কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
A
অপ
B
পরা
C
সু
D
প্র
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: খাঁটি বাংলা উপসর্গ → সু
খাঁটি বাংলা উপসর্গ সম্পর্কে তথ্য:
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজেস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি, যেমন:
-
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
-
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
-
বাংলা ভাষায় যেসব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে।
-
সংখ্যা: ২০টি, যেমন:
-
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
-
মন্তব্য:
-
'সু' উপসর্গ খাঁটি বাংলা ও তৎসম উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
কোন ক্ষেত্রে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না?
Created: 2 months ago
A
উপসর্গজাত শব্দে
B
সন্ধিজাত শব্দে
C
সমাসবদ্ধ শব্দে
D
তৎসম শব্দে
ণ-ত্ব বিধান (ṇ-tva Rule)
সংজ্ঞা:
-
তৎসম/সংস্কৃত শব্দের বানানে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ‘ণ’ ব্যবহারের বিধানকে ণ-ত্ব বিধান বলা হয়।
-
তবে সব শব্দে প্রযোজ্য নয়; বিশেষ শর্তের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়।
১. সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব বিধান খাটে না
-
সমাসবদ্ধ (compound) শব্দে সাধারণত ‘ন’ ব্যবহার হয়, ‘ণ’ নয়।
-
উদাহরণ:
-
ত্রিনয়ন
-
সর্বনাম
-
দুর্নীতি
-
দুর্নাম
-
দুর্নিবার
-
পরনিন্দা
-
অগ্রনায়ক
-
২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘ন’
-
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে ‘ন’ যুক্ত হলে কখনো ‘ণ’ নয়, বরং ‘ন’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ:
-
অন্ত
-
গ্রন্থ
-
ক্রন্দন
-
৩. তৎসম শব্দে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য
-
তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে ণ-ত্ব বিধান মানা হয়।
-
নিয়ম: সাধারনত, তৎসম/সংস্কৃত মূলের ধ্বনিমালা অনুসারে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়।
৪. বিশেষ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়
-
সন্ধিজাত শব্দে বা উপসর্গজাত শব্দে ‘ণ-ত্ব’ বিধান প্রয়োগ হয় না।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা ভাষা কোন মূল ভাষার অন্তর্গত?
Created: 3 months ago
A
দ্রাবিড়
B
ইউরালীয়
C
ইন্দো-ইউরোপীয়
D
সেমেটিক
পৃথিবীতে বেশকিছু মূল ভাষাবংশ রয়েছে। তার মধ্যে মূল ভাষাবংশ হচ্ছে ইন্দো - ইউরোপীয়, আর বাংলা ভাষার জন্ম এই ইন্দো - ইউরোপীয় মূল ভাষাবংশ থেকে।
0
Updated: 3 months ago
জীবনানন্দ দাশের “আবার আসিব ফিরে” কবিতায় কাকে ‘শাদা ছেঁড়া পালে’ দেখা যায় ?
Created: 1 month ago
A
এক বৃদ্ধ মাঝিকে
B
এক শিকারিকে
C
এক কিশোরকে
D
এক জেলেকে
‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। এটি জীবনানন্দ দাশ রচিত এবং তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘রূপসী বাংলা’ থেকে সংগৃহীত। কবিতাটিতে কবি মৃত্যুর পরও বাংলার মাটিতে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
-
রচয়িতা: জীবনানন্দ দাশ
-
কাব্যগ্রন্থ: রূপসী বাংলা
-
প্রকাশকাল: ১৯৫৭ সাল
-
কবিতার বৈশিষ্ট্য: কবি মানুষের রূপে না হলেও বাংলার প্রকৃতি, পাখি বা প্রাণীর বেশে আবার ফিরে আসার কথা বলেছেন। তিনি ধানসিড়ি নদীর তীর, বাংলার পাখি, প্রকৃতি, শিশুর খেলা—সবকিছুর মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
-
এই কবিতায় উল্লেখ আছে যে, এক কিশোরকে এক শাদা ছেঁড়া পালে দেখা যায়।
‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ:
-
জীবনানন্দ দাশ রচিত অন্যতম কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
-
এর কবিতাগুলো প্রধানত সনেট আকারে রচিত।
-
বাংলার গ্রাম-প্রকৃতি, নদী-নালা, পশু-পাখি, উৎসব-অনুষ্ঠান কাব্যের মূল বিষয়বস্তু।
-
‘আবার আসিব ফিরে’ এ গ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা।
জীবনানন্দ দাশ
-
কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল।
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ, স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ, একজন কবি।
উপাধি
-
ধূসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
উল্লেখযোগ্য রচনা
কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরা পালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
কবিতার কথা
0
Updated: 1 month ago