যাপার!
-
সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ!
-
"সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ!" বাক্যের বিশ্লেষণ:
-
বাক্যটি বিস্ময়, আশ্চর্য বা আবেগ প্রকাশ করছে।
-
শব্দগুলো যেমন ‘সত্যি’ এবং ‘বড় বিচিত্র’ বক্তার বিস্ময় বা আশ্চর্যের ভাব প্রকাশ করছে।
অন্যান্য অপশনের বিশ্লেষণ:
-
ক) মিশ্র বাক্য: একটি প্রধান খণ্ড এবং এক বা একাধিক অধীন খণ্ড থাকে। উদাহরণ: যদি তুমি যাও, তবে আমি যাব। বাক্যে এ ধরণের কাঠামো নেই।
-
গ) যৌগিক বাক্য: দুই বা ততোধিক প্রধান খণ্ড সংযোজক (যেমন: এবং, কিন্তু) দিয়ে যুক্ত থাকে। উদাহরণ: আমি গেলাম এবং সে এল। এখানে একটিমাত্র প্রধান খণ্ড রয়েছে।
-
ঘ) জটিল বাক্য: একটি প্রধান খণ্ড এবং এক বা একাধিক অধীন খণ্ড থাকে, সাধারণত ‘যে’, ‘যদি’ ইত্যাদি দিয়ে যুক্ত। এখানে তেমন কাঠামো নেই।
0
Updated: 1 month ago
"এসো যুগ-সারথি নিঃশঙ্ক নির্ভয়।
এসো চির-সুন্দর অভেদ অসংশয়।" - কবিতাংশটুকুর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
• স্বরসন্ধির নিয়ম (ও-কারের রূপান্তর):
বাংলা ভাষায় দুটি স্বরের সংযোগে বিশেষ ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সাধারণভাবে, প্রথম পদের শেষ অ/আ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ/ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-কার (ও-ধ্বনি) তৈরি হয়।
নিয়ম ও উদাহরণ:
-
অ + উ = ও
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে: প্রথম পদের অ/আ + দ্বিতীয় পদের উ/ঊ = ও-কার।
এটি বাংলা শব্দসংযোগে স্বরসন্ধির অন্যতম নিয়ম।
0
Updated: 1 month ago
'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি
C
মুহম্মদ আবদুল হাই
D
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
রচয়িতা: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
গুরুত্ব: বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ হিসেবে সমাদৃত।
-
প্রকাশ: প্রথম সংস্করণ ১৯৩৬ সালে, ত্রয়োদশ সংস্করণ ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। গ্রন্থকার ১৩ জুলাই ১৯৬৯ (২৭ আষাঢ় ১৩৭৬) ইন্তেকাল করেন। এরপর আর কোনো সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি।
পটভূমি:
-
শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' প্রকাশিত হওয়ার আগে আচার্য সুনীতি কুমারের 'ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ' বইটির ধারণা আরও দুই বছর আগে শহীদুল্লাহর গ্রন্থ বাংলা ভাষার ব্যাকরণের অভাব পূরণ করেছিল।
-
গ্রন্থ প্রণয়নে সহায়তা করেছিলেন:
-
ড. সুশীল কুমার দে
-
আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
-
কবি মোহিত লাল মজুমদার
-
কালিদাস রায়
-
কবি শেখর
-
অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ ভট্টাচার্য
-
চিন্তাহরণ চক্রবর্তী
-
চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
বিষয়বস্তু:
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' প্রধানত পাঁচটি প্রকরণে বিভক্ত:
১. ধ্বনি প্রকরণ (Phonology)
২. শব্দ প্রকরণ (Accidence)
৩. বাক্য প্রকরণ (Syntax)
৪. ছন্দ প্রকরণ (Prosody)
৫. অলঙ্কার প্রকরণ (Rhetoric)
অন্য গ্রন্থ:
-
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির বাঙ্গালা ভাষা (১৯১২)
উৎস:
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
0
Updated: 2 months ago
'পাতিস নে শিলাতলে পদ্মপাতা।'- কী অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
আদেশ
B
উপদেশ
C
অনুরোধ
D
প্রার্থনা
বর্তমান কালের অনুজ্ঞা হলো এমন ধরনের ক্রিয়ার রূপ যা বক্তার উদ্দেশ্য বা ভাব প্রকাশ করে এবং সাধারণত মধ্যম পুরুষে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, প্রার্থনা বা অভিশাপ।
-
আদেশ: কাজটি করে ফেল। তোমরা এখন যাও।
-
উপদেশ:
-
সত্য গোপন করো না।
-
কড়া রোদে ঘোরাফেরা করিস না।
-
'পাতিস নে শিলাতলে পদ্মপাতা।'
-
-
অনুরোধ: আমার কাজটা এখন কর। অঙ্কটা বুঝিয়ে দাও না।
-
প্রার্থনা: আমার দরখাস্তটা পড়ুন।
-
অভিশাপ: মর, পাপিষ্ঠ।
উল্লেখ্য, আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কালে মধ্যম পুরুষে যে ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুজ্ঞা পদ বলা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago