A
না-বাচক
B
হ্যাঁ-বাচক
C
প্রশ্নবোধক
D
বিস্ময়সূচক
উত্তরের বিবরণ
তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?- এখানে 'না'- প্রশ্নাত্মক/প্রশ্নবোধন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
• নির্দেশাত্মক বাক্য থেকে প্রশ্নাত্মক বাক্যে রূপান্তর:
নির্দেশাত্মক বাক্য থেকে প্রশ্নাত্মক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে বাক্যের মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে প্রশ্নাত্মক বাক্যটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যার সবচেয়ে কাছাকাছি সম্ভাব্য উত্তর হবে নির্দেশাত্মক বাক্যটি।
• সূত্র: নির্দেশাত্মক বাক্য হ্যাঁ-বাচক হলে প্রশ্নাত্মক হবে না-বাচক, নির্দেশাত্মক বাক্য না-বাচক হলে প্রশ্নাত্মক হবে হ্যাঁ-বাচক। প্রথমটির ক্ষেত্রে বিধেয় ক্রিয়ার সঙ্গে নঞর্থক শব্দ যোগ করতে হয়, দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে নঞর্থক শব্দ বর্জন করে 'আর' প্রভৃতি বাক্যালঙ্কার শব্দের আগমন ঘটাতে হয়।
যেমন:
• নির্দেশাত্মক: দেশপ্রেমিককে সবাই ভালোবাসে।
• প্রশ্নাত্মক: দেশপ্রেমিককে কে না ভালোবাসে?
তেমনই,
• নির্দেশাত্মক: তুমি বলেছিলে আগামীকাল আসবে।
• প্রশ্নাত্মক: তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?
• সূত্র: রূপান্তরিত বাক্যে প্রয়োজনমতো 'কে', 'কি', 'কোথায়' ইত্যাদি প্রশ্নাত্মক শব্দ এবং প্রশ্ন (?) চিহ্ন বসাতে
হয়।
যেমন:
• নির্দেশাত্মক: কেউ মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে না।
• প্রশ্নাত্মক: কেউ কি মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে?
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago
'উৎকর্ষতা' কি কারণে অশুদ্ধ?
Created: 2 weeks ago
A
সন্ধিজনিত
B
প্রত্যয়জনিত
C
উপসর্গজনিত
D
বিভক্তিজনিত
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• উৎকর্ষ এটি বিশেষ্য পদ,
- (উৎ + √কৃষ্ + অ) প্রত্যয় সাধিত শব্দ।
• আর এর সাথে 'তা’ (বিশেষ্য) প্রত্যয় যুক্ত করলে ‘উৎকর্ষতা’ হয় যা বিশেষ্যের দ্বিত্ব প্রয়োগ। অর্থাৎ ‘উৎকর্ষতা’ শব্দে তা-প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে।
• ‘উৎকর্ষতা’ শব্দের এর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- 'উৎকর্ষ বা উৎকৃষ্টতা'।
• নিয়ম:
‘তা’ ‘ত্ব’ এবং ‘য’ হলো বিশেষ্যবাচক প্রত্যয়। যা কেবল বিশেষণ শব্দকে বিশেষ্য করে। তাই বিশেষ্য শব্দের সঙ্গে আবারো ‘তা’ ‘ত্ব’ বা য যুক্ত করলে তা ভুল হবে। যেমন: কৃপণ বিশেষণ শব্দের সাথে তা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে কৃপণতা হয়েছে।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান ও ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago
'আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।' -এই বাক্যে 'আকাশে' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
কর্তৃকারকে সপ্তমী
B
কর্মকারকে সপ্তমী
C
অপাদান কারকে তৃতীয়া
D
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
অধিকরণ কারক
-
অধিকরণ কারক হল সেই কারক যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা ভাবকে বোঝায়।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, অধিকরণ কারক হলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়, স্থান বা বিষয়ের তথ্য।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদ কোন স্থানে, কখন বা কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রকাশ করতে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।
-
অধিকরণ কারকের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়, যেমন – এ, য়, তে ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে, ‘‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস’’ বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি স্থান নির্দেশ করছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত রয়েছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকের একটি উদাহরণ।
অধিকরণ কারকের আরও কিছু উদাহরণ:
-
“তৈল আছে” – এখানে ‘আছে’ ক্রিয়া এবং ‘তৈল’ শব্দের সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত।
-
“কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল” – ‘কাননে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে” – এখানে ‘পাঠে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি আছে।
-
“পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির” – ‘পাতায়’ শব্দটি অধিকরণ কারকের উদাহরণ।
-
“বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি” – এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি প্রযোজ্য।
-
“বন্যেরা বনে সুন্দর” – ‘বনে’ শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিতে আছে।
-
“ছাদে পানি আছে” – ‘ছাদে’ শব্দেও সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“কপালের লিখন যায় না খণ্ডন” – ‘কপালের’ শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি রয়েছে, যা অধিকরণ কারকের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
Created: 1 week ago
A
রোমান্টিসিজম
B
আধুনিকতাবাদ
C
উত্তরাধুনিকতাবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তর-আধুনিকতাবাদ:
- উত্তর-আধুনিকবাদ মতটি সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমালোচনার ক্ষেত্রে Deconstruction ও Post-structural- ism-এর সঙ্গে অনেকটাই সংশ্লিষ্ট।
- Postmodernism শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৭০ সালে। জন ওয়াটকিনস চ্যাপম্যান ফরাসি Impressionism থেকে চিত্রকলাকে পৃথক করার জন্য প্রথম এই ধারার চিত্রের কথা বলেন।
- সাহিত্যের ক্ষেত্রে Postmodern ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৭২ সালে আমেরিকান 'সীমান্ত ২' (Boundary 2) পত্রিকার মাধ্যমে। ডেভিড এনটিন, চার্লস অলসন, জর্জ লুইস বর্জ প্রমুখ এই ধারাকে বেগবান করেন। আরব-আমেরিকার লেখক ইহাব হাসান ১৯৭১ সালে উত্তর-আধুনিক ধারায় সাহিত্য সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উত্তর-আধুনিকতার মূলকথা হচ্ছে: 'সব কিছুই বহমান ও খণ্ডিত। সত্যের কোনো বস্তুগত রূপ নেই। সমস্ত নৈতিক, সামাজিক রীতি-নীতি কৃত্রিম, বিধি বহির্ভূত অকারণ ও বাইরে থেকে চাপানো; সত্য কেবল বিষয়গত ও আধ্যাত্মীয়।'
- আরনল্ড টয়েনবি, আরভিং হো, হ্যারি লেভিন, এডওয়ার্ড সাইড প্রমুখ উত্তর-আধুনিক ধারার সমর্থক।
- এই ধারা মূলত আধুনিকতার বিপরীতে পথসন্ধান করে এবং মধ্যযুগের মূল্যবোধে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মধ্যযুগ ব্যাখ্যায় বৈজ্ঞানিকতার বদলে অনেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় স্থিত হন। এখানেই উত্তর-আধুনিকতার সীমাবদ্ধতা।
- মূলত নৈরাশ্য থেকে এ পথে তারা সর্বসমস্যার সমাধান খোঁজেন। তখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে তারা পতিত হন ধর্মমোহে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago